বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান । এক পোস্টেই সকল অধ্যায় । Class 6 Math Solution

আজ এখানে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান যা এক পোস্টেই সকল অধ্যায়ের জন্য পাবেন। You are here for class 6 math solution all lesson.

 

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান । এক পোস্টেই সকল অধ্যায় । Class 6 Math Solution

 

 

Table of Contents

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

ঐকিক নিয়ম শতকরা এবং অনুপাত এর বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান । এক পোস্টেই সকল অধ্যায় । Class 6 Math Solution পাবেন

ঐকিক নিয়ম Unitary Method: বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

নির্দিষ্ট পরিমাণ কোন বস্তু বা পন্যের মূল্যমানের (দাম, পরিমাণ, ওজন ইত্যাদি) উপর ভিত্তি করে এর একক মূল্যমান নিরধারন করে উক্ত পন্যের যেকোণ পরিমানের মূল্যমান নির্ণয় করার পদ্ধতি হলো ঐকিক নিয়ম Unitary Method.

উদাহরণঃ পৃষ্ঠা ১৮৯

আরো পড়ুনঃ ৭ম শ্রেণীর গণিত সমাধান | ব্যাখ্যাসহ বিস্তারিত | এক পোস্টেই সবকিছু

ডিমের হালি ৩২ টাকা হলে  ডজন ডিমের দাম কত?

সমাধানঃ

১ হালি = ৪ টি

১ ডজন = ১২ টি

তাহলে,

৪ টি ডিমের দাম ৩২ টাকা

∵ ১ টি ডিমের দাম ৩২/৪ টাকা = ৮ টাকা

∵ ১২ টি ডিমের দাম = ৮*১২ টাকা = ৯৬ টাকা।

ডিমের হালি ৩২ টাকা হলে ৯টি ডিমের দাম কত?

সমাধানঃ

৪ টি ডিমের দাম ৩২ টাকা

∵ ১ টি ডিমের দাম ৩২/৪ টাকা = ৮ টাকা

∵ ৯ টি ডিমের দাম = ৮*৯ টাকা = ৭২ টাকা।

কাজঃ (১৯২ পৃষ্ঠাএবার একটা মজার কাজ আছে তোমার জন্য। নিচের ধাপ অনুসারে কাজগুলো করো এবং সমগ্র কাজের বিস্তারিত বর্ণনা খাতায় লিখে  ছবি এঁকে পরবর্তী ক্লাসে শিক্ষককে দেখাও।

কোনো এক মাসে তোমার বাড়ির সকলে মিলে মোট কয়টি ডিম খাওয়া হয়েছে তার হিসাব করো। প্রয়োজনে অভিভাবকের সহায্য নাও।

সমাধানঃ

আমার বাড়িতে মোট সদস্য সংখ্যা ৬ জন এবং প্রত্যেকে প্রতিদিন একটি করে ডিম খায়।

তাহলে,

প্রশ্নমতে,

১ দিনে ১ জনে খায় ১টি ডিম

∵ ১ দিনে ৬ জনে খায় = ১*৬ টি ডিম

∵ ৩০ দিনে ৬ জনে খায় = ১*৬*৩০ টি ডিম

= ১৮০ টি ডিম।

অর্থাৎ, এই মাসে আমার বাড়িতে সবাই মিলে ডিম খাওয়া হয়েছে মোট ১৮০টি।

এবার তোমার এলাকার কোনো একটি দোকানে গিয়ে ডিমের ডজন কত দামে বিক্রি হয় তা জিজ্ঞেস করে জেনে নাও। তুমি কি খাতাকলম ছাড়াই দোকানে দাঁড়িয়েই বের করতে পারবে  মাসে ডিম কেনার জন্য তোমাদের কত খরচ হয়েছে ?

সমাধানঃ

আমার এলাকায় একটি দোকানে এক ডজন ডিমের দাম ১২০ টাকা।

আমরা জানি,

এক ডজন = ১২ টি।

তাহলে, ১২টি ডিমের দাম ১২ টাকা

∵ ১টি ডিমের দাম ১২০/১২ টাকা = ১০ টাকা।

∵ ১৮০ টি ডিমের দাম = ১০*১৮০ টাকা = ১৮০০ টাকা।

উল্লেখ্য, খাতা কলম ছাড়াই দোকানে দাঁড়িয়েই আমি এই সহজ হিসাবটি করে এই মাসে আমাদের পরিবারের ডিমের জন্য খরচের হসাব বের করেছি বা বের করতে পারব।

বাড়িতে ফিরে খাতাকলম নিয়ে ছবির মাধ্যমে খরচের হিসাব করে দোকানে থাকা অবস্থায় তোমার হিসাব সঠিক ছিল কিনা নিশ্চিত করো।

সমাধানঃ

আগে আমরা এক ডজন ডিমের হিসাব ছবির মাধ্যমে দেখিঃ

এখানে, প্রতি ঘর = ১ টি ডিম।

অর্থাৎ,

১২টি ডিমের মূল্য ১২০ টাকা

∵ ১টি ডিমের মূল্য ১২০/১২ টাকা = ১০ টাকা।

তাহলে, ১৮০টি ডিমের মূল্য = ১৮০*১০ টাকা = ১৮০০ টাকা।

আবার অন্যভাবে চিন্তা করি,

১২ টি ডিম = ১ ডজন

∵ ১৮০টি ডিম = ১৮০/১২ ডজন = ১৫ ডজন।

তাহলে,

১ ডজন ডিমের মূল্য = ১২০ টাকা

∵ ১৫ ডজন ডিমের ময়্যল্য = ১২০*১৫ টাকা = ১৮০০ টাকা।

যার চিত্র নিন্মরুপঃ

প্রতি ঘর = ১ ডজন ডিমের মূল্য = ১২০ টাকা।

অর্থাৎ, দোকানে থাকা অবস্থায় আমার হিসাবটি সঠিক ছিল।

 একটি মাসের হিসাব থেকেই তোমার পরিবারে সারাবছরের ডিম কেনার জন্য কত টাকা খরচ হয় তা বের করো ?

সমাধানঃ

আমরা জানি,

১ বছর = ১২ মাস

তাহলে,

১ মাসে আমার পরিবারের ডিম কেনার জন্য খরচ = ১৮০০ টাকা।

∵ ১২ মাসে আমার পরিবারের ডিম কেনার জন্য খরচ = ১৮০০*১২ টাকা = ২১৬০০ টাকা।

ডিমের দাম প্রতিটা মাসে একই না হলে সারা বছরের হিসাব করতে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে বলে তুমি মনে করো ?

সমাধানঃ

ডিমের দাম প্রতি মাসে একই না হলে অর্থাৎ ভিন্ন হলে সারা বছরের সঠিক হিসাব কোন এক মাসের হিসাব থেকে পাওয়া যাবে না। সথিক হিসাব পাওয়ার জন্য প্রতি মাসে আলাদা আলাদা ভাবে হিসাব করে বছরর শেষে সবগুলো মাসের হিসাব অর্থাৎ খরচ যোগ করতে হবে।

একটি ছাত্রাবাসে ৫০ জন ছাত্রের জন্য  দিনের খাদ্য মজুদ আছে   পরিরিমাণ খাদ্যে ২০ জন ছাত্রের কতদিন চলবে?

সমাধানঃ

ছাত্রাবাসে ৫০ জন ছাত্রের জন্য মজুদকৃত খাদ্যে চলে ৪ দিন

∵ ছাত্রাবাসে ১ জন ছাত্রের জন্য মজুদকৃত খাদ্যে চলে ৪×৫০ দিন

∵ ছাত্রাবাসে ২০ জন ছাত্রের জন্য মজুদকৃত খাদ্যে চলে ×৫০/২০ দিন

= ১০ দিন।

এখন নিচে প্রদত্ত বাস্তব সমস্যাগুলি ছবির মাধ্যমে (ছবি অঙ্কন করে) সমাধান করো।

 কেজি চালের দাম ২৮০ টাকা হলে১৫ কেজি চালের দাম কত?

সমাধানঃ

৭ কেজি চালের দাম ২৮০ টাকা

∵ ১ কেজি চালের দাম ২৮০/ টাকা

= ৪০ টাকা

এখন,

১৫ কেজি চালের দাম

= (৭ কেজি + ৭ কেজি + ১ কেজি) চালের দাম

= ২৮০ টাকা + ২৮০ টাকা + ৪০ টাকা

= ৬০০ টাকা

ছবি ছাড়া সমাধানঃ

৭ কেজি চালের দাম ২৮০ টাকা

∵ ১ কেজি চালের দাম ২৮০/ টাকা

∵ ১৫ কেজি চালের দাম ২৮০/×১৫ টাকা

= ৬০০ টাকা।

একটি ছাত্রাবাসে ৫০ জন ছাত্রের জন্য ১৫ দিনের খাদ্য মজুদ আছে   পরিমাণ খাদ্যে ২৫ জন ছাত্রের কতদিন চলবে?

সমাধানঃ

মজুদকৃত খাদ্যে ৫০ জন ছাত্রের চলে ১৫ দিন

∵ মজুদকৃত খাদ্যে ১ জন ছাত্রের চলে ১৫×৫০ দিন

∵ মজুদকৃত খাদ্যে ২৫ জন ছাত্রের চলে ১৫×৫০/২৫ দিন

= ৩০ দিন।

শফিক দৈনিক ১০ ঘণ্টা করে হেঁটে ১২ দিনে ৪৮০ কিমি অতিক্রম করে। দৈনিক ১০ ঘণ্টা করে হেঁটে সে কত দিনে ৩৬০ কিমি অতিক্রম করবে?

সমাধানঃ

শফিক (প্রতিদিন ১০ ঘন্টা করে হেঁটে) ১২ দিনে অতিক্রম করে ৪৮০ কিমি

∵ শফিক (প্রতিদিন ১০ ঘন্টা করে হেঁটে) ১ দিনে অতিক্রম করে ৪৮০/১২ কিমি = ৪০ কিমি

অর্থাৎ,

৪০ কিমি হাঁটে ১ দিনে

∵ ৩৬০ কিমি হাঁটে ৩৬০/৪০ দিনে = ৯ দিনে।

অতএব,

৯ দিনে ৩৬০ কিমি অতিক্রম করবে।

 জন লোক ২৮ দিনে কোনো জমির ফসল কাটতে পারে। ২৪ জন লোক কত দিনে  জমির ফসল কাটতে পারে?

সমাধানঃ

(৬ জন)×৪ = ২৪ জন

৬ জন লোক প্রদত্ত জমির ফসল কাটতে পারে ২৮ দিনে

∵ ৬×৪ বা ২৪ জন লোক ঐ জমির ফসল কাটতে পারে ২৮/ দিনে

= ৭ দিনে।

শতকরাঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান শতকরার উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় পাবেন এবং Class 6 Math Solution পাবেন

শতকরা হলো এমন একটি ভগ্নাংশ যার হর ১০০ যেখানে ভগ্নাংশটি ১০০ এর সাথে সম্পর্কিত এবং হরটি হলো সেই সংখ্যা যা ১০০ ভাগের নির্দিষ্ট অংশ বোঝায়। যেমন ৭% = /১০০ অর্থাৎ ১০০ ভাগের ৭ ভাগ।

একক কাজঃ এবার নিচের সমস্যাগুলো সমাধান করো।

) (এখানে শতকরা (%) কতঅংশ সবুজ রংকরা হয়েছে?

সমাধানঃ

এখানে, মোট ঘর সংখ্যা ১০০টি। ১০০টি ঘরের মধ্যে ৪৯টি ঘর সবুজ রং করা হয়েছে। অর্থাৎ শতকরা ৪৯ অংশ বা ৭৯% সবুজ রং করা হয়েছে।

(সবুজ রং করা আকৃতিটির নাম কীতুমি কি আগে কখনো দেখেছ এমন আকৃতি?

সমাধানঃ

সবুজ রং করা অংশটি বাংলাদেশের মানচিত্রের ন্যায়। হ্যাঁ আমি আগে এমন আকৃতি অর্থাৎ বাংলাদেশের মানচিত্র দেখেছি।

নিচের ছবি গুলোতে সম্পূর্ণ অংশের    রা (%) কত অংশ সবুজরং এবং কত অংশলাল রংকরা  য়ে ছে?

(তোমার উত্তরসবুজ রং করা অংশ = ……….%

            লাল রং করা অংশ = ………%

সমাধানঃ

সবুজ রং করা অংশ = ৫০%

লাল রং করা অংশ = ৫০%

(সবুজ রং করা আকৃতিটির নাম কীতুমি কি আগে কখনো দেখেছ এমন আকৃতি?

সমাধানঃ

সবুজ রং করা আকৃতি একটি আইসক্রিমের ন্যায়। হ্যাঁ, আগে এমন আকৃতি আমি দেখেছি যা একটি কাঠিসহ আইসক্রিম এর।

()

 

সবুজ রং করা অংশ = ……%

লাল রং করা অংশ = …….%

সমাধানঃ

সবুজ রং করা অংশ = ৫০%

লাল রং করা অংশ = ৫০%

[এখানে মোট ১০০টি ঘর আছে যার সবুজ ঘরের সংখ্যা ৫০টি ও লাল ঘরের সংখ্যা ৫০টি]

(

 

সবুজ রং করা অংশ = ……..%

লাল রং করা অংশ = …….%

সমাধানঃ

সবুজ রং করা অংশ = ৪৬%

লাল রং করা অংশ = ৫০%

[এখানে মোট ১০০টি ঘর আছে যার সবুজ ঘরের সংখ্যা ৪৬টি ও লাল ঘরের সংখ্যা ৫০টি]

নিচের .বি.তে দর্শকসারি বা গ্যা.লা.রি. শতকরা (%) কতঅংশ .র্শ..পূ.র্ণআছে এবং    রা কতঅংশ খালিআছে?

দর্শকপূর্ণ অংশ = …….%

খালি অংশ = ……….%

সমাধানঃ

দর্শকপূর্ণ অংশ = ২২%

খালি অংশ = ৭৮%

[এখানে গ্যালারিরতে মোট ১০০টি চেয়ার আছে যার ২২টি চেয়ারে দর্শক আছে অর্থাৎ ৭৮টি চেয়ার খালি আছে।]

ভগ্নাংশ ও শতকরার সম্পর্কঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান ভগ্নাংশ ও শতকরার উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় পাবেন

ভগ্নাংশকে আমরা শতকরায় পরিনত করতে পারি, এর জন্য আমরা আগে বুজবো যে শতকরা বলতে ১০০ এর ভিত্তিতে কোন কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করার পদ্ধতি। যেমনঃ ১০০ টি ফলের মধ্যে ৬০টি ফল আম হলে, আমের পরিমাণ ৬০% এবং এর ভগ্নাংশের আকার = ৬০/১০০। অর্থাৎ কোন ভগ্নাংশের হর যদি ১০০ হয় তাহলে ভাগ্নাংশটির লবই হবে ঐ ভগ্নাংশের শতকরার পরিমাণ। কিন্তু যদি ভগ্নাংশটির হর ১০০ না হয়, তাহলে উক্ত ভগ্নাংশকে যদি আমরা এমনভাবে পরিবর্তন করি যেন তার হর ১০০ হয়, সেক্ষেত্রে নতুন ভগ্নাংশের লব হবে প্রদত্ত ভগ্নাংশের শতকরার রুপ।

যেমনঃ ধরি, একটি ভগ্নাংশ /১০

এখন, এই ভগ্নাংশকে এমনভাবে পরিবর্তন করি যেন এর হর ১০০ হয় এবং লবও হরের পরিবর্তনের সাথে সঠিক মান বজায় রেখে পরিবর্তন হয় যা নিচে দেখানো হলোঃ

৬/১০ এর হর ও লবকে ১০ দ্বারা গুণ করে পাইঃ

৬×১০

= ———

১০×১০

৬০/১০০

= ৬০%

এখন, এই কাজটি আমরা সহজে করতে পারি, প্রদত্ত ভগ্নাংশকে আমরা ১০০ দ্বারা গুণ করতে প্রদত্ত ভগ্নাংশের শতকরা রুপ পেয়ে যাব।

৬/১০

/১০×১০০

= ৬০ অর্থাৎ /১০ এর শতকরা রুপ ৬০%।

নিচের সমস্যাগুলো সমাধান করো (২০৬ পৃষ্ঠা)

নিচের ভগ্নাংশ*গুলো * কাগজে সবুজ রং *রে শতকরায় প্রকাশ করো:

ক) সমাধানঃ

খ) সমাধানঃ

গ) সমাধানঃ

ঘ) সমাধানঃ

কোনো পরীক্ষায় মোট ৩০০ নম্বরের মধ্যে তুমি ২৪০ নম্বর পেয়েছ। তাহলে মোট নম্বরের শতকরা কত নম্বর পেলে?

সমাধানঃ

আমি পরীক্ষায় ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৪০ নম্বর পেয়েছি অর্থাৎ একে ভগ্নাংশে প্রকাশ করলে পাই

২৪০/৩০০

এখন, হর ৩০০ কে ১০০ তে রুপান্তরের জন্য ভগ্নাংশটির লব ও হরকে ৩ দ্বারা ভাগ করে পাই,

৮০/১০০

= ৮০%

অর্থাৎ, আমি শতকরা ৮০ নম্বর পেয়েছি।

অথবা,

২৪০/৩০০

২৪০/৩০০×১০০%

= ৮০%

অর্থাৎ, আমি শতকরা ৮০ নম্বর পেয়েছি।

ছবিতে একটি দেয়ালের অংশ রং করা হলো। তাহলেদেয়ালের শতকরা কত অংশ রং করা হয়েছে?

সমাধানঃ

ছবিতে দেয়ালের ৪ অংশের মধ্যে ৩ অংশে রং করা হয়েছে অর্থাৎ / অংশ রং করা হয়েছে।

এখন,

৩/

৩×২৫

= ———–

৪×২৫

৭৫/১০০

= ৭৫%

নিচে* ছবিটি*তে মেয়ে শিশুর *বি সম্পূর্ণ ছবি* কত অংশ?

সমাধানঃ

ছবিতে ৫টি অংশ আছে যার ২টি অংশ হলো মেয়ে শিশুর ছবির অংশ।

অর্থাৎ,

সম্পূর্ণ ছবিতে / অংশ হলো মেয়ে শিশুর ছবি।

এখন,

২/

২×২০

= ———–

৫×২০

৪০/১০০

= ৪০%

অর্থাৎ, সম্পূর্ণ ছবিতে মেয়ে শিশুর ছবি হলো = ৪০% = ৪০/১০০ = /

 

নিচের *বিতে মো* আমে* শতকরা * অংশ কাঁচা আম?

সমাধানঃ

ছবিতে ৮টি আমের মধ্যে ৪টি কাঁচা আম।

অতএব, কাঁচা আম মোট আমের / অংশ।

এখন,

/

/

১×৫০

= ———–

২×৫০

৫০/১০০

= ৫০%

অর্থাৎ, মোট আমের ৫০% কাঁচা আম।

বার মডেলে শতকরা

কোন বারের নির্দিষ্ট অংশ পূর্নাঙ্গ বারের কত অংশ তা স্কেল ব্যবহার করে শতকরায় প্রকাশ পদ্ধতি হলো বার মডেলে শতকরা। আমরা পাঠ্যবইয়ের ২১০ পৃষ্ঠাতে প্রতিটি বারের কত অংশ সবুজ বা লাল তা উল্লেখিত স্কেলের মাধ্যমে শতকরায় প্রকাশ করেছি। এর জন্য নিন্মোক্ত চিত্রের স্কেল ও বারগুলো লক্ষ্য করি।

#ছবিতে দেখানো স্কেল ব্যবহার করে বারগুলোর শতকরা কত অংশ সবুজ রং এবং শতকরা কত অংশ লাল রং করা আছে নির্ণয় করোঃ

সমাধানঃ

ক) সবুজ অংশ = ৬০% এবং লাল অংশ = ৪০%

খ) সবুজ অংশ = ৫৫% এবং লাল অংশ = ৪৫%

গ) সবুজ অংশ = ৮২% এবং লাল অংশ = ১৮%

ঘ) সবুজ অংশ = ২০% এবং লাল অংশ = ৮০%

#তিশা ২৫০০ টাকা নিয়ে খুলনা থেকে সিলেটে যাওয়ার বাসে উঠল। বাস ভাড়া দিতে হলো ৮০০ টাকা। যাওয়ার পথে বাস থামলে তিশা কিছু খাবার কিনে খেলো। সিলেট পৌঁছানোর পর সে দেখল তার মোট টাকার শতকরা ৮০ ভাগই খরচ হয়ে গেছে।

এখন তুমি কি বলতে পারবে

বাস ভাড়া তিশার কাছে থাকা মোট টাকার শতকরা কত অংশ?

তিশা মোট কত টাকা খরচ করেছে?

তিশার কাছে কত টাকা অবশিষ্ট ছিল?

তিশা কত টাকার খাবার খেয়েছিল?

খাবার খরচ মোট টাকার শতকরা কত অংশ?

খাবার খরচ মোট খরচের শতকরা অংশ?

সমাধানঃ

ক)

তিশার কাছে মোট টাকা ছিল ২৫০০ টাকা

এবং বাস ভাড়া দিতে হলো ৮০০ টাকা

তাহলে,

বাস ভাড়া মোট টাকার

বাস ভাড়া/মোট টাকা × ১০০%

৮০০/২৫০০×১০০%

= ৩২%

খ)

প্রশ্নমতে,

তিশা মোট টাকার শতকরা ৮০ ভাগ টাকা খরচ করেছে।

অর্থাৎ, তিশা মোট খরচ করেছে মোট টাকার ৮০%

= ২৫০০ এর ৮০%

= ২৫০০ × ৮০/১০০ টাকা

= ২০০০ টাকা।

গ)

তিশার কাছে মোট ছিল ২৫০০ টাকা

এবং সে মোট খরচ করল ২০০০ টাকা (খ হতে পাই)।

তাহলে, তিশার কাছে অবশিষ্ট ছিল

= মোট টাকা – মোট খরচ

= ২৫০০ টাকা – ২০০০ টাকা

= ৫০০ টাকা।

ঘ)

তিশা মোট খরচ করল ২০০০ টাকা

এবং তিশা মোট বাস ভাড়া চিল ৮০০ টাকা।

অতএব,

তিশার খাবার খরচ

= মোট খরচ – বাস ভাড়া

= ২০০০ টাকা – ৮০০ টাকা

= ১২০০ টাকা।

ঙ)

তিশার কাছে মোট ছিল ২৫০০ টাকা

এবং তিশার খাবার খরচ ১২০০ টাকা।

তাহলে,

খাবার খরচ মোট টাকার

খাবার খরচ/মোট টাকা×১০০%

১২০০/২৫০০×১০০%

= ৪৮%

চ)

তিশা মোট খরচ করল ২০০০ টাকা (খ হতে পাই)

তিশার খাবার খরচ = ১২০০ টাকা (ঘ হতে পাই)

অতএব,

খাবার খরচ মোট খরচের

খাবার খরচ/মোট খরচ ×১০০%

১২০০/২০০০×১০০%

= ৬০%

অনুপাতঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান অনুপাতের উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

সচারাচার আমরা প্রায়ই একই প্রকারের দুটি জিনিসের তুলনা করে থাকি। যেমন ধরা যাক, করিমের উচ্চতা ১৬০ ও তার বোন তুলির উচ্চতা ১৫৩ সে.মি.। এখন কিভাবে তুমি দু’জনের উচ্চতা তুলনা করবে বলে মনে হয়? একটা উপায় হল দুই উচ্চতা বিয়োগ করে পার্থক্য নির্নয় করা। অর্থাৎ, করিমের উচ্চতা তার বোন তুলির চেয়ে (১৬০ – ১৫৩) সে.মি. = ৭ সে.মি. বেশি। এবারে চলো একটা টিকটিকি ও একটা পিঁপড়ার দৈর্ঘ্যের তুলনা করি। মনে করো, টিকটিকির দৈর্ঘ্য ৭ সে.মি. এবং পিপড়ার দৈর্ঘ্য ১ সে.মি.। তাহলে এখানেও টিকটিকি ও পিঁপড়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য (৭-১) সে.মি. বা ৬ সে.মি.।

এখানে দেখা যাচ্ছে, করিম ও তুলির উচ্চতার পার্থক্য এবং টিকটিকি ও পিঁপড়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য একই। কিন্তু করিম ও তুলির উচ্চতার পার্থক্য ৭ সে.মি. এই কথাটা থেকে তাদের উচ্চতার ব্যাপারে যে ধারণা পাওয়া যায়; টিকটিকি ও পিঁপড়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য ৬ সে.মি. এই কথাটা থেকে যদি তুমি একই ধরনের ধারণা পেয়ে থাক, তাহলে সেটা কতখানি সঠিক হবে? তুমিই নিজেই চিন্তা করে দেখো তো।

এর চেয়ে বরং কয়টি পিঁপড়া পরপর বসিয়ে একটা টিকটিকির দৈর্ঘ্যের সমান হয় সেটা জানলে এক্ষেত্রে আরও ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। যা তুমি টিকটিকির দৈর্ঘ্যকে পিঁপড়ার দৈর্ঘ্য দিয়ে ভাগ করলে পাবে অর্থাৎ, ৮টি পিঁপড়া পরপর বসিয়ে একটা টিকটিকির দৈর্ঘ্যের সমান হয়। আবার এভাবেও বলতে পারো, টিকটিকির দৈর্ঘ্য পিঁপড়ার দৈর্ঘ্যের ৭ গুণ বা, টিকটিকি দৈর্ঘ্যে পিঁপড়ার তুলনায় ৭ গুণ বড়।

অর্থাৎ,

ভাগের মাধ্যমে কতগুণ বড় বা ছোট তা আমরা তুলনা করতে পারি। আর ভাগের মাধ্যমে কতগুণ ছোট কিংবা বড় সেই বিষয়ক তুলনাকেই অনুপাত বলে। অনুপাতের গাণিতিক চিহ্ন হলোঃ :।

গাণিতিকিভাবে লেখা হয়,

টিকটিকি ও পিঁপড়ার দৈর্ঘ্যের অনুপাত = ৭ : ১

আবার, পিঁপড়ার দৈর্ঘ্যকে টিকটিকির দৈর্ঘ্য দিয়ে ভাগ করলে পাবে: /

অর্থাৎ, পিঁপড়ার দৈর্ঘ্য টিকটিকির দৈর্ঘ্যের ৮ ভাগের ১ ভাগের সমান। আবার এভাবেও বলতে পারো, পিঁপড়া দৈর্ঘ্যে টিকটিকির তুলনায় ৭ গুণ ছোট।

গাণিতিকিভাবে লেখা হয়,

পিঁপড়া ও টিকটিকির দৈর্ঘ্যে র অনুপাত = ১ : ৭

কাজেই, অনুপাত মূলত একটা ভগ্নাংশ।

অনুপাতের সাহায্যে বাস্তব সমস্যার সমাধানঃ (২১৪ পৃষ্ঠা)

#শওকতের ভর ৩০ কেজি এবং তার পিতার ভর ৬০ কেজি  শওকতের ভর তার পিতার ভরের কতগুণ?

সমাধানঃ

শওকত ও পিতার ভরের অনুপাত

= ৩০ : ৬০

৩০/৬০

/

= ২ : ১

অতএব, শওকতের ভর পিতার ভরের / গুণ।

#তোমার শ্রেণির জন্য তথ্য সংগ্রহ করে নিচের খালিঘর পূরণ করো। (২১৫ পৃষ্ঠা)

ছাত্র সংখ্যা = □

ছাত্রী সংখ্যা = □

মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা = □

* ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার অনুপাত

/ = / (লব ও হরকে □ দ্বারা ভাগ করে) = □ : □

* ছাত্র সংখ্যা-মোট শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাত

/ = / (লব ও হরকে □ দ্বারা ভাগ করে) = □ : □

* ছাত্রী সংখ্যা-মোট শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাত

/ = / (লব ও হরকে □ দ্বারা ভাগ করে) = □ : □

* মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ও ছাত্র সংখ্যার অনুপাত

/ = / (লব ও হরকে □ দ্বারা ভাগ করে) = □ : □

* মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ও ছাত্রী সংখ্যার অনুপাত

/ = / (লব ও হরকে □ দ্বারা ভাগ করে) = □ : □

সমাধানঃ

ছাত্র সংখ্যা = ২০

ছাত্রী সংখ্যা = ১৮

মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা = ৩৮

* ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার অনুপাত

২০/১৮ = ১০/ (লব ও হরকে ২ দ্বারা ভাগ করে) = ১০ : ৯

* ছাত্র সংখ্যা-মোট শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাত

২০/৩৮ = ১০/১৯ (লব ও হরকে ২ দ্বারা ভাগ করে) = ১০ : ১৯

* ছাত্রী সংখ্যা-মোট শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাত

১৮/৩৮ = /১৯ (লব ও হরকে ২ দ্বারা ভাগ করে) = ৯ : ১৯

* মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ও ছাত্র সংখ্যার অনুপাত

৩৮/২০ = ১৯/১০ (লব ও হরকে ২ দ্বারা ভাগ করে) = ১৯ : ১০

* মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ও ছাত্রী সংখ্যার অনুপাত

৩৮/১৮ = ১৯/ (লব ও হরকে ২ দ্বারা ভাগ করে) = ১৯ : ৯

#নিচের আয়তাকার ক্ষেত্রের সবগুলো অংশ সমান দৈর্ঘ্যের।

সবুজ রং করা অংশ এবং হলুদ রং করা অংশের দৈর্ঘ্যের অনুপাত = / = □ : □

হলুদ রং করা অংশ এবং সবুজ রং করা অংশের দৈর্ঘ্যের অনুপাত = / = □ : □

সবুজ রং করা অংশ এবং সম্পূর্ণ আয়তাকার ক্ষেত্রের দৈর্ঘ্যের অনুপাত = / = □ : □

হলুদ রং করা অংশ এবং সম্পূর্ণ আয়তাকার ক্ষেত্রের দৈর্ঘ্যের অনুপাত = / = □ : □

সমাধানঃ

আয়তার ক্ষেত্রটিতে সবুজ রং করা অংশের দৈর্ঘ্য আছে ২ একক ও হলুদ রং করা অংশের দৈর্ঘ্য আছে ৫ একক, অর্থাৎ সম্পূর্ণ রং করা অংশের দৈর্ঘ্য আছে (২+৫) একক = ৭ একক।

তাহলে,

সবুজ রং করা অংশ এবং হলুদ রং করা অংশের দৈর্ঘ্যের অনুপাত = / = ২ : ৫

হলুদ রং করা অংশ এবং সবুজ রং করা অংশের দৈর্ঘ্যের অনুপাত = / = ৫ : ২

সবুজ রং করা অংশ এবং সম্পূর্ণ আয়তাকার ক্ষেত্রের দৈর্ঘ্যের অনুপাত = / = ২ : ৭

হলুদ রং করা অংশ এবং সম্পূর্ণ আয়তাকার ক্ষেত্রের দৈর্ঘ্যের অনুপাত = / = ৫ : ৭

#রফিক দোকান থেকে  প্যাকেট লাল কলম এবং  প্যাকেট নীল কলম কিনল। (২১৬ পৃষ্ঠা)

লাল এবং নীল কলমের প্যাকেট সংখ্যার অনুপাত

/

/ (লব ও হরকে □ দ্বারা ভাগ করে)

= □ : □

লাল এবং নীল কলমের প্রতিটি প্যাকেটে ১০ টি করে কলম থাকে।

তাহলে, রফিক লাল কলম কিনেছে = ৬ × □ = □ টি

এবং, নীল কলম কিনেছে = ২ × □ = □ টি

লাল কলম ও নীল কলম সংখ্যার অনুপাত

/

/ (লব ও হরকে □ দ্বারা ভাগ করে)

= □ : □

লাল কলম ও নীল কলমের প্যাকেট সংখ্যার অনুপাত এবং লাল কলম ও নীল কলম সংখ্যার অনুপাত কি একই?

□ হ্যাঁ       □না

সমাধানঃ

লাল এবং নীল কলমের প্যাকেট সংখ্যার অনুপাত

/

/ (লব ও হরকে ২ দ্বারা ভাগ করে)

= ৩ : ১

লাল এবং নীল কলমের প্রতি প্যাকেটে ১০টি করে কলম থাকে।

তাহলে, রফিক লাল কলম কিনেছে = ৬ × ১০ = ৬০ টি

এবং, নীল কলম কিনেছে = ২ × ১০ = ২০ টি

লাল কলম ও নীল কলম সংখ্যার অনুপাত

৬০/২০

/ (লব ও হরকে ২০ দ্বারা ভাগ করে)

= ৩ : ১

লাল কলম ও নীল কলমের প্যাকেট সংখ্যার অনুপাত এবং লাল কলম ও নীল কলম সংখ্যার অনুপাত কি একই?

উত্তরঃ হ্যাঁ

#মনিকা দোকান থেকে  প্যাকেট লাল কলম এবং  প্যাকেট নীল কলম কিনল।

লাল এবং নীল কলমের প্যাকেট সংখ্যার অনুপাত

/

/ (লব ও হরকে □ দ্বারা ভাগ করে)

= □ : □

লাল কলমের প্রতি প্যাকেটে ১০টি করে কলম থাকে। নীল কলমের প্রতি প্যাকেটে ১২টি করে কলম থাকে।

তাহলে, মনিকা লাল কলম কিনেছে = ৬ × □ = □ টি

এবং, নীল কলম কিনেছে = ২ × □ = □ টি

লাল কলম ও নীল কলম সংখ্যার অনুপাত

/

/ (লব ও হরকে □ দ্বারা ভাগ করে)

= □ : □

লাল কলম ও নীল কলমের প্যাকেট সংখ্যার অনুপাত এবং লাল কলম ও নীল কলম সংখ্যার অনুপাত কি একই?

□ হ্যাঁ       □না

সমাধানঃ

লাল এবং নীল কলমের প্যাকেট সংখ্যার অনুপাত

/

/ (লব ও হরকে ২ দ্বারা ভাগ করে)

= ৩ : ১

লাল কলমের প্রতি প্যাকেটে ১০টি করে কলম থাকে। নীল কলমের প্রতি প্যাকেটে ১২টি করে কলম থাকে।

তাহলে, মনিকা লাল কলম কিনেছে = ৬ × ১০ = ৬০ টি

এবং, নীল কলম কিনেছে = ২ × ১২ = ২৪ টি

লাল কলম ও নীল কলম সংখ্যার অনুপাত

৬০/২৪

/ (লব ও হরকে ১২ দ্বারা ভাগ করে)

= ৫ : ২

লাল কলম ও নীল কলমের প্যাকেট সংখ্যার অনুপাত এবং লাল কলম ও নীল কলম সংখ্যার অনুপাত কি একই?

উত্তরঃ  না

#ছবিতে দেখানো শিশুটির ভর  মাছগুলোর ভরের অনুপাত (২১৭ পৃষ্ঠা)

/

/ (লব ও হরকে □ দ্বারা ভাগ করে)

= □ : □

সমাধানঃ

ছবিতে, শিশুটির ভর = ৪.২ কেজি

এবং মাছগুলোর ভর = ১.৪ কেজি।

তাহলে,

শিশুটির ভর ও মাছগুলোর ভরের অনুপাত

./.

/ (লব ও হরকে ১.৪ দ্বারা ভাগ করে)

= ৩ : ১

#আবার মনে করিভাইয়ের বয়স  বছর  বোনের বয়স  মাস। তাদের বয়সের অনুপাত বের কত? (২১৮ পৃষ্ঠা)

সমাধানঃ

দেওয়া আছে,

ভাইয়ের বয়স = ৩  বছর = ৩×১২ মাস = ৩৬ মাস [১ বছর = ১২ মাস বলে]

এবং বোনের বয়স = ৬ মাস।

তাহলে,

তাদের বয়সের অনুপাত

৩৬/

/

= ৬ : ১

#একটি শিশুর বয়স  বছর এবং অন্য একটি শিশুর বয়স  বছর  মাস। তাহলে শিশু দুইটির বয়সের অনুপাত নির্ণয় কর। (২১৮ পৃষ্ঠা)

সমাধানঃ

১ম শিশুটির বয়স

= ৬ বছর

= ৬×১২ মাস

= ৭২ মাস

২য় শিশুটির বয়স

= ৯ বছর ৬ মাস

= ৯×১২ মাস + ৬ মাস

= ১০৮ মাস + ৬ মাস

= ১১৪ মাস

অতএব,

শিশু দুইটির বয়সের অনুপাত

৭২/১১৪

= ১২/১৯

=১২ : ১৯

এবার অনুপাতের ধা র ণা অনুসারে নি চে র সমস্যাগুলোর স মা ধা ন করো:

নিচের সংখ্যাদ্বয়ের প্রথম রাশি  দ্বিতীয় রাশির অনুপাত নির্ণয় করো:

(ক) ২৫ ও ৩৩৫

সমাধানঃ

১ম রাশি = ২৫, ২য় রাশি = ৩৩৫

তাহলে, নির্নেয় অনুপাত

= ২৫ : ৩৩৫

= ৫ : ৬৭ [উভয় রাশিকে ৫ দ্বারা ভাগ করে]

(খ) ৭/ ও ৯/

সমাধানঃ

১ম রাশি = ৭/ = ২২/, ২য় রাশি = ৯/ ৪৭/

তাহলে, নির্নেয় অনুপাত

২২/ : ৪৭/

২২×১৫/ : ৪৭×১৫/ [উভয় রাশিকে ১৫ দ্বারা গুণ করে]

= ২২×৫ : ৪৭×৩

= ১১০ : ১৪১

(গ) ১.২৫ ও ৭.৫

সমাধানঃ

১ম রাশি = ১.২৫, ২য় রাশি = ৭.৫

তাহলে, নির্নেয় অনুপাত

= ১.২৫ : ৭.৫

= ১২৫ : ৭৫০ [উভয় রাশিকে ১০০ দ্বারা গুণ করে]

= ১ : ৬ [উভয় রাশিকে ১২৫ দ্বারা ভাগ করে]

(ঘ) ৮/ ও ০.১২৫

সমাধানঃ

১ম রাশি = ৮/, ২য় রাশি = ০.১২৫

তাহলে, নির্নেয় অনুপাত

= ৮/ : ০.১২৫

২৬/ : ০.১২৫

২৬/ : ১২৫/১০০০

২৬/ : /

= ২৬ : / [উভয় রাশিকে ৩ দ্বারা গুণ করে]

= ২৬×৮ : ৩ [উভয় রাশিকে ৮ দ্বারা গুণ করে]

= ২০৮ : ৩

(ঙ) ১ বছর ২ মা স ও ৭ মা স

সমাধানঃ

১ম রাশি = ১ বছর ২ মাস = ১২ মাস + ২ মাস = ১৪ মাস,

২য় রাশি = ৭ মাস

তাহলে, নির্নেয় অনুপাত

= ১৪  : ৭

= ২ : ১ [উ ভ য় রা শি কে ৭ দ্বা রা ভাগ করে]

(চ) ৭ কেজি ও ২ কেজি ৩০০ গ্রাম

সমাধানঃ

১ম রাশি = ৭ কেজি = ৭×১০০০ গ্রাম = ৭০০০ গ্রাম,

২য় রাশি = ২ কেজি ৩০০ গ্রাম = ২×১০০০ গ্রাম + ৩০০ গ্রাম = ২৩০০ গ্রাম

তাহলে, নির্নেয় অনুপাত

= ৭০০০  : ২৩০০

= ৭০ : ২৩ [উভয় রাশিকে ১০০ দ্বারা ভাগ করে]

(ছ) ২ টাকা ও ৪০ পয়সা

সমাধানঃ

১ম রাশি = ২ টাকা = ২×১০০ পয়সা = ২০০ পয়সা,

২য় রাশি = ৪০ পয়সা

তাহলে, নির্নেয় অনুপাত

= ২০০  : ৪০

= ৫ : ১ [উভয় রাশিকে ৪০ দ্বারা ভাগ করে]

তুমি ক্লাসে কত*গুলো বই  কত*গুলো খাতা নিয়ে এসেছ তা গণনা করে নিচের কাজ*গুলো করো:

ক) খাতা ও বই*য়ের সংখ্যার অনুপাত নি*র্ণয় করো।

খ) খাতা*গুলোর মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং বইগুলোর মোট পৃষ্ঠা*সংখ্যার অনুপাত নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

ক)

আমি ক্লাসে ৭টি বই ও ৫টি খাতা নিয়ে এসেছি।

তাহলে,

খাতা ও বইয়ের সংখ্যার অনুপাত

= ৫ : ৭

খ)

প্রতিটি খাতায় ১০০টি পৃষ্ঠা ও প্রতিটি বইয়ে ১৫০টি পৃষ্ঠা আছে।

তাহলে,

৫টি খাতায় মোট পৃষ্ঠা আছে = ৫×১০০ টি = ৫০০ টি।

৭টি বইয়ে মোট পৃষ্ঠা আছে = ৭×১৫০ টি = ১০৫০ টি

অতএব,

খাতাগুলোর মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং বইগুলোর মোট পৃষ্ঠাসংখ্যার অনুপাত

= ৫০০ : ১০৫০

= ১০ : ২১ [উভয়পক্ষকে ৫০ দ্বারা ভাগ করে]

স্কেলের সাহায্যে তোমার গণিত বইয়ের দৈর্ঘ্য  প্রস্থ মেপে বের করো এবং এদের মধ্যকার অনুপাত নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

স্কেলের সাহায্যে আমি আমার গণিত বইয়ের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ পেলাম যথাক্রমে ৮ ইঞ্চি ও ৬ ইঞ্চি।

তাহলে, নির্নেয় অনুপাতঃ

= ৮ : ৬

= ৪ : ৩ [উভয়পক্ষকে ২ দ্বারা ভাগ করে]

তোমার শ্রেণি*কক্ষবাড়িতে বা অন্য কোনো স্থা*নে ৩টি ভিন্ন ভিন্ন টেবিল খজেুঁ বের করো।

ক) প্রতিটি টেবিলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ পরি*মাপ করো এবং তাদের মধ্য*কার অনু*পাত নির্ণয় করো।

খ) কোন টেবিলের ক্ষেত্রে দৈ*র্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত সব*চেয়ে বেশি তা নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

ক)

১ম টেবিল, ২য় টেবিল ও ৩য় টেবিল যথাক্রমে আমি আমার শ্রেণিকক্ষে, আমার বাড়ির ডাইনিঙয়ে ও আমার পড়ার কক্ষে খুঁজে পেলাম।

১ম টেবিলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ৪ ফুট ও ৩ ফুট

অতএব, ১ম টেবিলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত

= ৪ : ৩

২য় টেবিলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ৬ ফুট ও ৩ ফুট

অতএব, ২য় টেবিলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত

= ৬ : ৩

= ২ : ১ [উভয়পক্ষকে ৩ দ্বারা ভাগ করে]

৩য় টেবিলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ৩ ফুট ও ২ ফুট

অতএব, ৩য় টেবিলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত

= ৩ : ২

(খ)

১ম টেবিলের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অনুপাত = ৪ : ৩ = /

২য় টেবিলের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অনুপাত = ২ : ১ = /

৩য় টেবিলের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অনুপাত = ৩ : ২ = /

অনুপাত ত্রয়ের হরগুলোর লয়াসগু = ৬

৬ ÷৩ = ২, ×/× /

৬ ÷১ = ৬, ×/× ১২/

৬ ÷২ = ৩, ×/× /

অর্থাৎ, ভগ্নাংশত্রয়কে সমহরে রুপান্তরের পরে আমরা দেখি ভগ্নাংশগুলোর ক্ষেত্রে এদের লবগুলোকে তুলনা করে পাই, ১২>৯>৮

তাহলে, ১২/ বা / বা ২য় টেবিলের ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত সবচেয়ে বেশি।

তুমি কি এমন কোনো গল্প বা ঘটনা জা*নো যেখানে ‘অনুপাত’ শব্দ*টা ব্যব*হার করা হয়েছেঅথবা কোথাও কি ‘অনুপাত’ শব্দ*টি বা অনুপাত চিহ্ন ‘:’ লেখা দেখে*এরকম কয়েকটি বাস্তব ঘটনা খজেুঁ বের করো এবং কীভাবে খজেুঁ পেলে বা কোথায় পেয়েছ তার ছবি অথবা বর্ণনা লিখে শিক্ষক  তোমার সহপাঠীদেরকে বলো।

সমাধানঃ

(১) আমাদের জাতীয় পয়াকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত

= ১০ : ৬

এবং পতাকার দৈর্ঘ্য ও বৃত্তের ব্যাসার্ধের অনুপাত

= ৫ : ১

(২) বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত

= ২২ : ৭

তোমাদের চারপাশে বাস্তবে দেখেছ বা শুনেছ এমন কিছু উদাহরণ খজেুঁ বের করো যেখানে একই রকম বা সমজাতীয় দুইটি রাশির মধ্যে তুলনা করা হয়েছে কিন্তু একক ভিন্ন ভিন্ন ছিল। তারপর কীভাবে ভিন্ন এককগুলোকে একই এককে রুপান্তর করা হলো তা লেখো।

সমাধানঃ

প্রশ্ন অনুসারে আমি রাসেল ও তার পিতার উচ্চতার ক্ষেত্রে দুইটি ভিন্ন এককে তুলনা করতে দেখেছি।

এখানে,

রাসেলের পিতার উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি

এবং রাসেলের উচ্চতা ৩৬ ইঞ্চি

এখন, ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি কে একই একক ইঞ্চিতে রূপান্তরঃ

৫ ফুট ৬ ইঞ্চি

= ৫×১২ ইঞ্চি + ৬ ইঞ্চি

= ৬০ + ৬ ইঞ্চি

= ৬৬ ইঞ্চি

অর্থাৎ, রাসেল ও তার পিতার উচ্চতার অনুপাত

= ৩৬ : ৬৬

= ৬ : ১১

আবার,

করিম সাহেবের বয়স ৩০ বছর এবং তার বাচ্চার বয়স ৬ মাস।

৩০ বছরকে একই একক মাসে রুপান্তরঃ

৩০ বছর

= ৩০×১২ মাস

= ৩৬০ মাস

তাহলে,

করিম সাহেব ও তার বাচ্চার বয়সের অনুপাত

= ৩৬০ : ৬

= ৬০ : ১

সমতুল অনুপাতঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান সমতুল অনুপাতের উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

কোনো ভগ্নাংশের লব ও হরকে শুন্য (০) ছাড়া অন্য কোনো সংখ্যা দিয়ে গুণ বা ভাগ করলে ভগ্নাংশের মানের পরিবর্তন হয় না এবং সমতুল ভগ্নাংশ পাওয়া যায়। কোন ভগ্নাংশকে লব ও হরের গসাগু দিয়ে ভাগ করে ভগ্নাংশটিকে লঘিষ্ঠ আকারে প্রকাশ করা যায়। আমরা জানি, অনুপাত একটি ভগ্নাংশ। অনুপাতকে ভগ্নাংশে রূপান্তর করা হলে- অনুপাতের প্রথম পদটি ভগ্নাংশের লব হিসাবে লেখা হয় এবং একে বলা হয় অনুপাতের পূর্ব রাশি। অনুপাতের দ্বিতীয় পদটি ভগ্নাংশের হর হিসাবে লেখা হয় এবং একে বলা হয় অনুপাতের উত্তর রাশি। তাহলে দেখা যাচ্ছে, সমতুল ভগ্নাংশ ও সমতুল অনুপাত মূলত সমার্থক। অর্থাৎ, অনুপাতের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি- অনুপাতের পূর্ব ও উত্তর রাশিকে শূন্য (০) ব্যতীত কোনো সংখ্যা দ্বারা গুণ বা ভাগ করলে অনুপাতের মানের কোনো পরিবর্তন হয় না এবং প্রাপ্ত অনুপাতগুলোকে সমতুল অনুপাত বলা হয়। সমতুল ভগ্নাংশ গঠন করার উপায়েই সমতুল অনুপাত গঠন সম্ভব। একটি অনুপাতের রাশি দুইটিকে তাদের গসাগু দ্বারা ভাগ করে অনুপাতটিকে সরলীকরণ করা যায়।

উদাহরণঃ

২ : ৩= / = ×/× = / =৪ : ৬

এবং,

৬ : ১২= /১২ = ÷/১২÷ = / =৩ : ৬

নিচের সমস্যাগুলো সমাধান করো:

নিচের অনুপাতগুলোকে সরলীকরণ করো

(ক) ৯ : ১২

সমাধানঃ

৯ : ১২

/১২

৩×৩

= ——

৩×৪

/

= ৩ : ৪

(খ) ১৫ : ২১

সমাধানঃ

১৫ : ২১

১৫/২১

৩×৫

= ——

৩×৭

/

= ৫ : ৭

(গ) ৪৫ : ৩৬

সমাধানঃ

৪৫ : ৩৬

৪৫/৩৬

৩×৩×৫

= ———-

৩×৩×৪

/

= ৫ : ৪

(ঘ) ৬৫ : ২৬

সমাধানঃ

৬৫ : ২৬

৬৫/২৬

১৩×৫

= ——-

১৩×২

/

= ৫ : ২

নিচের সমতুল অনুপাতগুলোকে চিহ্নিত করো

(১২ : ১৮;  ( : ১৮;  (১৫ : ১০;  ( : ;  ( : ; ( : ; ( : ;  ( : ; (১২ : 

সমাধানঃ

এখানে,

১ম অনুপাত

= ১২ : ১৮

১২/১৮

৬×২

= ——-

৬×৩

/

২য় অনুপাত

= ৬ : ১৮

/১৮

৬×১

= ——-

৬×৩

/

৩য় অনুপাত

= ১৫ : ১০

১৫/১০

৫×৩

= ——-

৫×২

/

৪র্থ অনুপাত

= ৩ : ২

/

৫ম অনুপাত

= ৬ : ৯

/

৩×২

= ——-

৩×৩

/

৬ষ্ট অনুপাত

= ২ : ৩

/

৭ম অনুপাত

= ১ : ৩

/

৮ম অনুপাত

= ২ : ৬

/

২×১

= ——-

২×৩

/

৯ম অনুপাত

= ১২ : ৮

১২/

৪×৩

= ——-

৪×২

/

অর্থাৎ, অনুপাতগুলোর সরলীকৃত ভগ্নাংশগুলোর তুলনা করে পাই,

৬ :৯; ১২ : ১৮ ও ২ :৩ সমতুল অনুপাত

৬ : ১৮; ১ : ৩ ও ২ : ৬ সমতুল অনুপাত

১৫ : ১০; ৩ : ২ ও ১২ : ৮ সমতুল অনুপাত।

কোনো একটি স্কুলে ৪৫০ জন ছেলে এবং ৫০০ জন মেয়ে আছে। স্কুলের ছেলে  মেয়ের সংখ্যার অনুপাতকে সরলীকৃত আকারে লেখো।

সমাধানঃ

প্রদত্ত স্কুলে ছেলে ও মেয়ের সংখ্যার অনুপাত = ৪৫০ : ৫০০

এখন,

৪৫০ : ৫০০

৪৫০/৫০০

৫×৯×১০

= ————-

৫×১০×১০

/১০

= ৯ : ১০

অতএব, নির্নেয় উত্তরঃ ৯ : ১০

নিচের সমতুল অনুপাতগুলোর খালিঘর পূরণ করো

(ক) ২ :৩ = ৮ :⬜

সমাধানঃ

২ : ৩ = ৮ : ⬜

বা,  / = /⬜

বা, ২×⬜  = ৩×৮

বা,  ২×⬜  = ২৪

বা, ⬜ = ২৪/

বা, ⬜ = ১২

(খ) ৫ : ৬ = ⬜ : ৩৬

সমাধানঃ

৫ : ৬ = ⬜ : ৩৬

বা,  / = ⬜/৩৬

বা, ৬×⬜  = ৫×৩৬

বা,  ⬜  = ×৩৬/

বা, ⬜ = ৫×৬

বা, ⬜ = ৩০

(গ) ৭ :⬜ = ৪২ :৫৪

সমাধানঃ

৭ : ⬜ = ৪২ : ৫৪

বা,  /⬜ = ৪২/৫৪

বা, ৪২×⬜  = ৭×৫৪

বা,  ⬜  = ×৫৪/৪২

বা, ⬜ = ××/×

বা, ⬜ = ৯

(ঘ)⬜  : ৯ = ৬৩ : ৮১

সমাধানঃ

⬜  : ৯ = ৬৩ : ৮১

বা,  ⬜/ = ৬৩/৮১

বা, ৮১×⬜  = ৯×৬৩

বা,  ⬜  = ×৬৩/৮১

বা, ⬜ = ××/×

বা, ⬜ = ৭

একটি হলঘরের প্রস্থ  দৈর্ঘ্যের অনুপাত ৫। প্রস্থ  দৈর্ঘ্যের সম্ভাব্য মান বসিয়ে সারণিটি পূরণ করো।

প্রস্থ১০৪০১৬০২.২৫১৫/
দৈর্ঘ্য২৫৫০২০০/

সমাধানঃ

দেওয়া আছে,

প্রস্থ : দৈর্ঘ্য = ২ : ৫

বা, প্রস্থ/দৈর্ঘ্য = /

বা, দৈর্ঘ্য×২ = প্রস্থ×৫

বা, দৈর্ঘ্য = /×প্রস্থ

বা, প্রস্থ = /×দৈর্ঘ্য

তাহলে,

দৈর্ঘ্য যখন ৫০ তখন প্রস্থ

/×৫০

= ২০

প্রস্থ যখন ৪০ তখন দৈর্ঘ্য

/×৪০

= ১০০

দৈর্ঘ্য যখন ২০০ তখন প্রস্থ

/×২০০

= ৮০

প্রস্থ যখন ১৬০ তখন দৈর্ঘ্য

/×১৬০

= ৪০০

দৈর্ঘ্য যখন / তখন প্রস্থ

/×/

/২০

/১০

প্রস্থ যখন ২.২৫ তখন দৈর্ঘ্য

/×২.২৫

= ৫.৬২৫

প্রস্থ যখন ১৫/ তখন দৈর্ঘ্য

/×১৫/

/×৭৮/

= ৩৯

তাহলে এই মানগুলো বসিয়ে পূরনকৃত সারনীটি নিন্মরুপঃ

প্রস্থ১০২০৪০৮০১৬০/১০২.২৫১৫/
দৈর্ঘ্য২৫৫০১০০২০০৪০০/৫.৬২৫৩৯

তোমাদে* শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে* যেকোনো তিনটি কক্ষে* দৈর্ঘ্য  প্রস্থ কত তা পরিমাপ করো অথবা শিক্ষকে* সহায়তায় তথ্য সংগ্রহ করো।

প্রতিটি কক্ষে* দৈর্ঘ্য  প্রস্থে* অনুপাত বের করো।

সমাধানঃ

আমার বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে

৫ মিটার ও ৩ মিটার;

৯ মিটার ও ৬ মিটার;

৮ মিটার ও ৬ মিটার।

এখন,

দৈর্ঘ্য ৫ মিটার ও প্রস্থ ৩ মিটার এর জন্য অনুপাত = ৫ : ৩;

দৈর্ঘ্য ৯ মিটার ও প্রস্থ ৬ মিটার এর জন্য অনুপাত

= ৯ : ৬

= ৩ : ২ [উত্তর ও পূর্ব রাশিকে ৩ দ্বারা ভাগ করে]

দৈর্ঘ্য ৮ মিটার ও প্রস্থ ৬ মিটার এর জন্য অনুপাত

= ৮ : ৬

= ৪ : ৩ [উত্তর ও পূর্ব রাশিকে ২ দ্বারা ভাগ করে]

তথ্য অনুসন্ধান  বিশ্লেষণ

তথ্য অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ

দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য ব্যবহার করে থাকি। বর্তমান যুগ কে তথ্য প্রযুক্তির যুগ বলা হয়। তথ্য প্রযুক্তির যুগে বসবাস করে তথ্য জানা, তথ্য অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ এবং এর প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন আমাদের সকলের জন্য অপরিহার্য। তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলের একাধিক ব্যাখ্যা থাকার সম্ভাবনা যাচাই এবং একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর দক্ষতা অর্জন করা গুরুত্বপূ। এই অধ্যায় থেকে তোমরা যা শিখবে ও সমাধান পাবে, সেগুলো হলোঃ

  1. তথ্য ও উপাত্ত (Information and Data)
  2. বিন্যস্ত ও অবিন্যস্ত উপাত্ত
  3. ট্যালি
  4. স্তম্ভলেখ
  5. গড় (Mean)
  6. মধ্যক (Median)
  7. রেখাচিত্র (Line Graph)

[বিঃদ্রঃ পাঠ্যপুস্তক হতে উপরোক্ত বিষয়ে ভালোভাবে অধ্য্যন করিবে, আমি এখানে অনুশীলনীর সমাধান করে দিলাম।]

অনুশীলনীঃ

ষষ্ঠ শ্রেণির ৪০ জন শিক্ষার্থীকে একদিনে দেখা পশুপাখির সংখ্যা জানতে চাওয়ায় তারা নিচের সংখ্যাগুলো জানালোঃ

৮,৭,৯,৪,৬,৮,৯,১০,৫,৪,৯,৮,৭,৬,৮,৭,৯,১০,৬,৪,৫,৮,৯,৭,১০,৬,১০,৮,৯,৮,৬,৫,৮,৯,১০,৭,৪,১০,৮,৬

ক) উপাত্তগুলোকে মানের অধঃক্রম অনুসারে বিন্যস্ত করো।

খ) ট্যালি চিহ্ন ব্যবহার করে সারণি করো।

সমাধানঃ

ক)

উপাত্তগুলোকে মানের অধঃক্রম অনুসারে বিন্যস্ত করে পাইঃ

১০,১০,১০,১০,১০,১০,৯,৯,৯,৯,৯,৯,৯,৮,৮,৮,৮,৮,৮,৮,৮,৮,৭,৭,৭,৭,৭,৬,৬,৬,৬,৬,৫,৫,৫,৪,৪,৪,৪

খ)

ট্যালি চিহ্ন ব্যবহার করে সারণি তৈরি করা হলোঃ

সংখ্যাট্যালি চিহ্নট্যালির মোট সংখ্যা
১০IIII I
IIII II
IIII IIII
IIII
IIII I
III
IIII

অমিয়া ষষ্ঠ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। তার বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলোঃ

শ্রেণিপ্রথমদ্বিতীয়তৃতীয়চতুর্থপঞ্চমষষ্ঠ
শিক্ষার্থী সংখ্যা১৮০১৬০১৫০১৭০১৯০২০০

উলম্ব রেখা বরাবর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধরে স্তম্ভলেখ অঙ্কন করো। [সংকেতঃ উলম্ব রেখা বরাবর শিক্ষার্থীর সংখ্যা এমনভাবে চিহ্নিত করো যেন সকল সংখ্যা লেখচিত্রে থাকে।

সমাধানঃ

উলম্ব রেখা বরাবর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধরে নিন্মোক্ত স্তম্ভলেখ অঙ্কন করা হলোঃ

বাংলাদেশ  অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার একটি ওয়ান ডে ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশ টিমের একজন বোলার দশ ওভার বল করলেন। বিভিন্ন ওভারে তাঁর দেওয়া রান সংখ্যা নিচের স্তম্ভলেখ চিত্রে দেখানো হলো।

চিত্র দেখে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

ক) কোন ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন?

খ) দশ ওভারে তিনি মোট কত রান দিয়েছেন?

গ) ওভার প্রতি তিনি গড়ে কত রান দিয়েছেন?

সমাধানঃ

ক)

এখানে স্তম্ভলেখচিত্র লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, সবচেয়ে বড় স্তম্ভ লেখটি চতুর্থ ওভারে আছে যেখানে রান সংখ্যা ১২।

অর্থাৎ তিনি ৪র্থ ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন।

খ)

স্তম্ভলেখ থেকে প্রত্যেক ওভারের রান সংখ্যা নিয়ে যোগ করে পাই,

৫+৭+৩+১২+৪+৭+২+৬+৪+৫ = ৫৫

অর্থাৎ ১০ ওভারে তিনি মোট রান দিয়েছেন ৫৫.

গ)

খ হতে পাই,

তিনি ১০ ওভারে তিনি মোট রান দিয়েছেন ৫৫

তাহলে গড় রান

মোট রান

= ————–

মোট ওভার

৫৫/১০

= ৫.৫

অর্থাৎ, ওভার প্রতি তিনি গড়ে ৫.৫ রান দিয়েছেন।

৫০ থেকে ছোট মৌলিক সংখ্যাগুলো লেখো। সংখ্যাগুলোর গড়  মধ্যক নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

৫০ থেকে ছোট মৌলিক সংখ্যাগুলো হলোঃ-

২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩,২৯,৩১,৩৭,৪১,৪৩ এবং ৪৭

সংখ্যাগুলোর গড় নির্ণয়ঃ

সংখ্যাগুলোর যোগফল = ২+৩+৫+৭+১১+১৩+১৭+১৯+২৩+২৯৩১+৩৭+৪১+৪৩+৪৭ = ৩২৮

মোট সংখ্য = ১৫

অতএব,

সংখ্যাগুলোর গড়

সংখ্যাগুলোর যোগফল

= ————————-

মোট সংখ্যা

৩২৮/১৫

= ২১.৮৬৬

= ২১.৮৭ (প্রায়)

সংখ্যাগুলোর মধ্যক নির্ণয়ঃ

উপাত্তগুলোকে মানের উর্ধবক্রম অনুসারে সাজিয়ে পাই,

২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩,২৯,৩১,৩৭,৪১,৪৩,৪৭

এখানে উপাত্তের সংখ্যা ১৫টি। তাই উভয় পাশ হতে ৭টি করে উপাত্ত অতিক্রম করলে যে মানটি পাওয়া যাবে তাই মধ্যক।

২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩,২৯,৩১,৩৭,৪১,৪৩,৪৭

এখানে মধ্যক হলো ১৯

.

স্তম্ভগুলোর উচ্চতা (মিটার) দেওয়া আছে। উপাত্তগুলোর মধ্যক নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

স্তম্ভলেখে প্রদত্ত উপাত্তগুলোকে তাদের মানের উর্ধবক্রম অনুসারে সাজিয়ে পাই,

৭,৯,১০,১১,১২,১৩,১৪,১৫,১৬,১৮,১৯,২০,২১,২১,২৩,২৪,২৫,২৫

এখানে উপাত্তের সংখ্যা ১৮টি। একে ২ দিয়ে ভাগ করলে পাই ৯।

তাই ৯ম ও ১০ পদের যোগফলকে ২ দ্বারা ভাগ করলেই মধ্যক পাওয়া যাবে।

৭,৯,১০,১১,১২,১৩,১৪,১৫,১৬,১৮,১৯,২০,২১,২১,২৩,২৪,২৫,২৫

∵ মধ্যক = (৯ম পদ + ১০ম পদ) ÷ ২ = (১৬ + ১৮) ÷ ২ = ৩৮ ÷ ২ = ১৭

উপাত্তগুলোর গড়মধ্যক  প্রচুরক নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

গড় নির্ণয়ঃ

উপাত্তগুলোর যোগফল

= ১২ + ৭ + ২৩ + ১১ + ৯ +১৪ + ২৫ + ৫ + ১৮ + ১৩ + ২১ + ১৭ + ৩ + ১০ + ১৬ + ২৪ + ১৯ + ১৫ + ৮ + ২৭ + ১৭ + ১৫ + ১২ + ২৬ + ২৩ + ২২ + ২৮ + ১২ + ২৯ + ১৭ = ৪৯৮

উপাত্তের সংখ্যা = ৩০

অতএব, গড়

= উপাত্তগুলোর যোগফল ÷ উপাত্তের সংখ্যা

= ৪৯৮ ÷ ৩০

= ১৬.৬

মধ্যক নির্ণয়ঃ

উপাত্তগুলোকে মানের উর্ধবঃক্রমে সাজিয়ে পাইঃ-

৩, ৫, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১২, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৫, ১৬, ১৭, ১৭, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯

এখানে উপাত্তের সংখ্যা = ৩০টি। একে ২ দিয়ে ভাগ করলে পাই ১৫.

তাহলে উপাত্তের উর্ধবক্রমের ১৫তম ও ১৬তম পদের মানের গড় হলো নির্ণেয় মধ্যক।

১৫তম পদ = ১৬

১৬তম পদ = ১৭

∵ মধ্যক = (১৫ম পদ + ১৬ম পদ) ÷ ২ = (১৬ + ১৭) ÷ ২ = ৩৩ ÷ ২ = ১৬.৫

প্রচুরক নির্ণয়ঃ

প্রদত্ত উপাত্তগুলোর মধ্যে ১২ ও ১৭ সর্বাধিক ৩ বার করে আছে।

∵ প্রচুরক হলোঃ ১২ ও ১৭

তোমার শ্রেণির/পূর্বের শ্রেণির/পরের শ্রেণির ২০/২৫ জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে নিচের তথ্যগুলো সংগ্রহ করে (তাদের বয়সদৈনিক পড়াশুনার সময়দৈনিক খেলাধুলার সময়দৈনিক ঘুমানোর সময় ইত্যাদিনিচের নমুনা অনুসারে একটি তালিকা বা সারণি তৈরি করো।

সমাধানঃ

এই প্রশ্নের উত্তর পরবর্তিতে সংযোজন করা হবে। অতি জরুরী ক্ষেত্রে আমাদের Contact Page থেকে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো। ধন্যবাদ।

ত্রিমাত্রিক বস্তুর গল্পঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান ত্রিমাত্রিক বস্তুর উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

আমাদের চারপাশে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক নানা আকৃতির বস্তু আছে। যেমন : বিভিন্ন আকৃতির বাক্স, ইট, ফুটবল, ক্রিকেট বল, আলমারি, কাগজ, খাতার পৃষ্ঠা, সংবাদপত্র, ম্যাচ বাক্স, পাইপ, আপেল, কমলা, বই ইত্যাদি। সবগুলো বস্তু দেখতে একরকম নয়, তাদের বৈশিষ্ট্যগুলোও ভিন্ন ভিন্ন। এই অধ্যায়ে আমরা যে সকল সমস্যার সমাধান করব তা ত্রিমাত্রিক বস্তুর গল্প সংবলিত সমস্যা। চল শুরু করি সমস্যার সমাধান।

দশম অনুশীলনী: ত্রিমাত্রিক বস্তুর গল্প

ছবিতে দেখানো পরিমাপ অনুসারে কাগজ কেটে এবং ভাঁজ করে স্কচটেপ দিয়ে আটকে আয়তাকার ঘনবস্তু তৈরি করো। আয়তাকার ঘনবস্তুটির আয়তন কত হবে?

সমাধানঃ

কাগজ কেটে ভাজ করে স্কচটেপ দিয়ে আটকে আয়তাকার ঘনবস্তু তৈরির প্রক্রিয়াঃ

  1. একটি কাগজে প্রদত্ত মাপ অনুসারে ছয়টি আয়তক্ষেত্র পেন্সিল দিয়ে (১) নং নির্দেশনার মতো অঙ্কন করি।
  2. তারপর (২) নং ছবির মতো করে দাগাঙ্কিত অংশটুকু কাগজ থেকে কেটে আলাদা করি।
  3. এখন (৩) নং নির্দেশনা অনুসারে কাগজটিকে ভাঁজ করে একটি বাক্স তৈরি করি।
  4. তারপর (৪) নং নির্দেশনা অনুসারে স্কচটেপ দিয়ে বাক্সের তলগুলো পরস্পরের সাথে লাগিয়ে দিলেই আয়ত আকৃতির বাক্স তৈরি করি।

আয়তাকার ঘনবস্তুটির আয়তন নির্ণয়ঃ

প্রদত্ত চিত্র হতে পাই,

আয়তাকার ঘনবস্তুটির দৈর্ঘ্য = 7 সেমি।

আয়তাকার ঘনবস্তুটির প্রস্থ = 5 সেমি।

আয়তাকার ঘনবস্তুটির উচ্চতা = 2 সেমি।

তাহলে,

ঘনবস্তুটির আয়তন

= (দৈর্ঘ্য×প্রস্থ×উচ্চতা) ঘন সেমি

= (7×5×2) ঘন সেমি

= 70 ঘন সেমি।

২। নিচের চিত্রটি একটি আয়তাকার বাক্সের খোলা অবস্থার ছবি। ছবিতে দেখানো পরিমাপগুলো সেন্টিমিটার এককে প্রদত্ত।

ক) a, x, y এর মান নির্ণয় করো।

খ) বাক্সটির আয়তন নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

চিত্র হতে পাই,

বাক্সটির দৈর্ঘ্য = 10 সেন্টিমিটার, প্রস্থ = 6 সেন্টিমিটার ও উচ্চতা = 4 সেন্টিমিটার।

(ক)

চিত্র হতে বাক্সটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা তুলনা করে পাই,

x = 10 সেমি

y = 6 সেমি

a = 4 সেমি

(খ)

বাক্সটির আয়তন

= x×y×a ঘন সেমি

= 10×6×4 ঘন সেমি

= 240 ঘন সেমি

ছবিতে দেখানো আকৃতিগুলোর প্রত্যেকটি তৈরি করতে কতগুলো ছোট ঘনক আকৃতির টুকরা প্রয়োজন?

সমাধানঃ

মনে করি, প্রত্যেকটি ছোট ঘনকের ধারের দৈর্ঘ্য = a

তাহলে, ছোট ঘনকের আয়তন = a3

এখন,

ছবিতে দেখানো বড় ঘনকটিতে আরও একটি ছোট ঘনক স্থাপন করলে বড় ঘনকটির ধারের দৈর্ঘ্য হয় 3a [কারন সেক্ষেত্রে এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা বরাবর ৩টি করে ছোট ঘনক থাকে]

তখন, বড় ঘনটির আয়তন = (3a)3 = 27a3

এবার,

a3 আয়তন দখল করে 1 টি ছোট ঘনক

তাহলে,

27a3 আয়তন দখল করে (27a÷ a3) টি ছোট ঘনক

= 27 টি ছোট ঘনক।

এখন প্রদত্ত চিত্রে যেহেতু একটি ছোট ঘনক অপসারন করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে বড় ঘনকটি তৈরিতে ছোট ঘনক লাগবে (27-1) টি = 26 টি।

৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বই দিয়ে তোমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরির বুকশেলফের একটি তাক পূরণ করতে কতগুলো বই লাগবে তা নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিজে কর। শীঘ্রই আমরা এর সমাধান নিয়ে আসব।

একটি ট্রাকে ১২ ফুট ×  ফুট ×  ফুট জায়গায় কার্টন ভরে পরিবহন করা যায়। প্রতিটি কার্টনের আকার  ফুট ×  ফুট ×  ফুট হলে মোট কয়টি কার্টন পরিবহন সম্ভব?

সমাধানঃ

১ টি কার্টনের আকার = ২ ফুট × ২ ফুট × ১ ফুট = ৪ ঘন ফুট

আবার,

ট্রাকে কার্টন রাখার জন্য জায়গার আকার = ১২ ফুট × ৬ ফুট × ৮ ফুট = ৫৭৬ ঘন ফুট।

তাহলে, ট্রাকে মোট কার্টন পরিবহন করা যাবে (৫৭৬ ÷ ৪) টি কার্টন = ১৪৪ টি কার্টন।

নিচের চিত্রের কাগজটির মতো ২০০টি কাগজ একটির উপর আরেকটি রেখে একটি কাগজের স্তুপ তৈরি করা হলো।

ক) কাগজের স্তুপটির আয়তন কত হবে?

খ) একটি কাগজের পুরুত্ব কত?

সমাধানঃ

(ক)

চিত্রে, ১টি কাগজ ও ২০০টি কাগজের স্তুপ পর্যালোচনা করে পাই,

কাগজের স্তুপটির দৈর্ঘ্য = ৭ সেমি, প্রস্থ = ৪ সেমি ও উচ্চতা = ৩ সেমি।

তাহলে, কাগজের স্তুপটির আয়তন = (৭×৪×৩) ঘন সেমি = ৮৪ ঘন সেমি।

(খ)

কাগজের স্তুপ চিত্র হতে পাই,

২০০টি কাগজের পুরুত্ব = ৩ সেমি

∵ ১টি কাগজের পুরুত্ব = (৩ ÷ ২০০) সেমি = ০.০১৫ সেমি।

৭। নিচের ছবিতে এফোর সাইজের কাগজের একটি প্যাকেট দেখা যাচ্ছে।

প্যাকেটে কী কী লেখা আছে দেখো এবং সেই অনুসারে নিচের সারণিটি পূরণ করো। প্রয়োজনে শিক্ষকের সহায়তা নাও।

একটি কাগজের দৈর্ঘ্য (মিলিমিটার)একটি কাগজের প্রস্থ (মিলিমিটার)কাগজের রংকাগজের প্রতি বর্গমিটারে ওজন (গ্রামে)প্রতি প্যাকেটে কাগজের সংখ্যা

এবার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও

ক) একটি কাগজের ওজন কত?

খ) পুরো প্যাকেটের ওজন কত?

গ) প্যাকেটটি কতটুকু উঁচু তা পরিমাপ করে তুমি কি একটি কাগজের পুরুত্ব নির্ণয় করতে পারবে?

সমাধানঃ

প্যাকেটের লেখা অনুসারে ছক পূরণঃ

একটি কাগজের দৈর্ঘ্য (মিলিমিটার)একটি কাগজের প্রস্থ (মিলিমিটার)কাগজের রংকাগজের প্রতি বর্গমিটারে ওজন (গ্রামে)প্রতি প্যাকেটে কাগজের সংখ্যা
297210সাদা80500

(ক)

আমরা জানি, 1 মিটার = 1000 মিলিমিটার

∵ একটি কাগজের দৈর্ঘ্য = 297 মিলিমিটার = 0.297 মিটার এবং প্রস্থ = 210 মিলিমিটার = 0.210 মিটার

তাহলে, একটি কাগজের ক্ষেত্রফল = (0.297×0.210) বর্গ মিটার = 0.06237 বর্গ মিটার

এখন,

কাগজের 1 বর্গমিটারে ওজন 80 গ্রাম

∵ কাগজের 0.06237 বর্গমিটারে ওজন (80×0.06237) গ্রাম = 4.9896 গ্রাম।

অর্থাৎ একটি কাগজের ওজন 4.9896 গ্রাম।

(খ)

প্রতি প্যাকেটে কাগজের সংখায় = 500 টি

এখন,

ক হতে পাই,

1 টি কাগজের ওজন 4.9896 গ্রাম

∵ 500 টি কাগজের ওজন (4.9896×500) গ্রাম = 2494.8 গ্রাম = 2.4948 কেজি।

তাহলে, পুরো প্যাকেটের ওজন 2.4948 কেজি।

(গ)

প্যাকেটটি পরিমাপ করে এর পুরুত্ব পাই 7.5 সেমি

প্যাকেটটিতে কাগজ আছে 500 টি।

∵ 500 টি কাগজের পুরুত্ব = 7.5 সেমি

∵ 1 টি কাগজের পুরুত্ব = (7.5 ÷ 500) সেমি = 0.015 সেমি।

দৈর্ঘ্য মাপিঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান দৈর্ঘ্য মাপি এর উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি কাজের সাথেই আমাদের মাপ-জোখ করতে হয়। তোমরা বাজারে গিয়ে যখন প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস যেমন: চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, রশি, বৈদ্যুতিক তার ইত্যাদি ক্রয় করো তখন দোকানদার তোমার চাহিদামতো জিনিসগুলো মেপে দেন। আর এই মাপ-জোখের বিষয়টাকেই আমরা পরিমাপ বলে থাকি। তোমরা খেয়াল করে দেখবে যে, দোকানদার সকল ধরনের জিনিসপত্র একভাবে মাপেন না। যেমন: চাল, ডাল মাপের ক্ষেত্রে যে যন্ত্র ব্যবহার করেন, দড়ি বা বৈদ্যুতিক তার মাপার সময় ঐ যন্ত্রটি ব্যবহার করেন না। কোন কিছু কতখানি লম্বা বা চওড়া – এসব মাপার জন্য আমরা দৈর্ঘ্য পরিমাপক ব্যবহার করি। আর এই সকল পরিমাপকের এককের সাথে তুলনা করেই আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম জিনিসের দৈর্ঘ্য মেপে থাকি। আজ আমরা এই দৈর্ঘ্য মাপি অধ্যায়ে প্রদত্ত অনুশীলনীর সমস্যাবলির সমাধান করব।

১। নিচের চিত্রে দেখানো পেন্সিলটির দৈর্ঘ্য কত?

সমাধানঃ

ক) স্কেল বরাবর পেন্সিলের অবস্থান থেকে পেন্সিলের অগ্রভাগের অবস্থান হলো ২.৮ সেমি এর ঘরে।

খ) এবং পেন্সিলের পছনের প্রান্তের অবস্থান হলো ১১.৯ সেমি এর ঘরে।

গ) তাহলে পেন্সিলটির দৈর্ঘ্য হলোঃ (১১.৯ – ২.৮) সেমি = ৯.১ সেমি।

২। চিত্রে গিটারটির দৈর্ঘ্য কত মিটার?

সমাধানঃ

ক) চিত্রে স্কেলটি একটি সেন্টিমিটার স্কেল যেখানে প্রতি ১০ সেন্টিমিটারের অংশ ৫ ভাগে বিভক্ত করা আছে। সেই হিসাবে প্রতি ক্ষুদ্রতম অংশের মাপ হলো ১০/ সেমি = ২ সেমি।

খ) গিটারের অবস্থান অনুসারে এর পিছনের প্রান্তের অবস্থান স্কেলের (২ ও ৩ ঘরের মাঝে) অর্থাৎ ২.৫ ঘরে অবস্থিত। তাহলে ২.৫ ঘরের মাপ হলো ২.৫×২ সেমি = ৫ সেমি।

গ) একইভাবে গিটারের অগ্রভাগের অবস্থান পেন্সিলের (৭০+৩.৫×২) সেমিতে = ৭৭ সেমিতে।

ঘ) তাহলে গিটারের দৈর্ঘ্য = (৭৭ – ৫) সেমি = ৭২ সেমি = ৭২/১০০ মিটার = ০.৭২ মিটার [১০০ সেমি = ১ মিটার বলে]।

৩। নিচের কোন লাইনটি বড়অনুমান করো। এবার ( (লাইন দুইটি সেন্টিমিটারে মেপে তোমার অনুমান যাচাই করো।

সমাধানঃ

নিজে চেষ্টা কর।

[সেন্টিমিটার স্কেল নিয়ে ক চিত্রের লাইনের এক প্রান্তে স্কেলের ০ কে স্থাপন করে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সমান্তরালভাবে স্কেলটি স্থাপন করে স্কেলের মাপ নাও। একইভাবে খ এর দৈর্ঘ্যও মাপ। এবং অতঃপর ক ও খ এ দৈর্ঘ্যের তুলনা দাও।]

৪। নিচের চিত্রের মরিচটির দৈর্ঘ্য সেন্টিমিটার এবং মিলিমিটারে নির্ণয় করো। তারপর মিলিমিটারে প্রাপ্ত দৈর্ঘ্য টিকে সেন্টিমিটারে প্রকাশ করো।

সমাধানঃ

মরিচটির পেছনের প্রান্ত স্কেলের ০ বরাবর অবস্থিত এবং সামনের প্রান্ত ৬ হতে ৭.৫ ঘর বরাবর অবস্থিত।

অর্থাৎ, মরিচটির দৈর্ঘ্য ৬ সেমি ৭.৫ মিমি

এখন,

৬ সেমি ৭.৫ মিমি

= ৬ সেমি + ./১০ সেমি [১০ মিমি = ১ সেমি বলে]

= ৬ সেমি + ০.৭৫ সেমি

= ৬.৭৫ সেমি

আবার,

৬ সেমি ৭.৫ মিমি

= ৬×১০ মিমি +৭.৫ মিমি  [১০ মিমি = ১ সেমি বলে]

= ৬০ মিমি +৭.৫ মিমি

= ৬৭.৫ মিমি

আর্থাৎ, মরিচটির দৈর্ঘ্য ৬.৭৫ সেমি বা ৬৭.৫ মিমি

আবার,

৬৭.৫ মিমি

৬৭./১০ সেমি  [১০ মিমি = ১ সেমি বলে]

= ৬.৭৫ সেমি [মিলি হতে সেমিতে প্রকাশ করা হলো]

৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিকর্ষি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দীর্ঘ লাফে ষষ্ঠ শ্রেণির  জন শিক্ষার্থীর অতিক্রান্ত দূরত্ব নিচে দেওয়া হলো:

শিক্ষার্থীর নামঅতিক্রান্ত দূরত্ব
সাদিয়া ইসলাম৩.৫ মি.
সুবর্ণা রায়৪.০৫ মি.
মনিকা চাকমা৪.৫০ মি.
আদিবা৩.৮০ মি.
রীনা গমেজ৩.০৮ মি.

ক) অতিক্রান্ত দূরত্বগুলোকে মিটার ও সেন্টিমিটারে প্রকাশ করো।

খ) কোন তিনজন শিক্ষার্থী বিজয় মঞ্চের ১ম, ২য় ও ৩য় স্থানে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করবে?

সমাধানঃ

(ক)

অতিক্রান্ত দূরত্বকে মিটার ও সেন্টিমিটারে প্রকাশ করা হলোঃ

মিটারসেন্টিমিটার
৩.৫০ মি৩৫০ সেন্টিমিটার
৪.০৫ মি৪০৫ সেন্টিমিটার
৪.৫০ মি৪৫০ সেন্টিমিটার
৩.৮০ মি৩৮০ সেন্টিমিটার
৩.০৮ মি৩০৮ সেন্টিমিটার

উল্লেখ্য, ১ মিটার = ১০০ সেন্টিমিটার।

(খ)

ক হতে সেন্টিমিটারের দূরত্বগুলো তুলনা করে পাই,

৪৫০ সেমি > ৪০৫ সেমি > ৩৮০ সেমি > ৩৫০ সেমি > ৩০৮ সেমি

বা, ৪.৫০ মি > ৪.০৫ মি > ৩.৮০ মি > ৩.৫০ মি > ৩.০৮ মি

এখন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দীর্ঘ লাফে মনিকা চাকমা ৪.৫০ মি, সুবর্ণা রায় ৪.০৫ মি ও আদিবা ৩.৮০ মিটার অতিক্রম করে।

অর্থাৎ, মনিকা চাকমা, সুবর্ণা রায় এবং আদিবা যথাক্রমে বিজয় মঞ্চের ১ম, ২য় ও ৩য় স্থানে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করবে?

৬। নিচের চিত্রের মতো শিখাসহ তিনটি ভিন্ন উচ্চতার তিনটি মোমবাতির ছবি আঁকো। তোমার আঁকা ছবি তিনটি মেপে নিচের ছকটি পূরণ করো।

যার দৈর্ঘ্য মাপতে হবেআনুমানিক দৈর্ঘ্যদৈর্ঘ্য (সেমি এবং মিমি)দৈর্ঘ্য (সেমি)
মোমবাতি – ১
শিখা – ১
মোমবাতি – ২
শিখা – ২
মোমবাতি – ৩
শিখা – ৩

সমাধানঃ

নিজে চেষ্টা কর।

৭। সেন্টিমিটার বা ইঞ্চি স্কেল দ্বারা একটি মার্বেলের ব্যাস সেন্টিমিটার  ইঞ্চিতে পরিমাপ করো।

সমাধানঃ

নিজে চেষ্টা কর।

৮। দূরত্বের পাজল : নিচের ছবি দেখে প্রশ্নের উত্তরগুলো দেওয়ার চেষ্টা করো।

(ক) বাড়ি থেকে কোন কোন পথে বাজারে যাওয়া যায়? প্রতিটি পথের দূরত্ব নির্ণয় করে সবচেয়ে কম দূরত্বের পথ খজেুঁ বের করো।

(খ) নদীর ঘাট থেকে কোন কোন পথে হাসপাতালে যাওয়া যায়? প্রতিটি পথের দূরত্ব নির্ণয় করে সবচেয়ে কম দূরত্বের পথ খজেুঁ বের করো।

সমাধানঃ

(ক)

বাড়ি থেকে বাজারে দুইটি পথে যাওয়া যায়। পথ দুটি হলোঃ

– নদীর ঘাটের পাশের রাস্তা ও

– হাসপাতাল ও বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তা।

বাড়ি থেকে বাজারের দূরত্ব নির্ণয়ঃ

নদীর ঘাটের পাশের রাস্তার দূরত্ব

= বাড়ী হতে নদীর ঘাটের দূরত্ব + নদীর ঘাট হতে বাজারের দূরত্ব

= ১০৬০০ মিটার + ৮৪০০ মিটার

= ১৯০০০ মিটার

হাসপাতাল ও বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তার দূরত্বঃ

= বাড়ি হতে হাসপাতালের দূরত্ব + হাসপাতাল হতে বিদ্যালয়ের দূরত্ব + বিদ্যালয় হতে বাজারের দূরত্ব

= ১০ কিমি + ৬০০ মি + ১২ কিমি

= ১০০০০ মিটার + ৬০০ মিটার + ১২০০০ মিটার

= ২২৬০০ মিটার

এখন, ১৯০০০ মিটার < ২২৬০০ মিটার

অর্থাৎ, নদীর ঘাটের পাশের রাস্তার দূরত্ব কম।

(খ)

নদীর ঘাট থেকে হাসপাতালে দুইটি পথে যাওয়া যায়। পথ দুটি হলোঃ

– বাড়ির পাশের রাস্তা ও

– বাজার ও বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তা।

নদীর ঘাট হতে হাসপাতালের দূরত্ব নির্ণয়ঃ

বাড়ির পাশের রাস্তার দূরত্ব

= নদীর ঘাট হতে বাড়ির দূরত্ব + বাড়ি হতে হাসপাতালের দূরত্ব

= ১০৬০০ মিটার + ১০ কিমি

= ১০৬০০ মিটার + ১০০০০ মিটার

= ২০৬০০ মিটার

বাজার ও বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তার দূরত্বঃ

= নদীর ঘাট হতে বাজারের দূরত্ব + বাজার হতে বিদ্যালয়ের দূরত্ব + বিদ্যালয় হতে হাসপাতালের দূরত্ব

= ৮৪০০ মিটার + ১২ কিমি + ৬০০ মিটার

= ৮৪০০ মিটার + ১২০০০ মিটার + ৬০০ মিটার

= ২১০০০ মিটার

এখন, ২০৬০০ মিটার < ২১০০০ মিটার

অর্থাৎ, বাড়ির পাশের রাস্তার দূরত্ব কম।

দ্বিমাত্রিক বস্তুর গল্পঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান দ্বিমাত্রিক বস্তুর গল্পের উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

জ্যামিতি গণিতের পুরোনো কিন্তু মজার একটি শাখা। কারণ জ্যামিতি জেনেই আমরা আমাদের খেলার মাঠ, বাগান, ঘর-বাড়ি, জমিজমা ইত্যাদি পরিমাপ করে থাকি। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে জ্যামিতি শব্দটির মানে কী? জানা যায়, গ্রিকদেশের মানুষরা ভূমিকে Geo বলত এবং পরিমাপকে বলত metron| এই Geo এবং metron মিলেই হলো Geometry, বাংলায় আমরা বলি জ্যামিতি। এবার তাহলে প্রশ্ন করতে পারো এই জ্যামিতির প্রয়োজন কেন হয়েছিল? আজ থেকে অনেক অনেক বছর আগে কৃষিকে নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন সভ্যতা। কৃষি কাজের জন্য প্রয়োজন হয় জমিজমার। আর এই জমিজমা পরিমাপের জন্যই প্রয়োজন হয় জ্যামিতির। তবে আজকাল জ্যামিতি শুধু জমি পরিমাপের জন্য ব্যবহার হয় না। গণিতের অনেক জটিল সমস্যাও জ্যামিতির জ্ঞান ব্যবহার করে সমাধান করা হচ্ছে। প্রাচীন মিশর, চীন, ব্যাবিলন, ভারতবর্ষ, ও দক্ষিণ আমেরিকার ইনকা সভ্যতার বিভিন্ন কাজে জ্যামিতি ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। আর জ্যামিতির বিভিন্ন বস্তু যেমন কোন, ত্রিভুজ, আয়ত ইত্যাদির বিষয়াদি নিয়েই আমাদের দ্বিমাত্রিক বস্তুর গল্প সাজানো হয়েছে এই আর্টিকেলে, মূলত গাণিতিক সমস্যাবলিই আমাদের মূল লক্ষ্য।

আরও তথ্যঃ প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার যুগেই জ্যামিতির সাজানো গোছানো সুন্দর রূপটি স্পষ্টভাবে দেখা যায়। গ্রিক পন্ডিত ইউক্লিড জ্যামিতির সুত্রগুলোকে সুবিন্যিস্ত করে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ Elements রচনা করেন। এছাড়া জ্যামিতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে থেলিস, পিথাগোরাস, প্লেটো, টলেমি, আর্কিমিডি স সহ আরও অসংখ্য গণিতবিদের অবদান রয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকে প্রদত্ত সমস্যাবলিঃ

নিচের ছকটি লক্ষ করি এবং খালি ঘরগুলি পূরন করিঃ

জ্যামিতিক নামবর্ণনাচিত্রকীভাবে পড়তে হবে
কোণদুইটি রেখা থাকে, তারা একটি সাধারন বিন্দুতে মিলিত হয়।চিত্র নিচে দেখকোণ
সন্নিহিত কোণদুইটি কোণ এর একটি সাধারন বাহু থাকেচিত্র নিচে দেখসন্নিহিত কোণ
সমকোণকোণটির মান ৯০° হয়চিত্র নিচে দেখসমকোণ

চিত্রঃ

চিত্রে, AB = ১০০ সেমি, AC = ১২০ সেমি এবং  BD = ৮০ সেমি হলে CE = ?

সমাধানঃ

দেওয়া আছে,

AB = ১০০ সেমি

AC = ১২০ সেমি

BD = ৮০ সেমি

এখানে,

ΔACB এর ক্ষেত্রফল

/×AC×BD বর্গ একক  [AC ভুমি ও BD উচ্চতা ধরে]

/×১২০০×৮০ বর্গ সেমি

= ৪৮০০ বর্গ সেমি

আবার,

ΔABC এর ক্ষেত্রফল

/×AB×CE বর্গ একক  [AB ভুমি ও CE উচ্চতা ধরে]

/×১০০×CE বর্গ সেমি

= ৫০ CE বর্গ সেমি

চিত্রে, ΔACB ও ΔABC একই ত্রিভুজ।

তাহলে,

ΔACB এর ক্ষেত্রফল = ΔABC এর ক্ষেত্রফল

বা, ৪৮০০ বর্গ সেমি = ৫০ CE বর্গ সেমি

বা, ৪৮০০ = ৫০ CE

বা, CE = ৪৮০০/৫০

বা, CE = 96 সেমি

উত্তরঃ CE = ৯৬ সেমি।

চিত্রে, ABC ত্রিভুজের BD মধ্যমা এবং BC বাহুর দৈর্ঘ্য AD এর দ্বিগুণ। ত্রিভুজটি কী ধরনেরউত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

সমাধানঃ

ধরি, AD = x একক

শর্তমতে,

BC = 2x একক [যেহেতু, BC বাহু AD এর দ্বিগুণ]

আবার,

BD মধ্যমা, AC কে সমান দুই ভাগে বিভক্ত করে।

সেহেতু,

AD = DC

∴  AC = AD + DC

বা, AC = x + x

বা, AC = 2x  [AD = x বলে]

তাহলে, BC = AC = 2x

অর্থাৎ ত্রিভুজটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ।

একটি সমকোণী ত্রিভুজের বাহু তিনটির দৈর্ঘ্য  সেমি১২ সেমি এবং ১৩ সেমি।

ক) আনুপাতিক চিত্র অংকন করো।

খ) সমকৌণিক বিন্দু থেকে বিপরীত বাহুর উপর অঙ্কিত লম্বের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

ক)

আনুপাতিক চিত্র নিন্মরুপঃ

খ)

বিশেষ নির্বচনঃ

মনে করি ABC ত্রিভুজের, AB = ১২ সেমি, BC = ৫ সেমি,  AC = ১৩ সেমি এবং এর ∠ABC = এক সমকোণ। B বিন্দু হতে AC এর উপর অঙ্কিত লম্ব এর দৈর্ঘ্য নির্ণয় করতে হবে।

অঙ্কনঃ B বিন্দু হতে AC এর উপর লম্ব p আঁকি।

P এর দৈর্ঘ্য নির্ণয়ঃ

ΔABC –এ, যখন BC ভূমি ও AB  উচ্চতা

তখন এর ক্ষেত্রফল

/×AB×BC বর্গ সেমি

/×১২×৫ বর্গ সেমি

= ৩০ বর্গ সেমি

আবার, যখন AC ভুমি ও p  উচ্চতা

তখন এর ক্ষেত্রফল

/×AC×p বর্গ সেমি

/×১৩×p বর্গ সেমি

তাহলে,

৩০ বর্গ সেমি = = /×১৩×p বর্গ সেমি

বা, ১৩p = ৬০

বা, p = ৬০/১৩ = ৪/১৩

∵ সমকৌণিক বিন্দু থেকে বিপরীত বাহুর উপর অঙ্কিত লম্বের দৈর্ঘ্য ৪/১৩ সেমি।

বাম পাশের চিত্রগুলোর সাথে ডান পাশের শর্তগুলো মিলাওঃ

সমাধানঃ

১ম চিত্র à ৬টি তল কিন্তু প্রত্যেকটি তল সমান নয়।

২য় চিত্র à ৩টি বাহু ও ১টি তল।

৩য় চিত্র à ১টি বক্রতল।

৪র্থ চিত্র à ৪টি বাহু ও ১টি তল।

৫ম চিত্র à ৬টি তল এবং প্রত্যেকটি তল সমান।

৬ষ্ট তল à ১টি আবদ্ধ বক্ররেখা ও ১টি তল।

বাস্তব সমস্যার গল্পঃ

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান বাস্তব সমস্যার গল্পের উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

বাগানটির ঠিক মাঝ বরাবর আড়াআড়িভাবে  মিটার চওড়া রাস্তা আছে। বাগানটির পরিসীমা কত হবেচলো রাস্তা দুইটির মোট ক্ষেত্রফল নির্ণয় করি।

সমাধানঃ

বাগানটির পরিসীমা

= ২×(দৈর্ঘ্য+প্রস্থ) একক

=২(৩০+৪০) মিটার

= ২×৭০ মিটার

= ১৪০ মিটার

রাস্তাটির ক্ষেত্রফল নির্ণয়ঃ

দৈর্ঘ্য বরাবর রাস্তার ক্ষেত্রফল

= (৪০×১) বর্গ মিটার

= ৪০ বর্গ মিটার

প্রস্থ বরাবর রাস্তার ক্ষেত্রফল

= (৩০×১) বর্গ মিটার

= ৩০ বর্গ মিটার

আবার,

রাস্তার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর মাঝের জায়গাটির ক্ষেত্রফল

= (১×১) বর্গ মিটার

রাস্তাটির ক্ষেত্রফল হবে (৪০ + ৩০ – ১) বর্গ মিটার

= ৬৯ বর্গ মিটার

একটি আয়তাকার জমির ক্ষেত্রফল একটি বর্গাকার জমির ক্ষেত্রফলের সমান। আয়তাকার জমির দৈর্ঘ্য প্রস্থের  গুণ। প্রতি মিটার দড়ির মূল্য  টাকা। দড়ি দিয়ে দুইবার ঘুরিয়ে জমির চারদিকে বেষ্টনি দিতে মোট ৫৬০০ টাকা খরচ হয়।

ক) আয়তাকার জমির পরিসীমা কত হবে?

খ) বর্গাকার জমিতে প্রতি ৪ বর্গমিটার জায়গায় একটি করে পেঁপের চারা রোপন করলে কতটি চারা লাগবে?

সমাধানঃ

ক)

৭ টাকায় বেষ্টনি দেয়া যায় ১ মিটার

∵১ টাকায় বেষ্টনি দেয়া যায় / মিটার

∵ ৫৬০০ টাকায় বেষ্টনি দেয়া যায় /×৫৬০০ মিটার

= ৮০০ মিটার

প্রশ্নানুসারে, দড়ি দিয়ে দুইবার ঘুরিয়ে জমির চারদিকে বেষ্টনি দিতে মোট ৫৬০০ টাকা খরচ হয়।

অর্থাৎ, ২ বার ঘুরিয়ে জমির পরিসীমা ৮০০ মিটার

তাহলে ১ বার ঘুরিয়ে জমির পরিসীমা ৮০০/ মিটার = ৪০০ মিটার।

∵ আয়তাকার জমির পরিসীমা ৪০০ মিটার।

খ)

ধরি, আয়তাকার জমির প্রস্থ = ক মিটার

তাহলে, আয়তাকার জমির দৈর্ঘ্য ৪ক মিটার

∵ আয়তাকার জমির পরিসীমা

= ২(দৈর্ঘ্য+প্রস্থ) একক

= ২(৪ক+ক) একক

= ২×৫ক মিটার

= ১০ক মিটার

পূর্বের থেকে পেয়েছি, আয়তাকার জমির পরিসীমা ৪০০ মিটার।

তাহলে,

১০ক মিটার = ৪০০ মিটার

বা, ১০ক = ৪০০

বা, ক = ৪০

অর্থাৎ,

আয়তাকার জমির প্রস্থ = ৪০ মিটার

আয়তাকার জমির দৈর্ঘ্য = ৪×৪০ মিটার = ১৬০ মিটার।

∵ আয়তাকার জমির ক্ষেত্রফল

= (৪০×১৬০) বর্গ মিটার

= ৬৪০০ বর্গ মিটার

প্রশ্নমতে,

আয়তাকার জমির ক্ষেত্রফল = বর্গাকার জমির ক্ষেত্রফল

৪ বর্গ মিটার জায়গায় লাগানো যায় ১টি পেঁপের চারা

∵ ১ বর্গ মিটার জায়গায় লাগানো যায় /টি পেঁপের চারা

∵ ৬৪০০ বর্গ মিটার জায়গায় লাগানো যায় /×৬৪০০টি পেঁপের চারা = ১৬০০ টি পেপের চারা।

.

চিত্রে সামন্তরিক ক্ষেত্রটির পরিসীমা ১৮০ মিটার এবং এর ক্ষেত্রফল একাধিক উপায়ে নির্ণয় করা যায়।

ক) সামন্তরিক ক্ষেত্রটির ক্ষেত্রফল যৌক্তিক ব্যাখ্যাসহ একাধিক পদ্ধতিতে নির্ণয় করো।

খ) দেখাও যে, সামন্তরিক ক্ষেত্রটির ক্ষেত্রফল = ত্রিভূজক্ষেত্র ABD এর দ্বিগুণ।

সমাধানঃ

এখানে, সামন্তরিক ক্ষেত্রটির পরিসীমা ১৮০ মিটার

সামন্তরিক ক্ষেত্রটির দৈর্ঘ্য ২ক মিটার

সামন্তরিক ক্ষেত্রটির প্রস্থ ক মিটার

প্রশ্নানুসারে,

২(২ক+ক) = ১৮০

বা, ২×৩ক = ১৮০

বা, ৬ক = ১৮০

বা, ক = ৩০

∵ সামন্তরিক ক্ষেত্রটির প্রস্থ ৩০ মিটার

∵ সামন্তরিক ক্ষেত্রটির দৈর্ঘ্য ২×৩০ মিটার = ৬০ মিটার

∵ সামন্তরিকটির ক্ষেত্রফল

= (ভূমি×উচ্চতা) বর্গ একক

= ৬০×৫ বর্গ মিটার

= ৩০০ বর্গ মিটার

আরেকটি পদ্ধতিঃ

ABD ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল

/×ভূমি×উচ্চতা বর্গ একক

/×৬০×৫ বর্গ মিটার

= ১৫০ বর্গ মিটার

এখন সামন্তরিকের কর্ণ সামন্তরিকটিকে দুইটি সমান দুইটি ত্রিভুজক্ষেত্রে বিভক্ত করে ফলে ABD এর ক্ষেত্রফল ও DBC এর ক্ষেত্রফল সমান হবে।

তাহলে,

সামন্তরিকের ক্ষেত্রফল

= ABD এর ক্ষেত্রফল + DBC এর ক্ষেত্রফল

= ABD এর ক্ষেত্রফল + ABD এর ক্ষেত্রফল

= ১৫০ বর্গ মিটার + ১৫০ বর্গ মিটার

= ৩০০ বর্গ মিটার

খ)

ক হতে পাই,

ABD এর ক্ষেত্রফল + DBC এর ক্ষেত্রফল = সামন্তরিকের ক্ষেত্রফল

বা, ABD এর ক্ষেত্রফল + ABD এর ক্ষেত্রফল = সামন্তরিকের ক্ষেত্রফল

বা, ২×( ABD এর ক্ষেত্রফল) = সামন্তরিকের ক্ষেত্রফল [প্রমাণিত]

একটি ঘরের মেঝে ২৬ মিটার লম্বা  ২০ মিটার চওড়া।  মি লম্বা  . মি চওড়া মাদুর দিয়ে মেঝেটি সম্পূর্ণ ঢাকা যাবেপ্রতিটি মাদুরের দাম ৪৫ টাকা হলেমোট খরচ কত হবে?

সমাধানঃ

এখানে,

মেঝের দৈর্ঘ্য = ২৬ মিটার

মেঝের প্রস্থ = ২০ মিটার

∵ মেঝের ক্ষেত্রফল

= (দৈর্ঘ্য×প্রস্থ) বর্গ একক

= (২৫×২০) বর্গ মিটার

= ৫২০ বর্গ মিটার

আবার, মাদুরের দৈর্ঘ্য = ৪ মিটার

মাদুরের প্রস্থ = ২.৫ মিটার

∵ মাদুরের ক্ষেত্রফল

= (দৈর্ঘ্য×প্রস্থ) বর্গ একক

= (৪×২.৫) বর্গ মিটার

= ১০ বর্গ মিটার

অতএব, মেঝে ঢাকতে মাদুর লাগবে

= (মেঝের ক্ষেত্রফল/মাদুরের ক্ষেত্রফল) টি

= (৫২০/১০) টি

= ৫২ টি

আবার,

১টি মাদুরের দাম ৪৫ টাকা

∵ ৫২টি মাদুরের দাম (৪৫×৫২) টাকা = ১৩৪০ টাকা।

পূর্ণ সংখ্যার জগৎঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান পূর্ণ সংখ্যার জগৎ এর উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

মানুষের প্রয়োজনে প্রথমে 1, 2, 3,… এ সংখ্যাগুলো আবিষ্কৃত হয়। এগুলোকে স্বাভাবিক সংখ্যা বা ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যা (Natural Numbers or Positive Integers) বলে। স্বাভাবিক সংখ্যার সাথে 0 নিয়ে আমরা পাই, 0, 1, 2, 3,… এগুলোকে অঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যা (Whole Numbers or Non – negative Integers) বলা হয়। আবার, …– 4, –3, –2, –1 এই সংখ্যাগুলো ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যা (Negative Integers)। অঋণাত্মক পূর্ণ সংখ্যা ও ঋনাত্মক পূর্ণ সংখ্যা একত্র করলে আমরা পাই, …– 4, –3, –2, –1, 0, 1, 2, 3,… এই সংখ্যাগুলো পূর্ণসংখ্যা (Integers) আর এই সকল সংখ্যা নিয়ে আজকের পূর্ণ সংখ্যার জগৎ।

আমরা এই অধ্যায়ের অনুশীলনীর সকল সমস্যার সমাধান প্রকাশ করছি। বিস্তারিত ধারনামূলক পোস্টও অন্য পোস্টে প্রকাশ করা হবে। চল আমরা অনুশীলনী অংশের সমাধানে যোগ দেইঃ

) – a যোগাত্মক বিপরীত রাশি কোনটি?

(ক) + a

(খ) – a

(গ) 1/a

(ঘ) -1/a

উত্তরঃ + a

) 12 এর সাথেএর যোগাত্মক বিপরীত সংখ্যা (opposite numbers) যোগ করলে হয়

(ক) 24

(খ) 12

(গ) 0

(ঘ) 24

উত্তরঃ 0

 – 15 = – 10 হলে  চিহ্নিত স্থানের সংখ্যাটি কত?

(ক) – 25

(খ) – 5

(গ) 25

(ঘ) 5

উত্তরঃ 5

নিচের তথ্য আলোকে ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।

– 7, – 8, – 9 তিনটি পূর্ণসংখ্যা।

প্রথম সংখ্যার সাথে দ্বিতীয় সংখ্যার যোগাত্মক বিপরীত সংখ্যা যোগ করলে হয় –

(ক) 15

(খ) 1

(গ) 1

(ঘ) 15

উতরঃ 1

[ব্যখ্যাঃ – 7 + 8 = 1]

প্রথম  তৃতীয় সংখ্যার যোগাত্মক বিপরীত সংখ্যার যোগফলের সাথে দ্বিতীয় সংখ্যা যোগ করলে যোগফল A হলে

(ক) A < – 15

(খ) A > – 90

(গ) A > 97

(ঘ) A < – 97

উত্তরঃ খ

[ব্যাখ্যাঃ (7 + 9) + (– 8) = 8]

) A = 45 – (-11) এবং B = 57 + (-4) হলে

(i) A = 56

(ii) B = -53

(iii) A – B = 3

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) (i) ও (ii)

(খ) (i) ও (iii)

(গ) (ii) ও (iii)

(ঘ) (i), (ii) ও (iii)

উত্তরঃ ক

চিত্রের চিহ্নিত অংশে আছে।

(i) অঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যা

(ii) সকল মৌলিক সংখ্যা

(iii) সকল জোড় সংখ্যা

উত্তরঃ (i)

বিয়োগফল নির্ণয় করো।

(ক) 35 – 20

(খ) 72 – 90

(গ) (-20) – 13

(ঘ) (-15) – (-18)

(ঙ) (-32) – (-40)

(চ) 23 – (-12)

সমাধানঃ

(ক)

35 – 20

= 15

(খ)

72 – 90

=  – (-72 +90)

= – (90 – 72)

= – (18)

= -18

(গ)

(-20) – 13

= – 20 – 13

= – (20 + 13)

= – 33

(ঘ)

(-15) – (-18)

= – 15 + 18

= 18 – 15

= 3

(ঙ)

(-32) – (-40)

= -32 + 40

= 40 – 32

= 8

(চ)

23 – (-12)

= 23 + 12

= 35

নিচের ফাঁকা ঘরগুলোতে >, < বা = চিহ্ন বসাওঃ

(ক) (-3)(-3) + (-6) □ (-3) – (-6)

(খ) (-21) – (-10) □ (-31) + (-11)

(গ) 45 – (-11) □ 57 + (-4)

(ঘ) (-25) – (-42) □ (-42) – (-25)

সমাধানঃ

(ক) (-3)(-3) + (-6) □ (-3) – (-6)

এখানে,

(-3)(-3) + (-6)

= 9 – 6

= 3

আবার,

(-3) – (-6)

= -3 + 6

= 6 – 3

= 3

যেহেতু,  3 = 3, সেহেতু ফাঁকা ঘরে = বসিয়ে পাই,

(-3)(-3) + (-6) = (-3) – (-6)

(খ) (-21) – (-10) □ (-31) + (-11)

এখানে,

(-21) – (-10)

= – 21 + 10

= – (21 -10)

= – 11

আবার,

(-31) + (-11)

= – 31 – 11

= – (31 + 11)

= – 42

যেহেতু,  -11 > -42, সেহেতু ফাঁকা ঘরে > বসিয়ে পাই,

(-21) – (-10) > (-31) + (-11)

(গ) 45 – (-11) □ 57 + (-4)

এখানে,

45 – (-11)

= 45 + 11

= 56

আবার,

57 + (-4)

= 57 – 4

= 53

যেহেতু,  56 > 53, সেহেতু ফাঁকা ঘরে > বসিয়ে পাই,

45 – (-11)  > 57 + (-4)

(ঘ) (-25) – (-42) □ (-42) – (-25)

এখানে,

(-25) – (-42)

= – 25 + 42

= 42 – 25

= 17

আবার,

(-42) – (-25)

= – 42 + 25

= – (42 – 25)

= – 17

যেহেতু,  17 > -17, সেহেতু ফাঁকা ঘরে > বসিয়ে পাই,

(-25) – (-42) > (-42) – (-25)

১০নিচের ফাঁকাগুলো পূরণ করো।

(ক) (-8) + □ = 0

(খ) 13 + □ = 10

(গ) 12 + (-12) = □

(ঘ) (-4) + □ = -12

(ঙ) □ – 15 = -10

সমাধানঃ

(ক) (-8) + □ = 0

বা, □ = 0 – (-8)

বা, □ = 8

অতএব, নির্ণেয় সমাধানঃ (-8) + 8 = 0

(খ) 13 + □ = 10

বা, □ = 10 – 13

বা, □ = – (13 – 10)

বা, □ = – 3

অতএব, নির্ণেয় সমাধানঃ 13 + (-3) = 10

(গ) 12 + (-12) = □

বা, 12 – 12 = □

বা, 0 = □

অতএব, নির্ণেয় সমাধানঃ 12 + (-12) = 0

(ঘ) (-4) + □ = -12

বা, □ = -12 – (-4)

বা, □ = -12 + 4

বা, □ = – (12-4)

বা, □ = – 8

অতএব, নির্ণেয় সমাধানঃ (-4) + (-8) = -12

(ঙ) □ – 15 = -10

বা, □ = -10 + 15

বা, □ = 15 – 10

বা, □ = 5

অতএব, নির্ণেয় সমাধানঃ 5 – 15 = -10

১১মান নির্ণয় করো।

(ক) (-7) – 8 – (-25)

(খ) (-13) + (-8) + (-90)

(গ) (-7) + (-8) + (-90)

(ঘ) 50 – (-40) – (-2)

সমাধানঃ

(ক) (-7) – 8 – (-25)

= – 7 – 8 + 25

= -(7+8) + 25

= – 15 + 25

= 25 – 15

= 10

(খ) (-13) + (-8) + (-90)

= – 13 – 8 – 90

= – (13 + 8 + 90)

= – 111

(গ) (-7) + (-8) + (-90)

= – 7 – 8 – 90

= – (7 + 8 + 90)

= – 105

(ঘ) 50 – (-40) – (-2)

= 50 + 40 + 2

= 92

১২) A = (-9) + 4 + (-6), B = 7 + (-4)

(ক) B এর মান নির্ণয় করো।

(খ) দেখাও যে A < B

(গ) A ও B এর মান সংখ্যারেখায় বসিয়ে (A+B) নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

(ক)

B = 7 + (-4)

বা, B = 7 – 4

বা, B = 3

(খ)

A = (-9) + 4 + (-6)

বা, A = – 9 + 4 -6

বা, A = – (9 + 6) + 4

বা, A = – 15 + 4

বা, A = – (15 – 4)

বা, A = – 11

এবং ক হতে পাই, B = 3

এখানে, -11 < 3 অর্থাৎ, A < B [দেখানো হলো]

(গ)

A + B নির্ণয়ঃ

(i) সংখ্যারেঝায় ০ বিন্দু হতে বামদিকে 11 ঘর অতিক্রম করে -11 বিন্দুতে পৌঁছাই।

(ii) এখন -11 –বিন্দু হতে ডানদিকে 3 ঘর অতিক্রম করি। ফলে আমরা – 8 এ পৌঁছাব।

(iii) অতএব, নির্ণেয় যোগফল = -8

অর্থাৎ, – 11 + 3 = -8 বা, A + B = – 8

ভগ্নাংশের খেলাঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান ভগ্নাংশের খেলার উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

ভগ্নাংশ এমন একটি সংখ্যা যা একটি পূর্ণ বস্তুর অংশকে বোঝায়। ভগ্নাংশ (Fraction) হলো এমন এক ধরনের সংখ্যা যা একটি পূর্ণ বস্তুর (Whole) অংশকে (Part) প্রকাশ করতে আমাদের সাহায্য করে। যেমন একটি পিঠা রাতুল তার বোনের সাথে সমান ভাগ করে খেল। অর্থাৎ পিঠাটির অর্ধেক রাতুল খেল আর বাকি অর্ধেক তার বোন খেল। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম একটি পিঠাকে প্রথমে দুই ভাগ করে রাতুল এক ভাগ খেল ও বোনকে এক ভাগ দিল। রাতুল ২ ভাগের এক ভাগ বা / খেল, একই ভাবে তার বোনও / ভাগ খেল। এই ভগ্নাংশের খেলা অংশে তোমরা বেশ কিছু গাণিতিক খেলা শিখবে যেমনঃ

  1. ভগ্নাংশের তুলনার খেলা
  2. অপ্রকৃত ভগ্নাংশ ও মিশ্র ভগ্নাংশের খেলা
  3. ভগ্নাংশের যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ
  4. সংখ্যারেখা ও গ্রিডের সাহায্যে সমাধান
  5. বিপরীত ভগ্নাংশের খেলা
  6. দশমিকের স্থানীয় মানের খেলা ইত্যাদি।

আমরা এখানে অনুশীলনীর অংশ সমাধান দিচ্ছি বাকী অলোচনা অংশের সমস্যাবলির সমাধান পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।

অনুশীলনী

১। চিত্রের মাঝের ভগ্নাংশগুলো ব্যবহার করো। উপরের দিকে যাওয়ার সময় প্রতি জোড়া গুণ করে খালি স্থান পূরণ করো এবং নিচের দিকে যাওয়ার সময় প্রতি জোড়ার বামের ভগ্নাংশটিকে ডানের ভগ্নাংশ দ্বারা ভাগ করো। এভাবে উপরের  নিচের সর্বশেষ ভগ্নাংশটি নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

মাঝের ভগ্নাংশগুলো ব্যবহার করতে করে উপরের দিকে যাওয়ার সময় গুণ করতে হবে এবং নিচের দিকে নামার সময় ভাগ করতে হবে।

শর্তমতে উপরের ১ম ধাপের চারটি খালি স্থানের মানগুলো হবে (বাম থেকে ডানে):

/×/ = /১০ ….. (i)

/×/ = /১০ …… (ii)

/×/ = / …… (iii)

/×/ = /১০ = / ….. (iv)

উপরের ২য় ধাপের দুইটি খালি স্থানের মানগুলো হবে (বাম থেকে ডানে):

/১০×/১০ = /১০০ [(i) ও (ii) থেকে মান নিয়ে] ……. (v)

/×/ = /৪০ [(iii) ও (iv) থেকে মান নিয়ে] ……. (vi)

উপরের সর্বশেষ ধাপের খালি স্থানের মান হবেঃ

/১০০×/৪০ = /৪০০০

আবার,

শর্তমতে, নিচের ১ম ধাপের চারটি খালি স্থানের মানগুলো হবে (বাম থেকে ডানে):

/÷/ = /×/ = /

/÷/ = /×/ = /

/÷/ = /×/ = / = ২

/÷/ = /×/ = ১২/

শর্তমতে, নিচের ২য় ধাপের দুইটি খালি স্থানের মানগুলো হবে (বাম থেকে ডানে):

/÷/ = /×/ = ২৫/১২

২÷১২/ = /×/১২ = ১০/১২ = /

শর্তমতে, নিচের সর্বশেষ ধাপের খালি স্থানের মান হবেঃ

২৫/১২÷/ = ২৫/১২×/ = /

অতএব, উপরের ও নিচের সর্বশেষ ভগ্নাংশটি হলোঃ /৪০০০ ও /

প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা প্রদত্ত চিত্রে খালি স্থানগুলো নিজে নিজে পূরন করবে, প্রয়োজনে উপরোক্ত সমাধান প্রক্রিয়ার সহযোগিতা নিবে।

২। রিয়া তার বাড়ির সামনের বাগানের তিন দিকে বেড়া দিতে চায়। বাগানের তিন দিকের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১৫ মিটার১৩. মিটার এবং ১২. মিটার। বেড়া দিতে রিয়ার মিটারপ্রতি ৭৫.৭৫ টাকা খরচ হয়।

ক) রিয়াকে কত মিটার বেড়া দিতে হবে?

খ) বেড়া দিতে রিয়ার মোট কত টাকা খরচ হবে?

সমাধানঃ

(ক)

বাগানের তিন দিকের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১৫ মিটার, ১৩.৫ মিটার এবং ১২.৩ মিটার

অতএব,

বাগানের তিন দিকের মোট দৈর্ঘ্য

= (১৫ + ১৩.৫ + ১২.৩) মিটার

= ৪০.৮ মিটার

(খ)

১ মিটারের জন্য খরচ হয় ৭৫.৭৫ টাকা

৪০.৮ মিটারের জন্য খরচ হয় = ৭৫.৭৫×৪০.৮ টাকা

= ৩০৯০.৬ টাকা।

[কিভাবে ভগ্নাংশের যোগ ও ভাগ করতে হবে তা জনতে দেখঃ ভগ্নাংশ অংশ ষষ্ট শ্রেণি।]

৩। নিচের চিত্রগুলোর পরিসীমা  ক্ষেত্রফল নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

(ক)

ক চিত্রটি একটি আয়ত যার দৈর্ঘ্য ৫.৫ সেমি ও প্রস্থ ২.৩ সেমি।

অতএব,

আয়তক্ষেত্রটির পরিসীমা

= ২×(দৈর্ঘ্য+প্রস্থ) একক

= ২×(৫.৫+২.৩) সেমি

= ২×৭.৮ সেমি

= ১৫.৬ সেমি

আয়তক্ষেত্রটির ক্ষেত্রফল

=(দৈর্ঘ্য×প্রস্থ) বর্গ একক

= (৫.৫×২.৩) বর্গ সেমি

= ১২.৬৫ বর্গ সেমি।

(খ)

খ চিত্রটি একটি বর্গ যার প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ৩.৬ সেমি।

অতএব,

বর্গটির পরিসীমা

= ৪×দৈর্ঘ্য একক

= ৪×৩.৬ সেমি

= ২১.৬ সেমি

এবং

বর্গটির ক্ষেত্রফল

= (দৈর্ঘ্য) বর্গ একক

= (৩.৬) বর্গ সেমি

= ১২.৯৬ বর্গ সেমি।

(গ)

গ চিত্রটি একটি রম্বস যার প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ৬.৮ সেমি।

অতএব,

রম্বসটির পরিসীমা

= ৪×দৈর্ঘ্য একক

= ৪×৬.৮ সেমি

= ২৭.২ সেমি।

এবং,

রম্বসটির ক্ষেত্রফল বের করার জন্য নিচের চিত্রটি লক্ষ করিঃ

চিত্রটিতে আমরা রম্বসটিকে দুইটি ত্রিভুজে, AC রেখা দ্বারা ভাগ করেছি।

সেক্ষেত্রে,

ত্রিভুজ ACD এর ক্ষেত্রফল

/×ভূমি×উচ্চতা

/×৬.৮×৪.২ বর্গ সেমি  [উচ্চতা পাঠ্যচিত্রে দেয়া আছে]

= ১৪.২৮ বর্গ সেমি।

এখন সামন্তরিকের কর্ণ সামন্তরিককে সমান দুইটি ত্রিভুজক্ষেত্রে বিভক্ত করে, ফলত সামন্তরিকটির ক্ষেত্রফল = ২×১৪.২৮ বর্গ সেমি = ২৮.৫৬ বর্গ সেমি।

উপরের চিত্রটি লক্ষ করো এবং আমাদের শরীর সম্পর্কে ভাবো।

তোমার মস্তিষ্কের ভর কত কেজি?

মাথার হাড়ের সংখ্যা তোমার মোট হাড়ের সংখ্যার ২৯/২০৬ অংশ হলেতোমার মোট কতগুলো হাড় আছে?

সুস্থ থাকার জন্য তোমার শরীরে মোট কত কেজি পানি থাকা প্রয়োজন?

সমাধানঃ

(ক)

দেওয়া আছে, মানুষের মস্তিস্কের ভর ব্যক্তির মোট ভরের /৪৫ অংশ।

আমার ভর বর্তমানে ৪৫ কেজি [এখানে একজন ষষ্ঠ শ্রেণির মেয়ের ওজন ধরা হয়েছে, তুমি তোমার নিজের ভর ধরে হিসাব করবে]

তাহলে,

আমার মস্তিস্কের ভর

= ৪৫ এর /৪৫ কেজি

= ৪৫×/৪৫ কেজি

= ১ কেজি।

(খ)

দেওয়া আছে,

আমাদের মাথায় হাড়ের সংখ্যা ২৯টি

এবং মাথায় হাড়ের সংখ্যা মোট হাড়ের সংখ্যার ২৯/২০৬ অংশ।

ধরি,

আমার হাড়ের সংখ্যা = x টি

প্রশ্নমতে,

X এর ২৯/২০৬ = ২৯

বা, ২৯x/২০৬ = ২৯

বা, ২৯x = ২৯×২০৬

বা, x = ২৯×২০৬/২৯

বা, x =২০৬

অতএব, আমার হাড় আছে ২০৬ টি।

বিদ্রঃ প্রশ্নে ২৯/২০৬ অংশ উল্লেখ নেই। প্রশ্ন অসম্পূর্ণ আছে। আরও উল্লেখ্য মানুষের বয়স ভেদে মানুষের দেহে হাড়ের সংখ্যা ২০৬ থেকে ২১৩ পর্যন্ত থাকতে পারে। তাই প্রশ্ন যেহেতু অসম্পূর্ণ তাই অনুল্লেখাংশ আলাদা বা ভিন্ন হতে পারে।

(গ)

দেওয়া আছে,

পানির পরিমান আমাদের শরীরের মোট ভরের / অংশ।

আমার শরীরের ভর = ৪৫ কেজি।

তাহলে আমার শরীরে মোট পানি থাকতে হবে

= ৪৫ এর / কেজি

= ৪৫×/ কেজি

= ৩০ কেজি

অতএব, সুস্থ থাকার জন্য আমার শরীরে ৩০ কেজি পানি থাকা প্রয়োজন।

৫। রাতুল তার আয়তাকৃতি বাগানের দৈর্ঘ্য  প্রস্থ বরাবর প্রতিটি সারিতে যথাক্রমে চারটি  তিনটি করে ফুলের চারা রোপণ করে। পাশাপাশি দুইটি চারার মধ্যকার দূরত্ব / মিটার। ছবি এঁকে চিন্তা করো।

ক) রাতুলের বাগানটির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করো।

খ) রাতুল বাগানে মোট কয়টি ফুলের চারা রোপণ করেছে?

সমাধানঃ

নিচের ছবি এঁকে চিন্তা করি-

(ক)

বাগানে পাশাপাশি দুইটি চারার মধ্যকার দূরত্ব / মিটার।

অর্থাৎ, একই সারিতে,

১ম চারা থেকে ২য় চারার দূরত্ব = / মিটার।

বা, ১ম চারা থেকে ৩য় চারার দূরত্ব = (/ + /) মিটার = ২×/ মিটার = / মিটার

বা, ১ম চারা থেকে ৪র্থ চারার দূরত্ব = ৩×/ মিটার = ২ মিটার।

এখন,

আয়তাকার বাগানে দৈর্ঘ্য বরাবর ৪টি চারা আছে অর্থাৎ বাগানের দৈর্ঘ্য হবে ১ম চারা থেকে ৪র্থ চারার দূরত্ব = ২ মিটার।

এবং

আয়তাকার বাগানে প্রস্থ বরাবর ৩টি চারা আছে অর্থাৎ বাগানের প্রস্থ হবে ১ম চারা থেকে ৩য় চারার দূরত্ব = / মিটার।

তাহলে,

বাগানের ক্ষেত্রফল = ২×/ বর্গ মিটার = / বর্গ মিটার।

(খ)

বাগানে দৈর্ঘ্য বরাবর প্রতি সারিতে চারা আছে ৪টি

এবং প্রস্থ বরাবর প্রতি সারিতে চারা আছে ৩টি।

তাহলে, বাগানে চারার সংখ্যা = ৪×৩ টি = ১২টি।

৬। রিয়ার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮। রিয়া সকলকে সমপরিমাণ চা পরিবেশন করার জন্য .৫৬ লিটার চা তৈরি করে। কিন্তু রিয়া চা পান করে না। প্রত্যেকের কাপে কত লিটার চা থাকবে?

সমাধানঃ

রিয়ার পরিবারে সদস্য সংখ্যা = ৮ জন।

যেহেতু রিয়া চা পান করে না সেহেতু চা পান করে মোট (৮-১) = ৭ জন।

রিয়া চা তৈরি করে ০.৫৬ লিটার।

প্রত্যেকে সমপরিমাণ চা পেলে প্রত্যেকের কাপে চায়ের পরিমাণ = ০.৫৬÷৭ লিটার = ০.০৮ লিটার।

৭। রাতুল বাজার থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে . কেজি ডাল৪৫.৫০ টাকা কেজি দরে  কেজি পিঁয়াজ ক্রয় করে। সে দোকানদারকে কত টাকা দিবে?

সমাধানঃ

১ কেজি ডালের দাম ১০৫ টাকা

∵১.৫ কেজি ডালের দাম = ১০৫×১.৫ টাকা = ১৫৭.৫ টাকা।

আবার,

১ কেজি পিঁয়াজের দাম = ৪৫.৫০ টাকা

∵৫ কেজি পিঁয়াজের দাম = ৪৫.৫০×৫ টাকা = ২২৭.৫ টাকা।

তাহলে, রাতুল দোকানদারকে দিবে (১৫৭.৫+২২৭.৫) টাকা = ৩৮৫ টাকা।

৮। সুমন সাইকেলে চড়ে প্রতি ঘণ্টায়  কিলোমিটার পথ যেতে পারে।

ক) সুমন ৬ ঘণ্টায় কত কিলোমিটার পথ যেতে পারবে?

খ) ৩০ কিলোমিটার পথ যেতে সুমনের কত ঘণ্টা সময় লাগবে?

সমাধানঃ

(ক)

সুমন ১ ঘন্টায় সাইকেলে চড়ে যেতে পারে ৮ কিমি

∵সুমন ৬ ঘন্টায় সাইকেলে চড়ে যেতে পারবে ৮×৬ কিমি = ৪৮ কিমি।

(খ)

সুমন ১ ঘন্টায় সাইকেলে চড়ে যেতে পারে ৮ কিমি

তাহলে, সুমনের ৩০ কিমি যেতে সময় লাগবে (৩০÷৮) ঘন্টা = ৩.৭৫ ঘন্টা।

এখন,

৩.৭৫ ঘন্টা

= ৩ ঘন্টা + ০.৭৫ ঘন্টা

= ৩ ঘন্টা + (০.৭৫×৬০) মিনিট

= ৩ ঘন্টা + ৪৫ মিনিট

= ৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট

অর্থাৎ, ৩০ কিমি পথ যেতে সুমনের সময় লাগবে ৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট।

৯। অহনা  তার ছোট ভাইয়ের জন্য সালাদ তৈরি করতে গিয়ে অহনা সালাদের উপকরণ হিসেবে নিচের জিনিসগুলো ব্যবহার করেছে।

উপকরণপরিমাণ
টমেটো১/৫ কেজি
শসা১/৪ কেজি
পিয়াজ১/২০ কেজি
কাঁচা মরিচ১/১০০ কেজি
ধনেপাতা১/১২৫ কেজি
লবন১/৫০০ কেজি

ক) অহনার তৈরি করা সালাদের ওজন কত কেজি?

খ) মা-বাবাসহ পরিবারের মোট ৫ জন সদস্যের জন্য সালাদটি তৈরি করতে হলে সালাদের প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো ছক আকারে উপস্থাপন করো এবং মোট কত কেজি সালাদ তৈরি করলো তা নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

(ক)

অহনার তৈরি করা সালাদের ওজন

= (/ + / + /২০ + /১০০ +/১২৫ + /৫০০) কেজি

১০০+১২৫+২৫+৫+৪+১

= ————————-  কেজি

৫০০

২৬০/৫০০ কেজি

২৬/৫০ কেজি

১৩/২৫ কেজি

(খ)

মনে করি অহনা তার ও তার ভাইয় অর্থাৎ ২ জনের জন্য সালাদ তৈরি করেছিল x কেজি।

তাহলে,

২ জনের জন্য সালাদ তৈরি হয় x কেজি

∵১ জনের জন্য সালাদ তৈরি হয় x/ কেজি

∵৫ জনের জন্য সালাদ তৈরি হয় x/×৫ কেজি  =x×/ কেজি।

অর্থাৎ, অহনাকে ২ জনের পরিবর্তে ৫ জনের জন্য সালাদ তৈরি করতে হলে পূর্বের তুলনায় / গুন হারে প্রয়োজনীয় উপকরন নিতে হবে, যে তালিকা নিন্মে দেয়া হলো।

উপকরণপরিমাণ
টমেটো/×/ কেজি = / কেজি
শসা/×/ কেজি = / কেজি
পিয়াজ/২০×/ কেজি = / কেজি
কাঁচা মরিচ/১০০×/ কেজি = /৪০ কেজি
ধনেপাতা/১২৫×/ কেজি = /৫০ কেজি
লবন/৫০০×/ কেজি = /২০০ কেজি

এখন,

ক হতে পাই,

অহনা ২ জনের জন্য সালাদ তৈরি করেছিল ২৩/২৫ কেজি

তাহলে, শর্তমতে ৫ জনের জন্য সালাদ তৈরি করল

১৩/২৫×/ কেজি

=  ১৩/১০ কেজি

= ১.৩ কেজি।

মৌলিক উৎপাদকের গাছঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান মৌলিক উৎপাদকের গাছের উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

প্রকৃতিতে কিছু গাছ দেখা যায় যাদের ডালপালা বা শাখা-প্রশাখা নেই। যেমন, সুপারি গাছ, তাল গাছ, নারকেল গাছ, খেঁজুর গাছ ইত্যাদি। আবার কিছু গাছপালা আছে যাদের অনেক ডালপালা বা শাখা-প্রশাখা আছে। যেমন: আম গাছ, জাম গাছ, মরিচ গাছ ইত্যাদি। তোমরা হয়তো ভাবছ গাছের সাথে আবার উৎপাদকের কী সম্পর্ক! ভেবে দেখ তো মরিচ গাছে মরিচ হয়, আম গাছে আম আর গোলাপ ফুলের গাছে গোলাপ ফুল। তাহলে মৌলিক উৎপাদকের গাছে ফুল হিসেবে কী থাকবে?

নিচের ছবিটা দেখলেই বুঝতে পারবে।

ছবি হতে পাইঃ-

৯৬

= ১২×৮

= (৬×২)×(৪×২)

= {(৩×২)×২}×(২×২)×২}

= ৩×২×২×২×২×২

আমরা এই অধ্যায়ের অনুশীলনীর (১ম অংশ) সমাধান করেছি যার বিষয়বস্তুসমূহ নিন্মরুপঃ

  1. গুণিতক ও গুণনীয়কের খেলা
  2. গসাগু’র খেলা
  3. ইউক্লিড পদ্ধতিতে ভাগ প্রক্রিয়ায় গসাগু নির্ণয়

অনুশীলনীঃ (গসাগু ভিত্তিক সমাধান)

ছবির মাধ্যমে এবং ভাগ প্রক্রিয়ায় নিচের সংখ্যাগুলোর গসাগু নির্ণয় করো।

(ক) ২৪, ৪৫, ৭২

(খ) ৫৬, ৭৮, ৯০

(গ) ১২০, ৫৬, ৭৮

(ঘ) ৯৯, ৩৩, ১২৩

(ঙ) ৯৫, ৫৭, ২৩

সমাধানঃ

(২৪৪৫৭২

ছবির মাধ্যমেঃ-

ছবিতে ৭২ ও ৪৫ এর গসাগু পাই ৯

এবং ২৪ ও ৯ এর গসাগু পাই ৩

তাহলে, ৭২, ৪৫ ও ২৪ এর গসাগু হলোঃ ৩

ভাগ প্রক্রিয়ায়ঃ-

৪৫)৭২(১
৪৫
————–
২৭)৪৫(১
২৭
————–
১৮)২৭(১
১৮
———————
৯)১৮(২
১৮
————————-

অর্থাৎ, ৪৫ ও ৭২ এর গসাগু ৯

আবার,

৯)২৪(২
১৮
————-
৬)৯(১

—————-
৩)৬(২

———————

অর্থাৎ, ৯ ও ২৪ এর গসাগু ৩

তাহলে, ৭২, ৪৫ ও ২৪ এর গসাগু হলোঃ ৩

(৫৬৭৮৯০

ছবির মাধ্যমেঃ-

ছবিতে ৯০ ও ৫৬ এর গসাগু পাই ২

এবং ২ ও ৭৮ এর গসাগু পাই ২

তাহলে, ৫৬, ৭৮ ও ৯০ এর গসাগু হলোঃ ২

ভাগ প্রক্রিয়ায়ঃ-

৫৬)৯০(১
৫৬
————-
৩৪)৫৬(১
৩৪
———————–
২২)৩৪(১
২২
—————–
১২)২২(১
১২
——————–
১০)১২(১
১০
——————–
২)১০(৫
১০
————————–

অর্থাৎ, ৯০ ও ৫৬ এর গসাগু ২

আবার,

২)৭৮(৩৯
৭৮
—————

অর্থাৎ, ২ ও ৭৮ এর গসাগু ২

তাহলে, ৫৬, ৭৮, ৯০ এর গসাগু হলোঃ ২

(১২০৫৬৭৮

ছবির মাধ্যমেঃ-

ছবিতে, ১২০ ও ৫৬ এর গসাগু ৮

এবং ৭৮ ও ৮ এর গসাগু ২

তাহলে, ১২০, ৫৬ ও ৭৮ এর গসাগু ২

ভাগ প্রক্রিয়ায়ঃ-

৫৬)১২০(২
১১২
—————-
৮)৫৬(৭
৫৬
———————

অর্থাৎ, ১২০ ও ৫৬ এর গসাগু ৮

আবার,

৮)৭৮(৯
৭২
————–
৬)৮(১

—————–
২)৬(৩

———-

অর্থাৎ, ৭৮ ও ৮ এর গসাগু ২

তাহলে, ১২০, ৭৮ ও ৫৬ এর গসাগু হলোঃ ২

(৯৯৩৩১২৩

ছবির মাধ্যমেঃ-

ভাগ প্রক্রিয়ায়ঃ-

৩৩)৯৯(৩
৯৯
———–

অর্থাৎ, ৯৯ ও ৩৩ এর গসাগু ৩৩

আবার,

৩৩)১২৩(৩
৯৯
————-
২৪)৩৩(১
২৪
————
৯)২৪(২
১৮
—————–
৬)৯(১

———–
৩)৬(২

—————–

অর্থাৎ, ১২৩ ও ৩৩ এর গসাগু ৩

তাহলে, ৯৯, ৩৩ ও ১২৩  এর গসাগু হলোঃ ৩

(৯৫৫৭২৩

ছবির মাধ্যমেঃ-

ছবিতে, ৯৫ ও ৫৭ এর গসাগু ১৯

এবং ১৯ ও ২৩ এর গসাগু ১

তাহলে, ৯৫, ৫৭ ও ২৩ এর গসাগু হলোঃ ১

ভাগ প্রক্রিয়ায়ঃ-

৫৭)৯৫(১
৫৭
————-
৩৮)৫৭(১
৩৮
—————
১৯)৩৮(২
৩৮
——————

অর্থাৎ, ৫৭ ও ৯৫ এর গসাগু ১৯

আবার,

১৯)২৩(১
১৯
————
৪)১৯(৪
১৬
———–
৩)৪(১

———–
১)৩(৩

————–

অর্থাৎ, ১৯ ও ২৩ এর গসাগু ১

তাহলে, ৯৫, ৫৭ ও ২৩ এর গসাগু হলোঃ ১

চিত্র থেকে ১০০ এবং ৪৪ এর গসাগু নির্ণয় করা যায়। কীভাবে বলো তো?

সমাধানঃ

গণিতবিদ Euclid এর পদ্ধতি অনুসারে গসাগু  চিত্রটি হতে নির্ণয় করা যায়। নিচের চিত্রে সেটা তুলে ধরা হলোঃ

অর্থাৎ, গসাগু হলোঃ ৪

১৫ মিটার এবং ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুইটি দড়ি আছে। এই দুইটি দড়িকে কেটে ছোট ছোট একই দৈর্ঘ্যের টুকরো করতে হবে যেন দড়ির কোনো অংশ নষ্ট না হয়। ছোট ছোট টুকরোর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ কত হতে পারে?

সমাধানঃ

নির্ণেয় ছোট ছোট টুকরার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হবে ১৫ ও ৪০ এর গসাগু এর সমান।

১৫)৪০(২
৩০
————
১০)১৫(১
১০
———–
৫)১০(২
১০
————–

১৫ ও ৪০ এর গসাগু হলোঃ ৫

অর্থাৎ, নির্ণেয় ছোট ছোট টুকরার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য = ৫ মিটার।

একজন দোকানদার ১২টি প্যাকেটে মোমবাতি বিক্রি করে এবং ৮টি প্যাকেটে মোমবাতি স্ট্যান্ড বিক্রি করে। প্রতিটি মোমবাতি স্ট্যান্ডের জন্য একটি মোমবাতি থাকতে হলে আয়শাকে সর্বনিন্ম কতগুলো মোমবাতি এবং মোমবাতি স্ট্যান্ড কিনতে হবে?

সমাধানঃ

প্রশ্নমতে,

দোকানদার প্রতি প্যাকেটে মোমবাতি বিক্রি করে ১২টি

এবং দোকানদার প্রতি প্যাকেটে মোমবাতি স্ট্যান্ড বিক্রি করে ৮টি

তাহলে, আয়শাকে সর্বনিন্ম যে কয়টি মোমবাতি ও স্ট্যান্ড কিনতে হবে তা হলো ১২ ও ৮ এর লসাগু এর সমান।

১২ = ২×২×৩

৮ = ২×২×২

লসাগু = ২×২×২×৩ = ২৪

অর্থাৎ, ১২ ও ৮  এর লসাগু হলোঃ ২৪

তাহলে আয়শাকে সর্বনিন্ম ২৪টি মোমবাতি ও ২৪টি স্ট্যান্ড কিনতে হবে।

এখন, ২৪টি মোমবাতি থাকে (২৪÷১২) = ২টি প্যাকেটে

এবং ২৪টি স্ট্যান্ড থাকে  (২৪÷৮) = ৩টি প্যাকেটে

সুতরাং, আয়শাকে সর্বনিন্ম ২টি মোমবাতির প্যকেট ও ৩টি স্ট্যান্ডের প্যাকেট কিনতে হবে।

একজন ফুল বিক্রেতা বিভিন্ন সারিতে ২৪টি ফুলের তোড়া সাজাতে চায়। তিনি প্রতিটি সারিতে একই সংখ্যক তোড়া দিয়ে সেগুলো কত বিভিন্ন উপায়ে সাজাতে পারেন?

সমাধানঃ

ফুলের তোড়ার সংখ্যা = ২৪টি

এখন,

২৪ এর গুণনীয়ক সমূহ হলোঃ ২৪, ১২, ৮, ৬, ৪, ৩, ২, ১

এখন,

২৪ = ২৪×১

অর্থাৎ, ২৪টি করে ফুলের তোড়া ১টি সারিতে সাজানো যাবে।

২৪ = ১২×২

অর্থাৎ, ১২টি করে ফুলের তোড়া ২টি সারিতে সাজানো যাবে।

২৪ = ৮×৩

অর্থাৎ, ৮টি করে ফুলের তোড়া ৩টি সারিতে সাজানো যাবে।

২৪ = ৬×৪

অর্থাৎ, ৬টি করে ফুলের তোড়া ৪টি সারিতে সাজানো যাবে।

২৪ = ৪×৬

অর্থাৎ, ৪টি করে ফুলের তোড়া ৬টি সারিতে সাজানো যাবে।

২৪ = ৩×৮

অর্থাৎ, ৩টি করে ফুলের তোড়া ৮টি সারিতে সাজানো যাবে।

২৪ = ২×১২

অর্থাৎ, ২টি করে ফুলের তোড়া ১২টি সারিতে সাজানো যাবে।

২৪ = ১×২৪

অর্থাৎ, ১টি করে ফুলের তোড়া ২৪টি সারিতে সাজানো যাবে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে মোট সাজানোর সংখ্যা হলো ৮টি।

অর্থাৎ, ফুল বিক্রেতা প্রতিটি সারিতে একই সংখ্যক তোড়া দিয়ে ২৪টি তোড়াকে মোট ৮টি উপায়ে সাজাতে পারেন।

২১০টি কমলা২৫২ আপেল এবং ২৯৪টি নাশপাতি সমানভাবে কার্টনে প্যাক করা হয়েছে যাতে কোনো ফল অবশিষ্ট না থাকে। সর্বোচ্চ কতগুলো কার্টন প্রয়োজন হবে সেখানে?

সমাধানঃ

দেওয়া আছে,

কমলার সংখ্যা = ২১০টি

আপেলের সংখ্যা = ২৫২টি

নাশপাতির সংখ্যা = ২৯৪টি

প্রদত্ত শর্তমতে সর্বোচ্চ কার্টনের সংখ্যা হবে ২১০, ২৫২ ও ২৯৪ এর গসাগু।

২১০ = ২×৩×৫×৭

২৯৪=২×৩×৭×৭

২৫২=২×২×৩×৩×৭

গসাগু=২×৩×৭=৪২

অতএব, সর্বোচ্চ কার্টন সংখ্যা = ৪২টি।

একটি ঘরের দৈর্ঘ্যপ্রস্থউচ্চতা যথাক্রমে  মি ৮০ সেমি মি ১০ সেমি এবং  মি ৪০ সেমি। তোমাকে কোনো স্কেল দেওয়া হবে না শুধু একটি লাঠি দেওয়া হবে। লাঠির দৈর্ঘ্য তুমি যা চাইবে সেটাই পাবে কিন্তু একবারই বলার সুযোগ পাবে মানে লাঠি একটিই পাবে। এই লাঠি দিয়ে তোমাকে ঘরের দৈর্ঘ্যপ্রস্থ  উচ্চতা প্রত্যেকটি সঠিকভাবে পরিমাপ করে নিশ্চিত করতে হবে। তুমি সর্বোচ্চ কত দৈর্ঘ্যের লাঠি চাইতে পারবে?

সমাধানঃ

দেওয়া আছে,

ঘরের দৈর্ঘ্য = ৬ মি ৮০ সেমি = ৬৮০ সেমি

ঘরের প্রস্থ = ৫ মি ১০ সেমি = ৫১০ সেমি

ঘরের উচ্চতা = ৩ মি ৪০ সেমি = ৩৪০ সেমি

প্রদত্ত শর্তানুসারে, লাঠির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য  হবে ৬৮০, ৫১০ ও ৩৪০ এর গসাগু।

৬৮০ = ১৭×৫×২×২×২

৫১০ = ১৭×৫×৩×২

৩৪০ = ১৭×৫×২×২

গসাগু = ১৭×৫×২ = ১৭০

অর্থাৎ, আমি সর্বোচ্চ ১৭০ সেমি বা ১ মি ৭০ সেমি দৈর্ঘ্যের লাঠি চাইতে পারব।

দুটি সংখ্যার গসাগু হলো একটি সংখ্যা ৪২ হলে অন্য সংখ্যাটি কত হতে পারে?

সমাধানঃ

একটি সংখ্যা = ৪২ = ২×৩×৭ = ৬×৭

এখন, সংখ্যা দুইটির গসাগু ৬,

তাহলে অন্য সংখ্যাটি হবে ৬×ক আকারের যেখানে ক = ১,২,৩,৪…..

তাহলে, অন্য সংখ্যাটি হতে পারে

৬×১ = ৬

বা, ৬×২ = ১২

বা, ৬×৩ = ১৮

বা, ৬×৪ = ২৪ …………………..

বালতি  পানির সাহায্যে একটিভিটিঃ

 লিটার   লিটার পানির বালতি দিয়ে কীভাবে  লিটার পানি পরিমাপ করা যায়এক্ষেত্রে বালতির গায়ে কোনোরকম পরিমাপ নির্দেশক দাক কাটা থাকবে না। আবার অন্য কোনো পরিমাপ যন্ত্র যেমন স্কেল বা দাঁড়িপাল্লা ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।

সমাধানঃ

৩ লিটার ও ৫ লিটার পানির বালতি দিয়ে ৪ লিটার পানি পরিমাপের ধাপসমূহঃ

১. ৫ লিটারের বালতি পানি দ্বারা পূর্ণ করি।

২. ৫ লিটারের বালতি হতে ৩ লিটার পানি ৩ লিটারের বালতিতে ঢালি। ফলে ৫ লিটারের বালতিতে ২ লিটার পানি অবশিষ্ট থাকল।

৩. ৩ লিটারের পাত্রের পানি অপসারন করি বা পাত্র খালি করি।

৪. এবার ৫ লিটার বালতির ২ লিটার পানি ৩ লিটার পাত্রে ঢেলে নি। তাহলে ৫ লিটারের পাত্র খালি ও ৩ লিটারের বালটিতে ২ লিটার পানি থাকল।

৫. আবার ৫ লিটারের বালতি পূর্ণ করি।

৬. ৫ লিটারের বালতি হতে পানি ৩ লিটারের বালতিতে ঢেলে পূর্ণ করি। আগে যেহেতু ৩ লিটারের বালতিতে ২ লিটার পানি ছিল সেহেতু আর ১ লিটারেই ৩ লিটারের বালতিটি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, ৫ লিটারের বালতি হতে ১ লিটার পানি ৩ লিটারের বালতিতে স্থানান্তরিত হবে। ফলে ৫ লিটারের বালতিতে ৪ লিটার পানি অবশিষ্ট থাকবে।

এভাবে, ৩ লিটার ও ৫ লিটার পানির বালতি দিয়ে ৪ লিটার পানি পরিমাপ করা যাবে।

 লিটার   লিটার পানির বালতি দিয়ে নিচের কোন কোন পরিমাণ পানি পরিমাপ করা যায়? (এক্ষেত্রে অন্য পাত্রে রাখার সুযোগ থাকবে ,,,১০ লিটারের জন্য)

সমাধানঃ

পানির পরিমাণ (লিটার)৪ লিটার ও ৬ লিটার পানির বালতি দিয়ে পরিমাপ করা যায় কি?কীভাবে পরিমাপ করবে ধাপে ধাপে লেখো
পরিমাপ করা যাবে না।
পরিমাপ করা যাবে না।
পরিমাপ করা যাবে না।
৪ লিটারের পাত্র পানি দ্বারা পরিপূর্ণ করি। তাহলে ৪ লিটার পানি পরিমাপ করা যাবে।
পরিমাপ করা যাবে না।
৬ লিটারের পাত্র পানি দ্বারা পরিপূর্ণ করি। তাহলে ৬ লিটার পানি পরিমাপ করা যাবে।
পরিমাপ করা যাবে না।
৪ লিটারের বালতি পানি দ্বারা পরিপূর্ণ করে সেই পানি ৬ লিটারের বালতিতে ঢেলে রাখি। অতপর ৪ লিটারের বালতি আবার পানি দ্বারা পরিপূর্ণ করি। তাহলে ৬ লিটারের বালতিতে ৪ লিটার+৪ লিটারের বালতিতে ৪ লিটার = ৮ লিটার পানি পরিমাপ করা যাবে।
পরিমাপ করা যাবে না।
১০৬ লিটারের এক বালতি ও ৪ লিটারের এক বালতি পানি দ্বারা পূর্ণ করলে মোট ১০ লিটার পানি পরিমাপ করা যাবে।

মৌলিক উৎপাদকের গাছের সাহায্যে ‘লসাগু খেলা  অংশে আলোচনার সব কয়টি পদ্ধতিতে লসাগু নির্ণয় করো।

(ক) ১৪, ১৫, ১২

(খ) ৬৬, ৭৮, ১০০

(গ) ১২০, ৫৬, ৬০

(ঘ) ৫৫, ১৫, ১৪৩

(ঙ) ২৫, ৫৭, ৯৫

সমাধানঃ

(১৪১৫১২

মৌলিক উৎপাদকের গাছের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

অতএব, লসাগু = ২×৭×৩×৫×২ = ৪২০

ইউক্লিডীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

|১৪,১৫,১২
|,১৫,
|,১৫,
   ১,৫,২

অতএব, লসাগু = ২×৭×৩×৫×২ = ৪২০

সংখ্যার গুণিতক নির্ণয়ের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

১৪ এর গুণিতকগুলো = ১৪, ২৮, ৪২, ৫৬, ৭০, ৮৪, ৯৮, ১১২, ১২৬, ১৪০, ১৫৪, ১৬৮, ১৮২, ২১০, ২২৪, ২৩৮, ২৫২, ২৬৬, ২৮০, ২৯৪, ৩০৮, ৩২২, ৩৩৬, ৩৫০, ৩৬৪, ৩৭৮, ৩৯২, ৪০৬, ৪২০….ইত্যাদি

১৫ এর গুণিতকগুলো = ১৫, ৩০, ৪৫, ৬০, ৭৫, ৯০, ১০৫, ১২০, ১৩৫, ১৫০, ১৬৫, ১৮০, ১৯৫, ২১০, ২২৫, ২৪০, ২৫৫, ২৭০, ২৮৫, ৩০০, ৩১৫, ৩৩০, ৩৪৫, ৩৬০, ৩৭৫, ৩৯৫, ৪০৫, ৪২০…….ইত্যাদি

১২ এর গুণিতকগুলো = ১২, ২৪, ৩৬, ৪৮, ৬০, ৭২, ৮৪, ৯৬, ১০৮, ১২০, ১৩২, ১৪৪, ১৫৬, ১৬৮, ১৮০, ১৯২, ২০৪, ২১৮, ২২৮, ২৪০, ২৫২, ২৬৪, ২৭৬, ২৮৮, ৩০০, ৩১২, ৩২৪, ৩৩৬, ৩৪৮, ৩৬০, ৩৭২, ৩৮৪, ৩৯৬, ৪০৮, ৪২০…ইত্যাদি

এখন,

১৪, ১৫ ও ১২ এর গুণিতকের তালিকা হতে সবচেয়ে ছোট সাধারন গুণীতক পাই ৪২০

অতএব, লসাগু = ৪২০

(৬৬৭৮১০০

মৌলিক উৎপাদকের গাছের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

অতএব, লসাগু = ৩×২×১১×১৩×৫×৫×২ = ৪২৯০০

ইউক্লিডীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

|৬৬,৭৮,১০০
|২২,২৬,১০০
১১|১১,১৩,৫০
|,১৩,৫০
|,১৩,১০
     ১,১৩,৫

অতএব, লসাগু = ৩×২×১১×৫×১৩×৫×৫ = ৪২৯০০

সংখ্যার গুণিতক নির্ণয়ের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

৬৬ এর গুণিতকগুলো =৬৬, ১৩২,১৯৮, ২৬৪, ৩৩০, ৩৯৬, ৪৬২, ৫২৮, ৫৯৪, ৬৬০, ………. ৪২৯০০, ৪২৯৬৬….. ইত্যাদি

৭৮ এর গুণিতকগুলো = ৭৮, ১৫৬,  ২৩৪ …….. ৪২৮২২, ৪২৯০০, ৪২৯৭৮……ইত্যাদি

১০০ এর গুণিতকগুলো = ১০০, ২০০, ৩০০,……. ৪২৮০০, ৪২৯০০, ৪৩০০০ ….ইত্যাদি

৬৬, ৭৮ ও ১০০ এর গুণিতকের তালিকা হতে সবচেয়ে ছোট সাধারন গুণীতক পাই ৪২৯০০

অতএব, লসাগু = ৪২৯০০

(১২০৫৬৬০

মৌলিক উৎপাদকের গাছের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

অতএব, লসাগু = ৫×২×৩×২×২×৭ = ৮৪০

ইউক্লিডীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

|১২০,৫৬,৬০
|২৪,৫৬,১২
|১২,২৮,
|,২৮,
|,১৪,
   ১,৭,১

অতএব, লসাগু = ৫×২×৩×২×২×৭ = ৮৪০

সংখ্যার গুণিতক নির্ণয়ের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

১২০ এর গুণিতকগুলো = ১২০, ২৪০,৩৬০, ৪৮০, ৬০০, ৭২০, ৮৪০, ৯৬০ …. ইত্যাদি

৫৬ এর গুণিতকগুলো = ৫৬, ১১২, ১৬৮, ২২৪, ২৮০, ৩৩৬, ৩৯২, ৪৪৮, ৫০৪, ৫৬০, ৬১৬, ৬৭২, ৭২৮, ৭৮৪, ৮৪০, ৮৯৬ …..ইত্যাদি

৬০ এর গুণিতকগুলো =  ৬০, ১২০, ১৮০, ২৪০, ৩০০, ৩৬০, ৪২০, ৪৮০, ৫৪০, ৬০০, ৬৬০, ৭২০, ৭৮০, ৮৪০, ৯০০….ইত্যাদি

১২০, ৫৬ ও ৬০ এর গুণিতকের তালিকা হতে সবচেয়ে ছোট সাধারন গুণীতক পাই ৮৪০

অতএব, লসাগু = ৮৪০

(৫৫১৫১৪৩

মৌলিক উৎপাদকের গাছের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

অতএব, লসাগু = ৫×১১×৩×১৩ = ২১৪৫

ইউক্লিডীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

|৫৫,১৫,১৪৩
১১|১১,,১৪৩
     ১,৩,১৩

অতএব, লসাগু = ৫×১১×৩×১৩ = ২১৪৫

সংখ্যার গুণিতক নির্ণয়ের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

৫৫ এর গুণিতকগুলো =৫৫, ১১০ ……. ২০৯০, ২১৪৫, ২২০০ ……ইত্যাদি

১৫ এর গুণিতকগুলো = ১৫, ৩০, ৪৫, ….. ২১৩০, ২১৪৫, ২১৬০…..ইত্যাদি

১৪৩ এর গুণিতকগুলো = ১৪৩, ২৮৬, ……২০০২, ২১৪৫, ২২৮৮……

ইত্যাদি

৫৫, ১৫ ও ১৪৩ এর গুণিতকের তালিকা হতে সবচেয়ে ছোট সাধারন গুণীতক পাই ২১৪৫

অতএব, লসাগু = ২১৪৫

(২৫৫৭৯৫

মৌলিক উৎপাদকের গাছের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

অতএব, লসাগু = ৫×৫×৩×১৯ = ১৪২৫

ইউক্লিডীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

|২৫,৫৭,৯৫
|,৫৭,১৯
|,৫৭,১৯
১৯|,১৯,১৯
      ১,১,১

অতএব, লসাগু = ৫×৫×৩×১৯ = ১৪২৫

সংখ্যার গুণিতক নির্ণয়ের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

২৫ এর গুণিতকগুলো = ২৫, ৫০, ৭৫, ……..১৪০০, ১৪২৫, ১৪৫০. ……ইত্যাদি

৫৭ এর গুণিতকগুলো = ৫৭, ১১৪, ১৭১,……১৩৬৮, ১৪২৫, ১৪৮২,……..ইত্যাদি

৯৫ এর গুণিতকগুলো = ৯৫, ১৯০, ২৮৫, …………১৩৩০, ১৪২৫, ১৫২০…..ইত্যাদি

২৫, ৫৭ ও ৯৫ এর গুণিতকের তালিকা হতে সবচেয়ে ছোট সাধারন গুণীতক পাই ১৪২৫

অতএব, লসাগু = ১৪২৫

গসাগু  লসাগু মধ্যে সম্পর্ক:

যে কোনো দুইটি সংখ্যা ১০ এবং ৩০ নিয়ে মৌলিক গুণনীয়কগুলো নির্ণয় করা হলো।

১০ = ২×৫, ৩০ = ২×৩×৫

১০ এবং ৩০ এর গসাগু = ২ × ৫ = ১০

এবং লসাগু = ২ × ৩ × ৫ = ৩০

আবার, 10 এবং 30 সংখ্যাদ্বয়ের গুণফল = ১০ × ৩০ = (২×৫) × (২×৩×৫)

= গসাগু × লসাগু

∴ দুইটি সংখ্যার গুণফল সংখ্যা দুইটির গসাগু ও লসাগু এর গুণফলের সমান।

দুইটি সংখ্যার গুণফল = সংখ্যাদ্বয়ের গসাগু × সংখ্যাদ্বয়ের লসাগু

এবার, ‘দুইটি সংখ্যার গুণফল সংখ্যা দুইটির গসাগু ও লসাগু’র গুণফলের সমান।‘

তুমি কি উপরের গাণিতিক উক্তিটি ‘গসাগু’র খেলা’ এবং লসাগু’র খেলা’ অংশে আলোচনা করা পদ্ধতির মাধ্যমে যেকোনো দুইটি সংখ্যার জন্য সত্য প্রমান করতে পারবে?

সমাধানঃ

হ্যা, আমি উপরোক্ত গাণিতিক বাক্যের সত্যতা প্রমান করতে পারব।

এর জন্য দুইটি সংখ্যা ধরি, ৪ ও ৬

উৎপাদকের গাছের মাধ্যমে ৪ ও ৬ এর গসাগু নির্ণয়ঃ

অতএব, ৪ ও ৬ এর গসাগুঃ ২

গুণনীয়ক এর মাধ্যমে গসাগু নির্ণয়ঃ

৪ এর গুণনীয়কগুলোঃ ১,২,৪

৬ এর গুণনীয়কগুলোঃ ১,২,৩,৬

অতএব, ৪ ও ৬ এর গসাগু = ২

Euclid প্রক্রিয়ায় গসাগু নির্ণয়ঃ

অতএব, ৪ ও ৬  এর গসাগু = ২

এবং

উৎপাদকের গাছের মাধ্যমে ৪ ও ৬ এর লসাগু নির্ণয়ঃ

অতএব, ৪ ও ৬ এর লসাগুঃ ১২

ইউক্লিডীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৪ ও ৬ এর লসাগু নির্ণয়ঃ

|,
    ২,৩

অতএব, ৪ ও ৬ এর লসাগু = ২×২×৩ = ১২

৪ ও ৬ এর গুণিতক নির্ণয়ের মাধ্যমে লসাগু নির্ণয়ঃ

৪ এর গুণিতকগুলোঃ ৪, ৮, ১২, ১৬….ইত্যাদি

৬ এর গুণিতকগুলোঃ ৬, ১২, ১৮, ….ইত্যাদি

৪ ও ৬ এর গুণিতকের তালিকা হতে সবচেয়ে ছোট সাধারন গুণীতক পাই ১২

অতএব, ৪ ও ৬ এর লসাগু = ১২

অর্থাৎ, আমরা প্রত্যেক ক্ষেত্রে ৪ ও ৬ এর গসাগু পাই ২ এবং লসাগু পাই ১২

৪ ও ৬ এর গসাগু ও লসাগু এর গুনফল = ২×১২ = ২৪

আবার, ৪×৬ = ২৪

সুতরাং, দুটি সংখ্যার গুনফল = সংখ্যা দুটির গসাগু × সংখ্যা দুটির লসাগু [প্রমানিত]

সর্বনিম্ন কতজন শিক্ষার্থীকে  এবং  জনের দলে সাজানো যেতে পারে যাতে কোনো ক্ষেত্রেই কেউ অবশিষ্ট না থাকে?

সমাধানঃ

নির্ণেয় সর্বনিন্ম শিক্ষার্থীর সংখ্যা হবে ৩, ৪, ৬ ও ৮ এর লসাগু।

|,,,
|,,,
|,,,
    ১,১,১,২

লসাগু = ৩×২×২×২ = ২৪

সুতরাং, নির্ণেয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা = ২৪

একটি লোকাল বাস সার্ভিসে  রকম বাস রয়েছে যেগুলো সকাল  টায় থেকে একসাথে যাত্রা শুরু করে। প্রথম ধরনের বাসগুলো প্রতি ১৫ মিনিট পরপর ছেড়ে যায় এবং দ্বিতীয় ধরনের বাসগুলো প্রতি ২০ মিনিট পরপর ছেড়ে যায়। কোনো একটি দিনে সকাল ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয় দুই ধরনের বাসই একই সাথে বা একই সময়ে কতবার ছেড়ে যায়?

সমাধানঃ

সমাধানের জন্য, আমাদের প্রথমে ১৫ এবং ২০ এর লসাগু বের করতে হবে।

১৫ = ৩×৫

২০ = ২×২×৫

অর্থাৎ, লসাগু = ৩×৫×২×২ = ৬০

তাহলে, প্রথম ও দ্বিতীয় দুই ধরনের বাসই একই সাথে বা একই সময়ে ৬০ মিনিট পরপর ছেড়ে যাবে।

এখন, ৬০ মিনিট = ১ ঘন্টা।

আবার, সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা = (১১ – ৮) ঘন্টা = ৩ ঘন্টা

যেহেতু ও দ্বিতীয় দুই ধরনের বাসই একই সাথে বা একই সময়ে ১ ঘণ্টা পরপর একসাথে ছেড়ে যায় সেহেতু ৩ ঘন্টায় দুই ধরনের বাস মোট ৩ বার একই সাথে বা একই সময়ে ছেড়ে যাবে।

উত্তরঃ ৩ বার।

তিনজন চিত্রশিল্পী রনহাবিব এবং শেলি একটি হোটেলের কক্ষে নকশা করার কাজ করছেন। হোটেলে রুম নম্বর আছে ১৫ থেকে ২০০। রনকে সব কক্ষেই কাজ করতে হবে। হাবিবকে সেই কক্ষে কাজ করতে হবে যেখানে রুম নম্বরটি  এর গুণিতক। শেলিকে সেই কক্ষে কাজ করতে হবে যেখানে রুম নম্বরটি  এর গুণিতক। কোন কোন ঘরে তারা সবাই একসাথে কাজ করবে?

সমাধানঃ

দেওয়া আছে,

রনকে কাজ করতে হবে সব রুমে অর্থাৎ যেইসকল রুমে যেগুলোর নম্বরটি ১ এর গুণিতক

হাবিব কাজ করতে হবে যেইসকল রুমে যেগুলোর নম্বরটি ৩ এর গুণিতক

শেলি কাজ করতে হবে যেইসকল রুমে যেগুলোর নম্বরটি ৫ এর গুণিতক

এবং হোটেলে রুমের নম্বর আছে ১৫ থেকে ২০০

এখন,

১, ৩ ও ৫ এর লসাগু = ১৫

অর্থাৎ, তারা ১৫ এর গুণিতক রুম নাম্বারে একসাথে কাজ করবে।

আবার,

১৫ থেকে ২০০ পর্যন্ত ১৫ এর গুণিতকের তালিকা হলোঃ

১৫, ৩০, ৪৫, ৬০, ৭৫, ৯০, ১০৫, ১২০, ১৩৫, ১৫০, ১৬৫, ১৮০, ১৯৫।

সুতরাং, তারা সবাই ১৫, ৩০, ৪৫, ৬০, ৭৫, ৯০, ১০৫, ১২০, ১৩৫, ১৫০, ১৬৫, ১৮০, ১৯৫ নং ঘরে একসাথে কাজ করবে।

সারা প্রতি ৬তম দিনে একটি শপিং মলে যায়। অ্যান্ডি প্রতি ৭ম দিনে একই শপিং মলে যায়। ১লা ডিসেম্বর থেকে গণনা শুরু করলে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে মোট কতবার তাদের মলে দেখা হবে?

সমাধানঃ

ডিসেমবর মাসের দিন সংখ্যা = ৩১ দিন।

জানুয়ারি মাসের দিন সংখ্যা = ৩১ দিন।

তাহলে, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে মোট দিন সংখ্যা = ৩১ + ৩১ দিন = ৬২ দিন।

এখন,

সারা প্রতি ৬তম দিনে একটি শপিং মলে যায়।

অ্যান্ডি প্রতি ৭ম দিনে একই শপিং মলে যায়।

৬ এর গুণিতকগুলোঃ ৬,১২,২৪,৩০,৩৬,৪২,৪৮,৫৪,৬০….

৭ এর গুণিতকগুলোঃ ৭,১৪,২১,২৮,৩৫,৪২,৪৯,৫৬….

অর্থাৎ ৬ ও ৭ এর গুণিতক থেকে দেখা যাচ্ছে ৬২ দিনের মধ্যে সারা ও অ্যান্ডি ৪২তম দিনে শপিং মলে একই দিনে যাবে।

সুতরাং, সারা ও অ্যান্ডি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে মোট ১বার একে অপরের সাথে মিলিত হবে।

সামির একবারে  ধাপ লাফ দিতে পারে এবং নিনা একবারে  ধাপ লাফ দিতে পারে। উভয়ে একসাথে লাফাতে শুরু করলে কোন ধাপে উভয়েই মিলিত হবে?

সমাধানঃ

যে ধাপে সামির ও নিনা একসাথে মিলিত হবে তা ৪ ও ৫ এর লসাগুর সমান।

৪ ও ৫ এর লসাগুঃ ২০

সুতরাং তারা একসাথে লাফাতে শুরু করলে ২০তম ধাপে উভয়েই মিলিত হবে।

৮। অমিয়ার সপ্তাহের প্রতি ২য় দিনে একটি সংগীতের ক্লাস এবং প্রতি ৩য় দিনে পেইন্টিং ক্লাস হয়। কোন দিন তার উভয় ক্লাস হবে?

সমাধানঃ

২ এর গুণিতকসমূহঃ ২,৪,৬,৮,….

৩ এর গুণিতকসমূহঃ ৩,৬,৯,১২….

২ ও ৩ এর লসাগুঃ ৬

সুতরাং, আমিয়ার উভয় ক্লাস হবে ৬ষ্ট দিনে।

৯। আজফুটবল দল এবং বাস্কেটবল দল উভয়েরই খেলা ছিল। ফুটবল দল প্রতি  দিনে খেলে এবং বাস্কেটবল দল প্রতি  দিনে খেলে। আবার কবে একই দিনে দুই দলের খেলা হবে?

সমাধানঃ

৩ এর গুণিতকগুলঃ ৩,৬,৯,১২,১৫,১৮…..

৫ এর গুণিতকগুলোঃ ৫,১০,১৫,২০,২৫…..

অর্থাৎ, ৩ ও ৫ এর লসাগুঃ ১৫

সুতরাং, ১৫ দিনের মাথায় দুই দলের খেলা একই দিনে আবার হবে।

১০। তুমি প্রতি  সেকেন্ডে তোমার বন্ধুর দিকে তাকিয়ে একবার হাসো এবং তোমার বন্ধু প্রতি  সেকেন্ডে তোমার দিকে তাকিয়ে ফিরে হাসেন। তুমি  তোমার বন্ধু একই সাথে কখন হাসবে?

সংকেত : নিজেরাই হাসাহাসি করে দেখো।

সমাধানঃ

আমি ও আমার বন্ধু একই সাথে যে সময়ে হাসব তা হলো ৪ ও ৬ এর লসাগুর সমান।

।৪,
   ২,৩

লসাগু = ২×২×৩ = ১২

অর্থাৎ, আমি ও আমার বন্ধু ১২ সেকেন্ডে একই সাথে আবার হাসব।

১১। ছবিতে দুইটি ভিন্ন আকারের বর্গাকৃতি বাক্স দিয়ে পাশাপাশি দুইটি আলাদা স্তুপ করা হচ্ছে। দুটি স্তুপের উচ্চতা সমান করতে হলে সর্বনিম্ন কতগুলো কমলা বাক্স এবং কতগুলো নীল বাক্স প্রয়োজন হবেসর্বনিম্ন কত উচ্চতায় স্তুপ দুটি সমান উঁচু হবে?

সমাধানঃ

ছবিতে,

কমলা বাক্সের উচ্চতা ১০ ইঞ্চি

এবং নীল বাক্সের উচ্চতা ১২ ইঞ্চি।

তাহলে, সর্বনিন্ম যে উচ্চতায় স্তুপ দুটির উচ্চতা সমান হবে তা হলো ১০ ও ১২ এর লসাগুর সমান।

।১০,১২
।৫,
    ৫,৩

লসাগু =২×২×৫×৩ =৬০

অর্থাৎ, সর্বন্নম ৬০ ইঞ্চি উচ্চতায় স্তুপ দুটির উচ্চতা সমান হবে।

১২। একটি ম্যারাথন দৌড়ে দুইজন ব্যক্তি দৌড় শুরু করার পর নির্দিষ্ট সময় পরপর পানি পান করেন। প্রথম ব্যক্তি প্রতি  মিনিটে একবার পানি পান করেন। দৌড় শুরুর ৭২ মিনিট পরে প্রথমবার দুইজন একই সময়ে পানি পান করেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি কত সময় পরপর পানি পান করেন৭২ মিনিটে দ্বিতীয় ব্যক্তি কতবার করে পানি পান করেন?

সমাধানঃ

৭২  = ২×২×২×৩×৩ = ৮×৩×৩

এখন একটি সংখ্যা ৯ এবং অপর সংখ্যা a হলে এদের লসাগু ৭২ হবে যদি

a = ৮ বা ৮×৩ বা ৮×৩×৩ হয়

অর্থাৎ, ৮, ২৪ বা ৭২ হয়।

তাহলে, প্রথম ব্যক্তি ৯ মিনিট পরপর পানি পান করলে দ্বিতীয় ব্যক্তি ৮ মিনিট বা ২৪ মিনিট বা ৭২ মিনিট পরপর পানি পান করেন।

এখন,

৭২÷৮=৯

৭২÷২৪=৩

৭২÷৭২=১

তাহলে, দ্বিতীয় ব্যক্তি ৭২ মিনিটে মোট ৯ বার বা ৩ বার বা ১ বার পানি পান করেন।

১৩। ঢাকার নগর সার্ভিসের একটি বাস A প্রতি ৬০ মিনিট পরপর বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে যায়। আবার একই বাসস্ট্যান্ড থেকে আরেকটি বাস B প্রতি ৮০ মিনিট পরপর ছেড়ে যায়। প্রতিদিন সকাল  টায় বাস দুইটি তাদের সার্ভিস শুরু করে। প্রতিদিন মোট কতবার এবং কোন কোন সময়ে উভয় বাস একসাথে বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে যাবে?

সমাধানঃ

৬০ ও ৮০ এর লসাগুই নির্দিষ্ট সময়সীমা যখন বাস দুটি একই সময় একসাথে ছাড়বে।

।৬০,৮০
।৩০,৪০
।৬,
।৩,
   ৩,২

লসাগু = ২×৫×২×২×৩×২ = ২৪০

অর্থাৎ বাস দুটি ২৪০ মিনিট পরপর একসাথে ছাড়বে।

২৪০ মিনিট = (২৪০÷৬০) ঘন্টা = ৪ ঘন্টা।

এখন, এক দিন = ২৪ ঘন্টা হলে, বাস দুটি একই সময়ে ছেড়ে যাবে মোট (২৪÷৪) = ৬ বার।

বাস দুইটি,

১ম বার একসাথে ছেড়ে যাবে সকাল ৬টায়

২য় বার একসাথে ছেড়ে যাবে (৬টা+৪ঘন্টা) = সকাল ১০ টায়

৩য় বার একসাথে ছেড়ে যাবে (১০টা+৪ঘন্টা) = দুপুর ২ টায়

৪র্থ বার একসাথে ছেড়ে যাবে (২টা+৪ঘন্টা) = সন্ধ্যা ৬ টায়

৫ম বার একসাথে ছেড়ে যাবে (৬টা+৪ঘন্টা) = রাত ১০ টায়

৬ষ্ট বার একসাথে ছেড়ে যাবে (১০টা+৪ঘন্টা) = রাত ২ টায়

পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাবলিঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাবলির উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

ট্যালির মাধ্যমে গণনা করে সংখ্যা লিখ বা ট্যালির মাধ্যমে সংখ্যাকে প্রকাশ করঃ

সমাধানঃ

সমাধান নিচের চিত্রে দেয়া হলোঃ

কোন ঘড়িতে সময় কত?

সমাধানঃ

১) ৬ টা ১১ মিনিট

২) ২ টা ৫৬ মিনিট

৩) ১ টা ৫১ মিনিট

৪) ১১ টা ৪১ মিনিট

নিচের ছকটি পূরন করোঃ

সংখ্যাঘড়িতে কীভাবে লেখা আছেসংখ্যাঘড়িতে কীভাবে লেখা আছে
১০
১১
১১

সমাধানঃ

সংখ্যাঘড়িতে কীভাবে লেখা আছেসংখ্যাঘড়িতে কীভাবে লেখা আছে
IVII
IIVIII
IIIIX
IV১০X
V১১XI
VI১১XII

অনুশীলনীঃ

এবার বলো তো ঘড়ির সংখ্যা লেখার পদ্ধতি অনুসারে ১৩২০৬৭ সংখ্যাগুলো কীভাবে লেখা হবে?

সমাধানঃ

১৩ লেখা হবেঃ XIII

২০ লেখা হবেঃ XX

৬৭ লেখা হবেঃ LXVII

মায়ানরা কীভাবে সংখ্যা লিখত জানোনিচের সারণিটি পূরণ করতে পারবে?

ছক পাঠ্যপুস্তকে দেখ।

সমাধানঃ

পূরণকৃত ছকটি নিন্মরূপঃ

অনুশীলনী ২য় অংশ

পুনরাবৃত্তি না করে নিচের অঙ্কগুলো ব্যবহার করে চার অঙ্কের বৃহত্তম  ক্ষুদ্রতম সংখ্যা তৈরি করো।

ক) ২, ৮, ৭, ৪

খ) ৯, ৭, ৪, ১

গ) ৪, ৭, ৫, ০

ঘ) ১, ৭, ৬, ২

ঙ) ৫, ৪, ০, ২

সমাধানঃ

ক) ২, ৮, ৭, ৪

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৮৭৪২

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ২৪৭৮

খ) ৯, ৭, ৪, ১

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৯৭৪১

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ১৪৭৯

গ) ৪, ৭, ৫, ০

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৭৫৪০

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ৪০৫৭

ঘ) ১, ৭, ৬, ২

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৭৬২১

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ১২৬৭

ঙ) ৫, ৪, ০, ২

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৫৪২০

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ২০৪৫

যে কোনো একটি অঙ্ক দুইবার ব্যবহার করে বৃহত্তম  ক্ষুদ্রতম সংখ্যা তৈরি করো।

ক) ৩, ৮, ৭

খ) ৯, ০, ৫

গ) ০, ৪, ৯

ঘ) ৮, ৫, ১

সমাধানঃ

ক) ৩, ৮, ৭

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৮৮৭৩  [এখানে দুইবার ব্যবহৃত অংক ৮]

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ৩৩৭৮ [এখানে দুইবার ব্যবহৃত অংক ৩]

খ) ৯, ০, ৫

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৯৯৫০ [এখানে দুইবার ব্যবহৃত অংক ৫]

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ৫০০৯ [এখানে দুইবার ব্যবহৃত অংক ০]

গ) ০, ৪, ৯

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৯৯৪০ [এখানে দুইবার ব্যবহৃত অংক ৯]

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ৪০০৯ [এখানে দুইবার ব্যবহৃত অংক ০]

ঘ) ৮, ৫, ১

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৮৮৫১ [এখানে দুইবার ব্যবহৃত অংক ৮]

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ১১৫৮ [এখানে দুইবার ব্যবহৃত অংক ১]

নিচের শর্তগুলো পূরণ করে যে কোনো চারটি ভিন্ন অঙ্ক ব্যবহার করে বৃহত্তম  ক্ষুদ্রতম সংখ্যা তৈরি করো।

ক) ৭ অঙ্কটি এককের স্থানে থাকবে।

সমাধানঃ

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৯৮৬৭

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ১০২৭

খ) ৪ অঙ্কটি সবসময় দশকের স্থানে থাকবে।

সমাধানঃ

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৯৮৪৭

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ১০৪২

গ) ৯ অঙ্কটি সবসময় শতকের স্থানে থাকবে।

সমাধানঃ

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ৮৯৭৬

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ১৯০২

ঘ) ১ অঙ্কটি সবসময় হাজারের স্থানে থাকবে।

সমাধানঃ

বৃহত্তম সংখ্যাঃ ১৯৮৭

ক্ষুদ্রতম সংখ্যাঃ ১০২৩

সরল সমীকরণ (Linear Equation)ঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান সরল সমীকরণ এর উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

x+2=5 হলো একটি গাণিতিক বাক্য ও সমতা। আর সমান চিহ্ন সংবলিত এই প্রকার গাণিতিক বাক্যকে আমরা সমীকরণ বলে থাকি। এখানে অজানা বা অজ্ঞাত রাশি কে চলক (variable) বলি। সাধারণত ইংরেজি বর্ণমালার বর্ণ ছোট হাতের অক্ষরগুলোকে অজ্ঞাত রাশি বা চলক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অজ্ঞাত রাশি বা চলকের একঘাতবিশিষ্ট সমীকরণই হলো সরল সমীকরণ বা Linear Equation। যেমন: 2a-5=0, y+3 =11, 2a-1=a+5 ইত্যাদি। কেননা এদের প্রত্যেকটি এক চলকবিশিষ্ট ও একঘাতবিশিষ্ট। এখন চল আমরা অনুশীলনীর সমস্যার সমাধান করিঃ-

ষষ্ঠ শ্রেণি নবম অনুশীলনী

১। ছক তৈরি করে নিচের কোনগুলো সমীকরণ এবং কোনগুলো সমীকরণ নয় যুক্তিসহ উপস্থাপন করো।

(a) 15 = x + 5

(b) (y-6) < 3

(c) 6/3 = 2

(d) z – 4 = 0

(e) (4×3) – 12 = 0

(f) 2x + 3 = x – 15

(g) y + 25 > 30

(h) 8 – x = 11

(i) 20 – (10-5) = 3×5

(j) 5/0 = 5

(k) 15y = 45

(l) 7 = (11×2) + x

সমাধানঃ

ক্রমিক
নম্বর
বীজগাণিতিক সম্পর্কসমীকরণ
পরীক্ষার ফল
ফলাফলের কারন ব্যাখ্যা
(a)15 = x + 5সমীকরণএখানে, চলক x বিদ্যমান এবং x এর নির্দিষ্ট মানের জন্য বামপক্ষ ও ডানপক্ষ সমান।
(b)(y-6) < 3সমীকরণ নয়এখানে, চলক y  থাকলেও y এর নির্দিষ্ট মানের জন্য বামপক্ষ ও ডানপক্ষ সমান হবে না।
(c)6/3 = 2সমীকরণ নয়এখানে, কোন চলকই নেই।
(d)z – 4 = 0সমীকরণএখানে, চলক z বিদ্যমান এবং z এর নির্দিষ্ট মানের জন্য বামপক্ষ ও ডানপক্ষ সমান।
(e)(4×3) – 12 = 0সমীকরণ নয়এখানে, কোন চলকই নেই।
(f)2x + 3 = x – 15সমীকরণএখানে, চলক x বিদ্যমান এবং x এর নির্দিষ্ট মানের জন্য বামপক্ষ ও ডানপক্ষ সমান।
(g)y + 25 > 30সমীকরণ নয়এখানে, চলক y  থাকলেও y এর নির্দিষ্ট মানের জন্য বামপক্ষ ও ডানপক্ষ সমান হবে না।
(h)8 – x = 11সমীকরণএখানে, চলক x বিদ্যমান এবং x এর নির্দিষ্ট মানের জন্য বামপক্ষ ও ডানপক্ষ সমান।
(i)20 – (10-5) = 3×5সমীকরণ নয়এখানে, কোন চলকই নেই।
(j)5/0 = 5সমীকরণ নয়এখানে, কোন চলকই নেই।
(k)15y = 45সমীকরণএখানে, চলক y বিদ্যমান এবং y এর নির্দিষ্ট মানের জন্য বামপক্ষ ও ডানপক্ষ সমান।
(l)7 = (11×2) + xসমীকরণএখানে, চলক x বিদ্যমান এবং x এর নির্দিষ্ট মানের জন্য বামপক্ষ ও ডানপক্ষ সমান।

২। নিচের ছকের সমস্যাগুলোকে সমীকরণ আকারে প্রকাশ করো।

ক্রমিক
নম্বর
সমস্যাসমীকরণসমীকরণের মূল
(i)একটি সংখ্যা x এর দ্বিগুণের সাথে 7 যোগ করলে যোগফল 23 হবে।
(ii)দুইটি ক্রমিক স্বাভাবিক সংখ্যার যোগফল 36 এবং ছোট সংখ্যাট y
(iii)একটি সংখ্যা x এর চার গুণ থেকে 5 বিয়োগ করলে প্রাপ্ত বিয়োগফল সংখ্যাটির দ্বিগুণ অপেক্ষা 19 বেশি।
(iv)একটি আয়তাকার পুকুরের দৈর্ঘ্য x মিটার, দৈর্ঘ্য অপেক্ষা প্রস্থ 3 মিটার কম এবং পুকুরটির পরিসীমা 26 মিটার।
(v)পুত্রের বর্তমান বয়স y বছর, পিতার বয়স পুত্রের বয়সের ছয় গুণ। তাদের বর্তমান বয়সের সমষ্টি 35 বছর।

সমাধানঃ

ক্রমিক
নম্বর
সমস্যাসমীকরণসমীকরণের মূল
(i)একটি সংখ্যা x এর দ্বিগুণের সাথে 7 যোগ করলে যোগফল 23 হবে।2x + 7 = 232x + 7 = 23
বা, 2x = 23 – 7
বা, 2x = 16
বা, x = 16/2
বা, x = 8
অতএব, সমীকরনের মূল = 8
(ii)দুইটি ক্রমিক স্বাভাবিক বিজোড় সংখ্যার যোগফল 36 এবং ছোট সংখ্যাট yy + (y + 2) = 36y + (y + 2) = 36
বা, 2y + 2 = 36
বা, 2y = 34
বা, y = 17
অতএব, সমীকরনের মূল = 17
(iii)একটি সংখ্যা x এর চার গুণ থেকে 5 বিয়োগ করলে প্রাপ্ত বিয়োগফল সংখ্যাটির দ্বিগুণ অপেক্ষা 19 বেশি।4x – 5 = 2x + 194x – 5 = 2x + 19
বা, 4x – 2x = 19 + 5
বা, 2x = 24
বা, x = 12
অতএব, সমীকরনের মূল = 12
(iv)একটি আয়তাকার পুকুরের দৈর্ঘ্য x মিটার, দৈর্ঘ্য অপেক্ষা প্রস্থ 3 মিটার কম এবং পুকুরটির পরিসীমা 26 মিটার।2{x + (x-3)} = 262{x + (x-3)} = 26
বা, 2(2x-3) = 26
বা, 2x – 3 = 13
বা, 2x = 16
বা, x = 8
অতএব, সমীকরনের মূল = 8
(v)পুত্রের বর্তমান বয়স y বছর, পিতার বয়স পুত্রের বয়সের ছয় গুণ। তাদের বর্তমান বয়সের সমষ্টি 35 বছর।y + 6y = 35y + 6y = 35
বা, 7y = 35
বা, y = 5
অতএব, সমীকরনের মূল = 5

 

৩। প্রতিটি সমীকরণের পাশে থাকা কলামের ভিতরের মানগুলো থেকে সঠিক মূলটি বেছে নাও। অবশিষ্ট মানগুলো কেন সমীকরণটির মূল হবে না ব্যাখ্যা করো।

ক্রমিক নম্বরসমীকরণমান
(i)2x+5=1510,5,-5
(ii)5-y=712,2,-2
(iii)5x-2=3x+85,1,-5
(iv)2y+2=1618,9,7
(v)4z-5=2z+1912,7,4

সমাধানঃ

(i)

2x+5=15

বা, 2x=15-5

বা, 2x=10

বা, x=10/2

বা, x=5

অতএব, সঠিক মূল 5

এখন, x=10 হলে, বামপক্ষ = 2.10+5 = 20+5 =25 যা ডানপক্ষের সমান নয়।

আবার,  x=-5 হলে, বামপক্ষ = 2.(-5)+5 = -10+5 =-5 যা ডানপক্ষের সমান নয়।

এই কারনে, 10 ও -5, 2x+5=15 এর মূল হবে না।

(ii)

5-y=7

বা,-y = 7-5

বা, -y = 2

বা, y = -2

অতএব, সঠিক মূল -2

এখন,

y=12 হলে, বামপক্ষ = 5-12 = -7 যা ডানপক্ষের সমান নয়।

আবার।  y=2 হলে, বামপক্ষ = 5-2 = 3 যা ডানপক্ষের সমান নয়।

এই কারনে, 12 ও 2, 5-y=7 এর মূল হবে না।

(iii)

5x-2=3x+8

বা, 5x-3x = 8 + 2

বা, 2x = 10

বা, x = 5

অতএব, সঠিক মূল 5

এখন,

x=1 হলে, বামপক্ষ = 5.1-2 =5-2 =3; ডানপক্ষ = 3.1+8 = 3+8 =11; অর্থাৎ দুই পক্ষ সমান নয়।

আবার,

x=-5 হলে, বামপক্ষ = 5.(-5)-2 =-25-2 =-27; ডানপক্ষ = 3.(-5)+8 = -15+8 =-7; অর্থাৎ দুই পক্ষ সমান নয়।

এই কারনে, 1 ও -5, 5x-2=3x+8 এর মূল হবে না।

(iv)

2y+2=16

বা, 2y = 16-2

বা, 2y = 14

বা, y = 14/2

বা, y = 7

অতএব, সঠিক মূল 7

এখন, x=18 হলে, বামপক্ষ = 2.18+2 = 36+2 =38 যা ডানপক্ষের সমান নয়।

আবার,  x=9 হলে, বামপক্ষ = 2.9+2 = 18+2 =20 যা ডানপক্ষের সমান নয়।

এই কারনে, 18 ও 9, 2y+2=16 এর মূল হবে না।

(v)

4z-5=2z+19

বা, 4z-2z=19+5

বা, 2z=24

বা, z=24/2

বা, z=12

অতএব, সঠিক মূল 12

এখন,

z=7 হলে, বামপক্ষ = 4.7–5=28-5=23; ডানপক্ষ = 2.7+19=14+19=33; অর্থাৎ দুই পক্ষ সমান নয়।

আবার,

z=4 হলে, বামপক্ষ = 4.4-5=16-5=11; ডানপক্ষ = 2.4+19=8+19=27; অর্থাৎ দুই পক্ষ সমান নয়।

এই কারনে, 7 ও 4, 4z-5=2z+19 এর মূল হবে না।

8 মীনা 100 টাকার একটি নোট নিয়ে বাজারে গেল। সে একটি দোকান থেকে প্রতিটি x টাকা দামের এক ডজন কলম কিনল। দোকানদার তাকে 40 টাকা ফেরত দিলেন। মীনা অন্য একটি দোকান থেকে প্রতিটি 12 টাকা দামের yটি খাতা কেনায় 4 টাকা অবশিষ্ট রইল।

ক) প্রতিটি কলমের মূল্য নির্ণয় করো।

খ) মীনা কয়টি খাতা কিনেছিল?

সমাধানঃ

(ক)

এক ডজন = 12 টি

একটি কলমের দাম x টাকা

∵12 টি কলমের দাম 12x টাকা

প্রশ্নমতে,

100 – 12x = 40

বা, -12x = 40 -100

বা, 12x = 100-40

বা, 12x =60

বা, x = 60/12

বা, x = 5

অতএব, প্রতিটি কলমের মূল্য 5 টাকা।

(খ)

1 টি খাতার দাম 12 টাকা

∵ y টি খাতার দাম 12y টাকা।

প্রশ্নমতে,

40 – 12y = 4

বা, -12y = 4 -40

বা, 12y = 40-4

বা, 12y =36

বা, y =36/12

বা, y = 3

অতএব, মিনা খাতা কিনেছিল 3 টি।

৫। করিম সাহেব তাঁর 56000 টাকার কিছু টাকা বার্ষিক 12% মুনাফায়  বাকি টাকা বার্ষিক 10% মুনাফায় বিনিয়োগ করলেন। এক বছর পর তিনি মোট 6400 টাকা মুনাফা পেলেন। তিনি 10% মুনাফায় কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন?

সমাধানঃ

মনে করি, করিম সাহেব 10% মুনাফায় বিনিয়োগ করেছেন x টাকা

তাহলে, করিম সাহেব 12% মুনাফায় বিনিয়োগ করেছেন (56000-x) টাকা

প্রশ্নমতে,

(56000-x)×12% + x×10% = 6400

বা, (56000-x)×12/100 + x×10/100 = 6400

বা,  (56000-x)×12 + x×10 = 6400×100 [উভয়পক্ষকে 100 দ্বারা গুণ করে]

বা, 56000×12-12x+10x = 640000

বা, 672000 – 2x = 640000

বা, -2x = 640000 – 672000

বা, 2x = 672000 – 640000

বা, 2x = 32000

বা, x = 32000/2

বা, x = 16000

অতএব,  তিনি 10% মুনাফায় 16000 টাকা বিনিয়োগ করেছেন।

৬। কোনো এক ক্রিকেট ম্যাচে সাকিবমুশফিকুর রহিমের দ্বিগুণ রান করে। মাত্র 2 রানের জন্য দুজনের রানের সমষ্টি ডাবল সেঞ্চুরি হয় নাই। কে কত রান করেছে?

সমাধানঃ

আমরা জানি ক্রিকেটে সেঞ্চুরি হয় 100 রান করলে

আর ডাবল-সেঞ্চুরি হয় 200 রান করলে।

তাহলে, ম্যাচটিতে সাকিব ও মুশফিকের রানের সমষ্টি (200-2) = 198 রান।

এখন মনে করি,

মুশফিক ম্যাচটিতে যত রান করে তার সংখ্যা = x

সুতরাং ম্যাচটিতে সাকিব যত রান করে তার সংখ্যা = 2x

প্রশ্নমতে,

x + 2x = 198

3x = 198

x = 198/3

x = 66

অর্থাৎ, মুশফিক ম্যাচটিতে 66 রান করেছে।

এবং সাকিব ম্যাচটিতে (66×2) = 132 রান করেছে।

৭। খালি ঘর পূরণ করো।

সমাধানঃ

(ক)

মনে করি ১ম খালি ঘর = x

এখন,

১ম খালি ঘর + ২য় খালি ঘর = 10

বা, x + ২য় খালি ঘর = 10

বা, ২য় খালি ঘর  = 10-x

আবার,

২য় খালি ঘর + ৪র্থ খাকি ঘর = 10

বা, 10-x + ৪র্থ খাকি ঘর = 10

বা, ৪র্থ খাকি ঘর = 10 – (10 -x) = 10 – 10 + x = x

বা, ৪র্থ খালি ঘর = x

আবার,

৩য় খালিঘর – ৪র্থ খালিঘর = 12

বা, ৩য় খালি ঘর – x =12

বা, ৩য় খালিঘর = 12+x

এখন,

১ম খালি ঘর + ৩য় খালি ঘর = 17

বা, x + 12+x = 17

বা, 2x = 17-12

বা, 2x = 5

বা, x = 2.5

তাহলে,

১ম খালি ঘর = 2.5

২য় খালি ঘর = 10-2.5 = 7.5

৩য় খালি ঘর = 2.5

৪র্থ খালি ঘর = 12+2.5 =14.5

প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা এই মানগুলো চিত্রে প্রদত্ত স্থানে বসাবে, এখানে আমরা শুধু কিভাবে খালি ঘরের মান বের করা যায় সেটা দেখালাম। ধন্যবাদ।

(খ)

ধরি, ১ম খালি ঘরের মান = a

এখন,

১ম খালি ঘর + ২য় খালি ঘর = 15

বা, a + ২য় খালি ঘর = 15

বা, ২য় খালি ঘর = 15-a

আবার,

১ম খালিঘর + ৩য় খালিঘর = 12

বা, a + ৩য় খালিঘর = 12

বা, ৩য় খালি ঘর = 12-a

আবার,

৩য় খালি ঘর + ৪র্থ খালি ঘর = 15

বা, 12-a + ৪র্থ খালি ঘর = 15

বা, ৪র্থ খালি ঘর = 15 – (12-a) = 15 – 12 + a = 3+a

এখন,

২য় খালি ঘর – ৪র্থ খালি ঘর = 2

বা, (15-a) – (3+a) = 2

বা, 15 – a – 3 – a = 2

বা, 12 – 2a = 2

বা, -2a = 2-12

বা, -2a = -10

বা, 2a = 10

বা, a = 10/2 = 5

তাহলে,

১ম খালি ঘর = a = 5

২য় খালি ঘর = 15-a = 15-5 = 10

৩য় খালি ঘর = 12-a = 12-5 = 7

৪র্থ খালি ঘর = 3+a= 3+5 = 8

প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা এই মানগুলো চিত্রে প্রদত্ত স্থানে বসাবে, এখানে আমরা শুধু কিভাবে খালি ঘরের মান বের করা যায় সেটা দেখালাম। ধন্যবাদ।

৮। পানির একটা বোতলের ওজন 150 গ্রাম। মিনা 50 গ্রাম ওজনের একটা ব্যাগের মধ্যে কিছু সংখ্যক পানির বোতল রাখল। বোতলের সংখ্যাকে x দ্বারা এবং পানির বোতলগুলোর ওজন  ব্যাগের ওজনের যোগফল y দ্বারা প্রকাশ করা হলো।

ক) x এবং y এর সম্পর্ক সমীকরণের মাধ্যমে লেখো।

খ) y এর মান নির্ণয় করো যখন x = 15

গ) x এর মান নির্ণয় করো যখন y = 1100

সমাধানঃ

দেওয়া আছে,

বোতলের সংখ্যা = x

1 টি বোতলের ওজন 150 গ্রাম

ব্যাগের ওজন = 50 গ্রাম

পানির বোতলগুলোর ওজন + ব্যাগের ওজন = y

(ক)

1 টি বোতলের ওজন 150 গ্রাম

∵ x টি বোতলের ওজন = 150x গ্রাম

তাহলে, বোতলগুলোর ওজন + ব্যাগের ওজন = y

বা, 150x + 50 = y

∵ x এবং y এর সম্পর্ক সমীকরণ: 150x + 50 = y

(খ)

ক হতে পাই,

150x + 50 = y

বা, y = 150x + 50

বা, y = 150×15 + 50  [প্রশ্নমতে, x=15]

বা, y = 2300

(গ)

ক হতে পাই,

150x + 50 = y

বা, 150x + 50 = 1100 [প্রশ্নমতে, y = 1100]

বা, 150x = 1100 – 50

বা, 150x = 1050

বা, x = 1050/150

বা, x = 7

৯। x প্যাকেট বিস্কুট এবং এক বোতল পানীয়ের মূল্য একত্রে y টাকা  এক প্যাকেট বিস্কুটের মূল্য 20 টাকা এবং এক বোতল পানীয়ের মূল্য 15 টাকা।

ক) x এবং y এর সম্পর্ক সমীকরণের মাধ্যমে লেখো

খ) y এর মান নির্ণয় কর যখন x = 25

গ) x এর মান নির্ণয় কর যখন y = 255

সমাধানঃ

(ক)

এক প্যাকেট বিস্কুটের মূল্য 20 টাকা

∵ x প্যাকেট বিস্কুটের মূল্য 20x টাকা

এখন,

X প্যাকেট বিস্কুটের মূল্য + এক বোতল পানীয়ের মূল্য = y

বা, 20x + 15 = y

∵ x এবং y এর সম্পর্ক সমীকরণ: 20x + 15 = y

(খ)

ক হতে পাই,

20x + 15 = y

বা, 20×25 + 15 = y [মান বসিয়ে, যখন x=25]

বা, 500 + 15 = y

বা, y = 515

(গ)

ক হতে পাই,

20x + 15 = y

বা, 20x + 15 = 255 [মান বসিয়ে, যখন y=255]

বা, 20x = 255 – 15

বা, 20x = 240

বা, x = 240/20

বা, x = 12

১০। তোমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠটির দৈর্ঘ্যপ্রস্থ অপেক্ষা 16 মিটার বেশি।

ক) খেলার মাঠটির প্রস্থ x মিটার হলে, মাঠটির পরিসীমা x এর মাধ্যমে নির্ণয় করো।

খ) মাঠটির পরিসীমা 120 মিটার হলে, মাঠের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

(ক)

দেওয়া আছে,

খেলার মাঠটির প্রস্থ x মিটার

∵ খেলার মাঠটির দৈর্ঘ্য = x+16 মিটার

তাহলে,

খেলার মাঠটির পরিসীমা

= 2×(দৈর্ঘ্য+প্রস্থ) একক

= 2×{(x+16)+x} মিটার

= 2×(x+16+x) মিটার

= 2(2x+16) মিটার

= 4x + 32 মিটার

∵ x এর মাধ্যমে নির্নিত মাঠটির পরিসীমাঃ 4x + 32 মিটার।

(খ)

দেওয়া আছে, মাঠটির পরিসীমা = 120 মিটার।

এখন,

ক হতে পাই,

মাঠটির পরিসীমা = 4x + 32

তাহলে,

4x + 32 = 120

বা, 4x = 120 – 32

বা, 4x = 88

বা, x = 88/4

বা, x = 22

অর্থাৎ, মাঠটির প্রস্থ = 22 মিটার

∵ মাঠটির দৈর্ঘ্য = (22 + 16) মিটার = 38 মিটার.

তাহলে,

মাঠের ক্ষেত্রফল

= দৈর্ঘ্য×প্রস্থ বর্গ একক

= 38×22 বর্গ মিটার

= 836 বর্গ মিটার।

সূত্র খুঁজি সূত্র বুঝি

নিচের জ্যামিতিক চিত্রগুলো সমান দৈর্ঘ্যের রেখাংশ দ্বারা তৈরি।

ক) চতুর্থ চিত্রটি তৈরি করে রেখাংশের সংখ্যা নির্ণয় করো।

খ) চিত্রগুলোর রেখাংশের সংখ্যা কোন গাণিতিক সূত্র বা নীতিকে সমর্থন করে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।

গ) ১ম 100 টি চিত্র তৈরি করতে মোট কতটি রেখাংশ প্রয়োজন হবে, তা নির্ণয় করো।

সমাধানঃ

(ক)

চতুর্থ চিত্রটি তৈরি করে আমরা পাই-

অর্থাৎ, চতুর্থ চিত্রে রেখাংশের সংখ্যা = 21 টি।

(খ)

চিত্রগুলোর রেখাংশের সংখ্যার গাণিতিক সূত্র নির্ণয়ঃ

১ম চিত্রে রেখাংশের সংখ্যা = 6 = 5×1 + 1

২য় চিত্রে রেখাংশের সংখ্যা = 11 = 5×2 + 1

৩য় চিত্রে রেখাংশের সংখ্যা = 16 = 5×3 + 1

৪র্থ চিত্রে রেখাংশের সংখ্যা = 21 = 5×4 + 1

∵ n-তম চিত্রে রেখাংশের সংখ্যা = 5n + 1

অর্থাৎ, চিত্রগুলোর রেখাংশের সংখ্যা 5n + 1 সূত্র মেনে চলে যেখানে n হলো চিত্রের সংখ্যা।

যুক্তিঃ

n = 1 হলে, 5n + 1 = 5×1 + 1 = 5 + 1 = 6 যা ১ম চিত্রের রেখাংশের সমান।

n = 2 হলে, 5n + 1 = 5×2 + 1 = 10 + 1 = 11 যা ২য় চিত্রের রেখাংশের সমান।

n = 3 হলে, 5n + 1 = 5×3 + 1 = 15 + 1 = 16 যা ৩য় চিত্রের রেখাংশের সমান।

(গ)

খ হতে লিখতে পারি,

100 টি চিত্রের মোট রেখাংশের সংখ্যা

= (5×1+1) + (5×2+1) + (5×3+1) + ……. + (5×100+1)

= 5(1+2+3+….+100) + 1×100

= 5(101×50)+100 [কার্ল ফ্রিড্রিক গাউসের সূত্রানুসারে 1+2+3+….+100 এর মান 101×50]

= 5×5050 + 100

= 25350

আনোয়ারা বেগম তার বেতন থেকে প্রথম মাসে ৫০০ টাকা সঞ্চয় করেন এবং পরবর্তী প্রতিমাসে এর পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় ১০০ টাকা বেশি সঞ্চয় করেন।

ক) সঞ্চয়ের হিসাবটিকে একটি গাণিতিক সূত্র বা নীতির মাধ্যমে ব্যাখ্যাসহ প্রকাশ করো।

খ) তিনি ৩০তম মাসে কত টাকা সঞ্চয় করেন?

গ) প্রথম ৩ বছরে তিনি মোট কত টাকা সঞ্চয় করেন?

সমাধানঃ

(ক)

আনোয়ারা বেগম

১ম মাসে সঞ্চয় করেন 500 টাকা = 500

২য় মাসে সঞ্চয় করেন (500+100) টাকা = 600 টাকা

৩য় মাসে সঞ্চয় করেন = (600+100) টাকা = 700 টাকা

……………………………………………………………………………………..

এখন, এই শর্তকে গাণিতিক সূত্র বা নীতির মাধ্যমে লিখিঃ

১ম মাসে সঞ্চয় করেন 500 টাকা = 400 + 1×100 টাকা

২য় মাসে সঞ্চয় করেন 600 টাকা = 400 + 2×100 টাকা

৩য় মাসে সঞ্চয় করেন 700 টাকা = 400 + 3×100 টাকা

……………………………………………………………………………………

∵ n তম মাসে সঞ্চয় করেন  400+ n×100 টাকা = 100(4+n) টাকা

অতএব, প্রদত্ত সঞ্চয়ের হিসাবের গাণিতিক সূত্র বা নীতির প্রকাশঃ 100(4+n) টাকা

ব্যাখ্যাঃ

n = 1 হলে, 100(4+n) = 100(4+1) = 100×5 = 500 যা ১ম মাসের সঞ্চয়ের সমান

n = 2 হলে, 100(4+n) = 100(4+2) = 100×6 = 600 যা ২য় মাসের সঞ্চয়ের সমান

n = 3 হলে, 100(4+n) = 100(4+3) = 100×7 = 700 যা ৩য় মাসের সঞ্চয়ের সমান।

(খ)

আনোয়ারা বেগমের ৩০তম মাসের সঞ্চয় নির্ণয়ঃ

ক হতে পাই,

সঞ্চয়ের গাণিতিক সূত্রঃ 100(4+n)

অতএব, n=30 হলে, ৩০তম মাসে সঞ্চয় = 100(4+30) টাকা =100×34 টাকা = 3400 টাকা।

(গ)

3বছর = 3×12 মাস = 36 মাস।

ক হতে পাই,

সঞ্চয়ের গাণিতিক সূত্রঃ 100(4+n)

তাহলে,

36 মাসের মোট সঞ্চয়

= 100(4+1)+100(4+2)+100(4+3)+……….+100(4+36) টাকা

= 36×100×4 + 100(1+2+3+…………+36) টাকা

=14400+100×(37×18) টাকা [কার্ল ফ্রিডরিখ গাউস এর পদ্ধতি অনুসারে 1+2+3+……..+36 = 37×18 ]

= 14400+100×666 টাকা

= 14400+66600 টাকা

= 81000 টাকা।

অরবিন্দু চাকমা পেনশনের টাকা পেয়ে  লাখ টাকার তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক  বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কিনলেন। বার্ষিক মুনাফার হার %

ক) মুনাফা নির্ণয়ের জন্য গাণিতিক সূত্র বা নীতি যৌক্তিক ব্যাখ্যাসহ তৈরি করো।

খ) তিনি প্রথম কিস্তিতে অর্থাৎ প্রথম ৩ মাস পর কত টাকা মুনাফা পাবেন, তোমার তৈরি করা সূত্রটি ব্যবহার করে নির্ণয় করো।

গ) ৩ বছর শেষে তিনি মোট কত টাকা মুনাফা পাবেন?

সমাধানঃ

(ক)

১০০ টাকায় ১২ মাসের সুদ ৮ টাকা

১ টাকায় ১ মাসের সুদ /(১০০×১২) টাকা

৫০০০০০ টাকার  ৩ মাসের সুদ (×৫০০০০০×)/(১০০×১২) টাকা

এখন,

(×৫০০০০০×)/(১০০×১২)

= ৫০০০০০×/১০০×/১২

= মূলধন×সূদের হার×সময়

= prn

অতএব, মূনাফা নির্ণিয়ের গাণিতিক সূত্রঃ prn

(খ)

১ম কিস্তিতে বা ৩ মাস পর মূনাফার পরিমান নির্ণয়ঃ

এক্ষেত্রে, সময় = /১২

সুদের হার = /১০০

মূলধন = ৫০০০০০

অতএব, মুনাফা = prn

= ৫০০০০০×/১০০×/১২

= ১০০০০ টাকা

(গ)

অরবিন্দ চাকমা ৩ মাস পরপর মুনাফা পান।

এখন ৩ বছর = ৩×১২ মাস = ৩৬ মাস

তাহলে, ৩৬ মাসে তিনি মোট (৩৬/) = ১২ কিস্তিতে মুনাফা পাবেন।

এখন,

১ম কিস্তির মুনাফা = ১০০০০ টাকা

১ম + ২য় কিস্তির মোট মুনাফা = ১০০০০ টাকা + ১০০০০ টাকা = ২×১০০০০ টাকা

তাহলে, ১২ কিস্তির মোট মুনাফা = ১২×১০০০০ টাকা = ১২০০০০ টাকা।

∵ ৩ বছর শেষে তিনি মোট মুনাফা পাবেন ১২০০০০ টাকা।

তোমাকে ১০০ কেজি চাল দান করতে বলা হলো। তবে সব চাল একসাথে দান করা যাবে না। ১ম দিন ১০০ কেজি থেকে অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ কেজি দান করতে পারবে২য় দিন ৫০ কেজি থেকে অর্ধেক অর্থাৎ ২৫ কেজি দান করতে পারবে। এভাবে প্রতিদিন দান করার পর তোমার যে পরিমাণ চাল অবশিষ্ট থাকবে পরের দিন তার অর্ধেক পরিমাণ দান করতে হবে। সবগুলো চাল এভাবে দান করতে তোমার কত দিন সময় লাগবে? [বি:দ্রকোনোভাবেই  কেজির কম দান করতে পারবে না]

সমাধানঃ

১ম দিন দান করতে পারব = ৫০ কেজি = ১০০/ কেজি

২য় দিন দান করতে পারব = ২৫ কেজি = ১০০/ কেজি

৩য় দিন দান করতে পারব = ১২.৫ কেজি = ১০০/ কেজি

………………………………………………………………………………..

উপরের তথ্যসমূহ হতে দেখি দানের পরিমান গুনোত্তর হারে কমে যার ধারাটি নিন্মরুপঃ

২, ৪, ৮, ……………

বা, ২, ২, …….. ২n [n তম দিনে দান শেষ হবে ধরে]

এখন, n তম দিন দান শেষ হলে, শর্তমতে তখন দানের পরিমান ১০০/১০০ কেজি = ১ কেজি বা এর বেশি হতে হবে।

এখন, ২ = ৬৪ এবং ২ = ১২৮

এখন n=৬ হলে, দানের পরিমান = ১০০/৬৪ কেজি = ১.৫৬২৫ কেজি।

আবার, n=৭ হলে, দানের পরিমান = ১০০/১২৮ কেজি = ০.৭৮১২৫ কেজি।

কিন্তু দানের পরিমাণ ১ কেজির কম হতে পারবে না।

∵ সবগুলো চাল এভাবে দান করতে ৬ দিন সময় লাগবে।

নিচের ছবিতে মেঝেটি ১২ ইঞ্চি বর্গাকার সিরামিক টাইলস দ্বারা ঢাকতে হবে। প্রতি সারিতে টাইলস সংখ্যা তার পূর্বের সারি থেকে ১টি করে কম থাকবে।

ক) মেঝেটি ঢাকতে মোট কতটি টাইলস লাগবে?

খ) প্রতি বর্গফুট টাইলসের মূল্য ৭৫ টাকা হলে, টাইলস বাবদ কত টাকা খরচ হবে?

সমাধানঃ

(ক)

১২ ইঞ্চি = ১ ফুট

শর্তমতে,

ছবিতে, ১ম সারির দৈর্ঘ্য = ২০ ফুট ও শেষ সারির দৈর্ঘ্য = ১০ ফুট।

অতএব, ১ম ও শেষ সারিতে টাইলস থাকবে = ২০ টি ও ১০ টি; কারন প্রতিটি টাইলস এর দৈর্ঘ্য ১ ফুট।

এখন শর্তমতে,

১ম সারিতে টাইলস আছে ২০ টি

২য় সারিতে টাইলস আছে ১৯ টি

৩য় সারিতে টাইলস আছে ১৮ টি

……………………………………………..

শেষ সারিতে টাইলস আছে ১০ টি

তাহলে, মোট টাইলস সংখ্যা = ২০ + ১৯ + ১৮ + …….. + ১০ টি

এখন,

২০ + ১৯ + ১৮ + …….. + ১০

= (২০+১৯+১৮+…..+১) – (১+২+….+৯)

= ২১×১০ – ১০×৪.৫ [Carl Friedrich Gauss এর সূত্রমতে]

= ২১০ – ৪৫

= ১৬৫

∵ মেঝেটি ঢাকতে মোট টাইলস লাগবে ১৬৫টি।

(খ)

প্রতিটি টাইলস এর দৈর্ঘ্য = ১২ ইঞ্চি = ১ ফুট এবং টাইলসগুলো বর্গাকার।

অর্থাৎ, একটি টাইলসের ক্ষেত্রফল = ১ বর্গ ফুট

∵ ১৬৫ টি টাইলসের ক্ষেত্রফল = ১৬৫ বর্গ ফুট।

এখন,

১ বর্গফুট টাইলসের মূল্য = ৭৫ টাকা

∵ ১৬৫ বর্গফুট টাইলসের মূল্য = ১৬৫×৭৫ টাকা = ১২৩৭৫ টাকা।

একজন রাজমিস্ত্রি ইটের স্তূপ থেকে কিছু সংখ্যক ইট নিয়ে সেগুলোকে ১৫টি ধাপে সাজালেন। একেবারে নিচের ধাপে দুইটি সারি করলেন এবং প্রতিটি সারিতে ৩০টি করে ইট রাখলেন।

পরবর্তী উপরের প্রত্যেকটি ধাপে তার নিচের ধাপ থেকে প্রতিটি সারিতে ২টি করে ইট কম রাখলেন।

ক) একেবারে উপরের ধাপে কয়টি ইট থাকবে?

খ) ইট সাজানোর প্রক্রিয়াটিকে গাণিতিক সূত্র বা নীতির মাধ্যমে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।

গ) সে মোট কতগুলো ইট সাজিয়ে রেখেছে?

সমাধানঃ

(ক)

নিচ থেকে উপরের ধাপ অনুসারে,

১ম ধাপে দুইটি সারিতে ইট থাকবে ২×৩০ টি = ৬০ টি = ৬০ – ৪(১-১) টি

২য় ধাপের দুইটি সারিটে ইট থাকবে ২×২৮ টি = ৫৬ টি = ৬০ – ৪(২-১) টি

৩য় ধাপের দুইটি সারিতে ইট থাকবে ২×২৬ টি = ৫২ টি = ৬০ – ৪(৩-১) টি

অতএব, ১৫তম ধাপের দুইটি সারিতে ইট থাকবে = ৬০ – ৪(১৫-১) টি = ৬০ – ৪×১৪ টি= ৬০ – ৫৬ টি = ২৪ টি।

এখন, রাজমিস্ত্রি যেহেতু মোট ১৫টি ধাপে ইটগুলো সাজান সেহেতু সবচেয়ে উপরের ধাপ হলো ১৫তম ধাপ।

অতএব, একেবারে উপরের ধাপে ৪টি ইট থাকবে।

(খ)

ক হতে পাই,

ধাপ সংখ্যা n হলে, n তম ধাপের দুইটি সারিতে মোট ইট থাকবে ৬০ – ৪(n-১) টি

∵ ইট সাজানোর প্রক্রিয়াটিকে গাণিতিক সূত্র বা নীতির মাধ্যমে প্রকাশ করলে পাইঃ ৬০ – ৪(n-১)

ব্যাখ্যাঃ

n=১ হলে,

১ম ধাপে দুইটি সারিতে ইট থাকবে = ৬০ – ৪(১-১) = ৬০ – ৪×০ = ৬০ টি যা ১ম ধাপে উল্লেখিত ইটের সমান।

n=২ হলে,

২য় ধাপে দুইটি সারিতে ইট থাকবে = ৬০ – ৪(২-১) = ৬০ – ৪×১ = ৫৬ টি যা ২য় ধাপে উল্লেখিত ইটের সমান।

(গ)

ক ও খ হতে লিখতে পারি,

মোট ইটের সংখ্যা

= ৬০ + ৫৬ + ৫২ + …………. + ৪ টি

= ৪(১৫+১৪+১৩+…….+১) টি

= ৪×(১৬×৭.৫) টি [যেহেতু, ১৫+১৪+১৩+…….+১ =(১৫+১)×১৫/]

= ৪×১২০ টি

=৪৮০ টি

 

আজ আমরা জন্মমাস উদ্‌যাপন করব। তোমরা তো সবাই জানো আমরা প্রতি মাসের যেকোনো একদিন ঐ মাসে যাদের জন্ম হয়েছে তাদের জন্মদিন পালন করে থাকি। আজকের জন্মদিনে আমরা সবাই চকলেট খাবো। আমার কাছে মোট 900 চকলেট আছে। তবে চকলেট বিতরণের সময় আমরা একটা মজার খেলা খেলব খেলাটি হলো– প্রথম জন ১টি চকলেট নিবে। ২য় জন নিবে প্রথম জনের চেয়ে ২টি বেশি। ৩য় জন নিবে ২য় জনের চেয়ে আরও ২টি বেশি। এভাবে পরবর্তী প্রত্যেকে তার পূর্বের জনের চেয়ে ২টি করে চকলেট বেশি নিতে
থাকবে। আমাদের ক্লাসে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী আছে এবং আমি প্রত্যেকের জন্যই চকলেট নিয়ে এসেছি। চলো
চকলেট বিতরণের আগে একটু হিসাব-নিকাশ করে দেখি সবাই চকলেট পাব কি না।

শর্তমশর্ত,

১ম জনের চকলেট সংখ্যা = ১ = ১ × ১
১ম ২ জনের চকলেট সংখ্যা মোট = ১ + ৩ = ৪ = ২ × ২
১ম ৩ জনের চকলেট সংখ্যা মোট = ১ + ৩ + ৫ = ৯ = ৩ × ৩
১ম ৪ জনের চকলেট সংখ্যা মোট = ১ + ৩ + ৫ + ৭ = ১৬ = ৪ × ৪
১ম ৫ জনের চকলেট সংখ্যা মোট = ১ + ৩ + ৫ + ৭ + ৯ = ২৫ = ৫ × ৫
চকলেট বিতরণ করে দেখা যায় যে, ১ম ৬ জনের জন্য চকলেট লাগবে (৬×৬)টি, ১ম ৭ জনের জন্য চকলেট
লাগবে (৭×৭)টি এবং এভাবেই চকলেটের প্রয়োজন হবে।

সুতরাং আমরা বলতে পারি, ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য মোট চকলেট লাগবে = (৩০×৩০) = ৯০০টি।
অর্থাৎ, আমরা চাইলে খেলার শর্তটি মেনে ৯০০টি চকলেট সবাইকে ভাগ করে দিতে পারি।
তাহলে, আমরা বলতে পারি, শিক্ষার্থীর সংখ্যা n হলে, খেলার শর্ত অনুযায়ী চকলেট সংখ্যা হবে n×n.

👤 একক কাজ : প্রথম জনকে ২টি, ২য় জনকে প্রথম জনের চেয়ে ২টি বেশি, ৩য় জনকে
২য় জনের চেয়ে আরও ২টি বেশি এবং এভাবে পরবর্তী জনকে তার পূর্বের  জনের চেয়ে ২টি
করে চকলেট বেশি দিলে ৯৯২টি চকলেট মোট কত জনের মধ্যে ভাগ করে দেয়া যাবে?

কাগজ কেটে রং করি ও নকশা বানাই

একই মাপের আয়তাকার কাগজ কাটো, পছন্দমতো দুইটি ভিন্ন রং ব্যবহার করো। অতঃপর নিচের চিত্রের
মতো কাগজের ব্লকের তৈরি নকশা বানাও।

এবার নিচের ছকটি পূরণ করো :

চিত্রের ক্রমিক
নম্বর
চিত্রব্লকের সংখ্যারেখাংশের সংখ্যা
১ম২টি৭টি
২য়??
৩য়??
৪র্থ
৫ম
৬ষ্ঠ
৭ম
৮ম
৯ম

উপরের ছকের প্রতিটি চিত্রের রেখাংশের সংখ্যা একটি গাণিতিক সূত্র বা নীতির মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।
গাণিতিক সূত্র বা নীতিটি বিমূর্ত রাশির সাহায্যে লেখো এবং যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করো। এভাবে ৫০তম
চিত্রটি তৈরি করতে চাইলে ব্লক এবং রেখাংশের সংখ্যা কত হবে তা নির্ণয় করো।

গোপন সংখ্যার রহস্যভেদ

ঈশান ও বিন্দু একই ধরনের দুইটি মজার খেলা খেলছে । খেলাটি হলো – ঈশান ১ থেকে ১০০ এর মধ্যে
একটি পূর্ণসংখ্যা মনে মনে ভাবল। গোপন সংখ্যাটি বলার জন্য ঈশান কয়েকটি সংকেত দিল। সংকেতগুলো

পর্যালোচনা করে তোমাকে ঈশানের গোপন সংখ্যাটি বলতে হবে।

গাণিতিক সূত্র বা নীতির বিশ্লেষণঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান গাণিতিক সূত্র বা নীতির বিশ্লেষণের উপরে এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

চলো নিচের চিত্রটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করি। চিত্রে ABCD একটি বর্গ।  EF এবং GH রেখাংশ দুইটি পরস্পরকে M বিন্দুতে লম্বভাবে ছেদ করে এবং ABCD বর্গকে চারটি ভাগে ভাগ করে।

চিত্রে AB = AG + GB = (৫ + ২) একক বা ৭ একক
BC= BF + FC = (৫ + ২) একক বা ৭ একক,
CD = CH + HD = (২ + ৫) একক বা ৭ একক এবং
AD = AE + ED = (৫ + ২) একক বা ৭ একক

তোমরা পূর্বেই জেনেছ, একটি বর্গের ক্ষেত্রফল = বাহুর দৈর্ঘ্য × বাহুর প্রস্থ
এখন ABCD বর্গের ক্ষেত্রফল = AB × BC = ৭ একক × ৭ একক বা ৪৯ বর্গএকক।
চিত্রে AGME একটি বর্গ। যার  AG = GM = ME = AE = ৫ একক
∴ AGME বর্গের ক্ষেত্রফল = AG × AE = ৫ একক × ৫ একক বা ২৫ বর্গএকক।
চিত্রে CHMF একটি বর্গ। যার বর্গ CH = HM = MF = FC = ২ একক
∴ CHMF বর্গের ক্ষেত্রফল = FC × CH = ২ একক × ২ একক বা ৪ বর্গএকক।
চিত্রে BFMG একটি আয়ত। যার দৈর্ঘ্য BF= ৫ একক এবং প্রস্থ BG= ২ একক
∴ BFMG আয়তের ক্ষেত্রফল = BF × BG = ৫ একক × ২ একক বা ১০ বর্গএকক।
চিত্রে HDEM একটি আয়ত। যার দৈর্ঘ্য HD= ৫ একক এবং প্রস্থ DE= ২ একক
∴ HDEM আয়তের ক্ষেত্রফল = HD × DE = ৫ একক × ২ একক বা ১০ বর্গএকক।
যেহেতু BFMG আয়তের ক্ষেত্রফল = HDEM আয়তের ক্ষেত্রফল = ১০ বর্গএকক।
∴ BFMG আয়তের ক্ষেত্রফল + HDEM আয়তের ক্ষেত্রফল = ২× BFMG আয়তের ক্ষেত্রফল
= ২× ২০ বর্গএকক বর্গ বা ২০ বর্গএকক।

এখন, AGME বর্গের ক্ষেত্রফল + CHMF বর্গের ক্ষেত্রফল + BFMG আয়তের ক্ষেত্রফল + HDEM আয়তের ক্ষেত্রফল = (২৫ + ৪ + ১০ + ১০) = ৪৯ বর্গএকক।
সুতরাং আমরা বলতে পারি,
আয়তের ক্ষেত্রফল + আয়তের ক্ষেত্রফল = ২ × আয়তের ক্ষেত্রফল
ABCD বর্গের ক্ষেত্রফল = AGME বর্গের ক্ষেত্রফল + ২ × BFMG আয়তের ক্ষেত্রফল + CHMF বর্গের ক্ষেত্রফল।

কাগজ কেটে যাচাই করি

স্বাভাবিক সংখ্যার সমষ্টি

এবার সারণিটি পূরণ করোঃ

১– ১০ পর্যন্ত সংখ্যার যোগফল১+ ২ + ৩ + … … …  + ১০৫৫
১ – ১০০ পর্যন্ত সংখ্যার যোগফল১+ ২ + ৩ + … … …  + ১০০৫০৫০
১ – ১০০০ পর্যন্ত সংখ্যার যোগফল১+ ২ + ৩ + … … …  + ১০০০৫০৫০০
১ – ১০০০০ পর্যন্ত সংখ্যার যোগফল১+ ২ + ৩ + … … …  + ১০০০০?
১ – ১০০০০০ পর্যন্ত সংখ্যার যোগফল১+ ২ + ৩ + … … …  + ১০০০০০?
১ – ১০০০০০০ পর্যন্ত সংখ্যার যোগফল১+ ২ + ৩ + … … …  + ১০০০০০০?

আচ্ছা, উপরের ছকটিতে কোনো গাণিতিক সূত্র বা নীতি খজেুঁ পাচ্ছ কি? দেখো তো ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফল কি একই নিয়মে নির্ণয় করা কিনা? ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো ক্রমানুসারে যোগ করে উপরের ছকের নিয়মে প্রাপ্ত যোগফল সঠিকতা যাচাই করো।

বুঝতেই পারছো, ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফলের সূত্র বা নীতি এবং ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো যোগফলের সূত্র বা নীতি কিছুটা আলাদা।
তাহলে, এমন কোনো নিয়ম বা নীতি থাকলে খুবই ভালো হতো যেটা দিয়ে ১ থেকে যেকোনো স্বাভাবিক সংখ্যা পর্যন্ত যোগফল নির্ণয় করা যেত।

ঠিক আছে, চলো নিচের ছবিগুলো থেকে কোনো বুদ্ধি বা কোনো নীতি খজেুঁ পাওয়া যায় কিনা দেখি।

শেষের ছবিটায় মোট কতটি ব্লক আছে সেটা কিন্তু একটা একটা করে না গুণেও বলা যায়। কীভাবে বলা যায় তোমরা ভেবে
দেখো তো? একটা ব্যাপার খেয়াল করো, ছবিতে কমলা ও সবুজ রংয়ের ব্লকের সংখ্যা সমান। তাহলে, শেষের ছবির মোট ব্লক সংখ্যাকে অর্ধেক করলে বা দুইভাগ করলেই কমলা রংয়ের ব্লক কতগুলো আছে তা জানতে পারবে। এবার, তোমাকে ভাবতে হবে ছবিগুলোর মাধ্যমে ক্রমানুসারে যোগ না করে অন্য কোনো সহজ উপায়ে ১ থেকে ৫ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফল নির্ণয় করা যায় কিনা? একইভাবে তুমি কি ১ থেকে ৮০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফল নির্ণয় করতে পারবে? তুমি চাইলে একইভাবে খুব সহজেই ১ থেকে ৯০০০ পর্যন্ত যোগফল নির্ণয় করতে পারবে।

তোমরা কি জানো এই সহজ পদ্ধতিটা কোন মহান গণিতবিদ আবিষ্কার করেছিলেন?

তিনি হলেন কার্ল ফ্রিডরিখ গাউস। মজার ব্যাপার হলো তোমাদের মতো স্কুলে পড়ার সময়েই তিনি এই পদ্ধতিটা আবিষ্কার করেন।

সেই গল্পটা বলি এবার।

অনেক কাল আগের কথা, কার্ল ফ্রিডরিখ গাউস তখন খুব ছোট ছিলেন। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি ও বুদ্ধি প্রয়োগের কৌশল যাচাইয়ের জন্য নানান ধরনের গাণিতিক সমস্যা, পাজল সমাধান করতে দিতেন। এমনই একদিন গাউসের শিক্ষক ক্লাসে ১ – ১০০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফল নির্ণয় করতে বললেন। তিনি ভাবলেন এই সমস্যাটি সমাধান করতে নিশ্চয়ই অনেক সময় লাগবে। গাউস লক্ষ্য করলেন সমস্যাটি সমাধান করতে গিয়ে ক্লাসের সবার তো খাতা-কলম ছিঁড়ে ফেলার মতো অবস্থা। ছোট্ট গাউস একটি ফন্দি আঁটলেন। তিনি একটি বিশেষ নিয়মে ১– ১০০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফল বের করে ফেললেন এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষকের কাছে খাতা জমা দিলেন। শিক্ষক যতক্ষণে এটি করতে দিয়ে তার চেয়ারে হেলান দিয়ে একটু আরাম করে বসবেন সেই সময়েই গাউসের সমাধান করা শেষ দেখে অবাক হয়ে গেলেন। ক্লাসের সহপাঠীরা গাউসের দিকে হা করে তাকিয়ে ছিলো।

এখন তো নিশ্চয়ই সবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তিনি কীভাবে এটি এত সহজে সমাধান করেছিলেন! কী ছিল তার সমাধান কৌশল, ছবিতেই দেখে নাও।

এখানে প্রথম সংখ্যা ১ ও শেষ সংখ্যা ১০০। এ দুটোর যোগফল হয় ১০১। আবার একই ভাবে ২ ও ৯৯ সংখ্যা
দুটির যোগফল ১০১ । একই নিয়মে ৩ ও ৯৮ এর যোগফল ১০১। এভাবে যোগ করে মোট ৫০টি ১০১ পাওয়া
যাবে। তাই সহজেই তোমরা বুঝতে পারছ ১ – ১০০ এর যোগফল হবে ৫০ × ১০১ = ৫০৫০। আর এভাবেই
ছোট্ট গাউস খুব অল্প সময়েই ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর যোগফল বের করেছিলেন।

মজার বিষয় হলো – গাউসের এই পদ্ধতি থেকেই ১ থেকে যেকোনো স্বাভাবিক সংখ্যা পর্যন্ত যোগফল নির্ণয়ের
সহজ একটি গাণিতিক সূত্র বা নীতি পাওয়া যায়। তোমরাও খুঁজে দেখো তো গাণিতিক সূত্র বা নীতিটি বের
করতে পারো কিনা?

একক কাজকর্মপত্র দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে নকশা তৈরি করি

ক) দিয়াশলাইয়ের কাঠি দ্বারা উপরের চিত্রের মতো করে নকশা তৈরি করো।
খ) একইভাবে একই দৈর্ঘ্যের দিয়াশলাইয়ের কাঠি দ্বারা ৪র্থ ও ৫ম চিত্র বানাও।

এবার নিচের ছকটি পূরণ করো :

চিত্র নম্বরচিত্রদিয়াশলাইয়ের কাঠির সংখ্যাগাণিতিক নীতি
১ম
২য়
৩য়
৪র্থ
৫ম
.
.
.
১০ম

গ) চিত্রগুলো তৈরি করতে দিয়াশলাইয়ের কাঠির সংখ্যাকে বীজগাণিতিক নীতির মাধ্যমে প্রকাশ করো।
ঘ) বীজগাণিতিক নীতিটি ব্যবহার করে ৫০তম চিত্রের দিয়াশলাইয়ের কাঠির সংখ্যা নির্ণয় করো।
ঙ) ১ম ৫০টি চিত্র তৈরি করতে দিয়াশলাইয়ের মোট কতটি কাঠি লাগবে?

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান অনুশীলনী

বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান এক পোস্টেই সকল অধ্যায় এবং Class 6 Math Solution পাবেন।

১) নিচের জ্যামিতিক চিত্রগুলো সমান দৈর্ঘ্যের রেখাংশ দ্বারা তৈরি।

ক) চতুর্থ চিত্রটি তৈরি করে রেখাংশের সংখ্যা নির্ণয় করো।

খ) চিত্রগুলোর রেখাংশের সংখ্যা কোন গাণিতিক সূত্র বা নীতিকে সমর্থন করে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।

গ) ১ম ১০০টি চিত্র তৈরি করতে মোট কতটি রেখাংশ প্রয়োজন হবে, তা নির্ণয় করো।

২)আনোয়ারা বেগম তার বেতন থেকে প্রথম মাসে ৫০০ টাকা সঞ্চয় করেন এবং পরবর্তী প্রতিমাসে এর পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় ১০০ টাকা বেশি সঞ্চয় করেন।

ক) সঞ্চয়ের হিসাবটিকে একটি গাণিতিক সূত্র বা নীতির মাধ্যমে ব্যাখ্যাসহ প্রকাশ করো।

খ) তিনি ৩০তম মাসে কত টাকা সঞ্চয় করেন?

গ) প্রথম ৩ বছরে তিনি মোট কত টাকা সঞ্চয় করেন?

৩) অরবিন্দু চাকমা পেনশনের টাকা পেয়ে ৫ লাখ টাকার তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক ৩ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কিনলেন। বার্ষিক মুনাফার হার ৮%।

ক) মুনাফা নির্ণয়ের জন্য গাণিতিক সূত্র বা নীতি যৌক্তিক ব্যাখ্যাসহ তৈরি করো। খ) তিনি প্রথম কিস্তিতে অর্থাৎ প্রথম ৩ মাস পর কত টাকা মুনাফা পাবেন, তোমার তৈরি করা সূত্রটি ব্যবহার করে নির্ণয় করো।

গ) ৩ বছর শেষে তিনি মোট কত টাকা মুনাফা পাবেন?

৪) তোমাকে ১০০ কেজি চাল দান করতে বলা হলো। তবে সব চাল একসাথে দান করা যাবে না। ১ম দিন ১০০ কেজি থেকে অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ কেজি দান করতে পারবে, ২য় দিন ৫০ কেজি থেকে অর্ধেক অর্থাৎ ২৫ কেজি দান করতে পারবে। এভাবে প্রতিদিন দান করার পর তোমার যে পরিমাণ চাল অবশিষ্ট থাকবে পরের দিন তার অর্ধেক পরিমাণ দান করতে হবে। সবগুলো চাল এভাবে দান করতে তোমার কত দিন সময় লাগবে? [বি:দ্র: কোনোভাবেই ১ কেজির কম দান করতে পারবে না]

৫) নিচের ছবিতে মেঝেটি ১২ ইঞ্চি বর্গাকার সিরামিক টাইলস দ্বারা ঢাকতে হবে। প্রতি সারিতে টাইলস সংখ্যা তার পূর্বের সারি থেকে ১টি করে কম থাকবে।

ক) মেঝেটি ঢাকতে মোট কতটি টাইলস লাগবে?

খ) প্রতি বর্গফুট টাইলসের মূল্য ৭৫ টাকা হলে, টাইলস বাবদ কত টাকা খরচ হবে?

৬) একজন রাজমিস্ত্রি ইটের স্তূপ থেকে কিছু সংখ্যক ইট নিয়ে সেগুলোকে ১৫টি ধাপে সাজালেন। একেবারে নিচের ধাপে দুইটি সারি করলেন এবং প্রতিটি সারিতে ৩০টি করে ইট রাখলেন।

পরবর্তী উপরের প্রত্যেকটি ধাপে তার নিচের ধাপ থেকে প্রতিটি সারিতে ২টি করে ইট কম রাখলেন।

ক) একেবারে উপরের ধাপে কয়টি ইট থাকবে?

খ) ইট সাজানোর প্রক্রিয়াটিকে গাণিতিক সূত্র বা নীতির মাধ্যমে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।

গ) সে মোট কতগুলো ইট সাজিয়ে রেখেছে?

৭) কাগজ কেটে ২ সেমি ধারবিশিষ্ট বর্গাকার টাইলস বানাও। তারপর নিচের চিত্রের মতো আঠা দিয়ে টাইলসগুলো বসাও।

ক) পরবর্তী চিত্রটি বানাও।

খ) চিত্রগুলোর টাইলসের সংখ্যা হিসাব করে নিচের ছকটি পূরণ করো।

চিত্র নম্বর……১০
টাইলসের সংখ্যা

গ) চিত্র ও টাইলসের সংখ্যাকে একটি সাধারণ সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করো।

ঘ) গ্রাফ পেপারের X অক্ষ বরাবর চিত্র ও y অক্ষ বরাবর টাইলসের সংখ্যা ধরে ছকের উপাত্তের লেখচিত্র অঙ্কন করো।

৮) মন্দিরা কোনো এক শুক্রবার তার বাড়ির আঙিনায় দুইটি সূর্যমুখী ফুলের চারা রোপণ করে। রোপণ করার সময় গাছ দুইটির উচ্চতা যথাক্রমে ১০ সেমি এবং ১৫ সেমি ছিল। সে প্রতিসপ্তাহের একই সময়ে গাছ দুইটির উচ্চতা পরিমাপ করে। মন্দিরা লক্ষ করে যে, ১০ সেমি উচ্চতার গাছটি প্রতিসপ্তাহে ২ সেমি এবং ১৫ সেমি উচ্চতার গাছটি প্রতিসপ্তাহে ১.৫ সেমি করে বৃদ্ধি পায়।

ক) চারা গাছ দুটি রোপণের দিন থেকে দুই মাসের বৃদ্ধির একটি তালিকা তৈরি করো।

খ) চলকের পরিচয়সহ চারা গাছ দুটি বৃদ্ধির পরিমাপকে গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করো।

গ) গ্রাফ পেপারের X অক্ষ বরাবর সপ্তাহ ও y অক্ষ বরাবর চারা গাছ দুটির উচ্চতা ধরে প্রথম ৩ মাসের উপাত্তের লেখচিত্র অঙ্কন করো।

ঘ) লেখচিত্র থেকে গ্রাফ দুটির ছেদ বিন্দু নির্ণয় করো। গাছ দুটির সাপেক্ষে ছেদ বিন্দু দ্বারা কী বোঝায় ব্যাখ্যা করো।

ঙ) “খ” থেকে প্রাপ্ত গাণিতিক সূত্র সমাধান করে ‘ঘ’ এর গ্রাফের ছেদবিন্দুর সঠিকতা যাচাই করো।

৯) ষষ্ঠ শ্রেণির ১০ জন শিক্ষার্থীর উচ্চতার (সেন্টিমিটারে) তালিকা নিম্নরূপ:

শিক্ষার্থী১ম২য়৩য়৪র্থ৫ম৬ষ্ঠ ৭ম৮ম৯ম১০ম
উচ্চতা (সেমি)১১৫১১৪১২২১২৭১১৬X১২৫১১৬১১৭১২৮

ক) শিক্ষার্থীদের গড় উচ্চতা ১২০ সেমি হলে, x এর মান নির্ণয় করো।

খ) শিক্ষার্থীদের উচ্চতার মধ্যক ও প্রচুরক নির্ণয় করো।

১০) চিত্রটি একটি পানির ট্যাংক। যার মেঝে বর্গাকৃতির। ট্যাংকটির মেঝের দৈর্ঘ্য ৩ মিটার এবং উচ্চতা x মিটার।

ক) ট্যাংকটির আয়তন কে গাণিতিক সূত্র বা নীতির মাধ্যমে প্রকাশ করো।

খ) x এর বিভিন্ন মানের জন্য নিচের ছকটি পূরণ করো।

X
V

গ) ‘খ’ থেকে প্রাপ্ত ছক ব্যবহার করে লেখচিত্র অঙ্কন করো।

ঘ) ট্যাংকটির উচ্চতা কত হলে এর আয়তন ১৫ ঘন মিটার হবে?

১১) কামাল মনে মনে তিন অঙ্কবিশিষ্ট একটি সংখ্যা ভাবল। সংখ্যাটি বের করার জন্য শিহাবকে কয়েকটি সংকেত দিল। সংকেতগুলো হলো:

★ সংখ্যাটি ১২১২ এর অর্ধেক অপেক্ষা কম।

★ এটি ৫০২ থেকে ৬০৬ এর মধ্যে অবস্থিত।

★ সংখ্যার অঙ্ক তিনটির সমান দৈর্ঘ্যের রেখাংশ দ্বারা ত্রিভুজ গঠন করা সম্ভব নয়।

★ সংখ্যাটির একক স্থানীয় অঙ্ক দ্বারা একক স্থানীয় অঙ্কটিকে গুণ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যাবে তার অঙ্কগুলোর যোগফল এর একক স্থানীয় অঙ্কটির সমান।

★ সংখ্যাটির দশক ও একক স্থানীয় অঙ্ক পরস্পর সহমৌলিক।

শিহাবের মতো তোমরাও কামালের গোপন সংখ্যাটির রহস্যভেদ করো।

১২) ক) নিচের ছবিতে সবচেয়ে নিচের স্তরে কতটি কমলা রয়েছে?

খ) ছবিতে মোট কতটি কমলা রয়েছে?

গ) তুমি কি আর কোনো ফল বা সবজি এভাবে দোকানে সাজানো দেখেছ? এরকম আরও কিছু উদাহরণ খুঁজে বের করে ছবি আঁকো।

শেষকথাঃ

আজ এখানে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান যা এক পোস্টেই সকল অধ্যায়ের পেলেন। You are here for class 6 math solution all lesson.

পোস্ট ট্যাগঃ ষষ্ঠ শ্রেণীর গাইড ডাউনলোড pdf

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা গাইড ডাউনলোড

৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষক সহায়িকা গাইড

ষষ্ঠ শ্রেণির গাইড ২০২৩

শিক্ষক সহায়িকা ৬ষ্ঠ শ্রেণী ২০২৪

৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষক সহায়িকা গাইড ২০২৩

ষষ্ঠ শ্রেণির লেকচার গাইড ২০২৩

৬ষ্ঠ শ্রেণীর পাঞ্জেরী গাইড

৬ষ্ঠ শ্রেণির গাইড বই ২০২৪

৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা এর সমাধান গাইড বই ২০২৩ পিডিএফ

Class 6 Bangla guide pdf 2024

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষক সহায়িকা গাইড ২০২৪ PDF

Class 6/six All Guide 2024 PDF

৬ষ্ট শ্রেণির সকল গাইড নোট free pdf download ২০২৪

শিক্ষক সহায়িকা ৬ষ্ঠ শ্রেণী গাইড ২০২৪ সকল বিষয়ের পিডিএফ

Class 6/Six Bangla Guide/Note PDF Download

Visited 4,982 times, 23 visit(s) today

Leave a Comment